শার্শার ইছামতি নদী হতে ৫ কেজি ২০০ গ্রাম স্বর্ণ সহ গলিত লাশ উদ্ধার
মো: সাগর হোসেন, বেনাপোল প্রতিনিধি
যশোরের শার্শা উপজেলার গোগা ইউনিয়নাধীন ২নং ওয়ার্ডের সীমান্তবর্তী গ্রাম অগ্রভূলোট সংলগ্ন ইছামতি নদী হতে এক ব্যাক্তির গলিত লাশ উদ্ধার করেছে ২১ ব্যাটেলিয়ন,বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ(বিজিবি)’র অগ্রভূলোট ক্যাম্প এবং শার্শা থানা পুলিশ সদস্যরা।
এ সময় তার কোমরে কচটেপ দ্বারা অভিনব কায়দায় রাখা ০৫(পাঁচ) কেজি ২০০ গ্রাম স্বর্ণ উদ্ধার করে উদ্ধারকারী দল।
বুধবার(১৩ মার্চ) আনুমানিক বেলা ১১টার দিকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ৬০ নং পিলার বরাবর সীমান্ত হতে লাশটি উদ্ধার করা হয়। নদীর ওপাশে ভারতের চকঝাউডাঙ্গা খড়ের মাঠ অবস্থিত। নদী হতে লাশটি উদ্ধারের পর প্রথমে ঐ ওয়ার্ডের যুগেরবন্দ মাঠে লাশ রাখা হয়,পরে অগ্রভূলোট বিজিবি ক্যাম্প এবং শার্শা থানা পুলিশের সমন্বয়ে লাশটি ময়না তদন্তের জন্য যশোর জেলা সদর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানোর লক্ষ্যে ঐ গ্রামের হামিদের আমবাগানে রাখা হয়।
বেলা ২টার দিকে যশোর থেকে আগত “নোভা ক্লিনিক” এর একটি এ্যাম্বুলেন্সে করে লাশটি যশোর নিয়ে যাওয়া হয়।
ঘটনাস্থল থেকে লাশের পরিচয় পাওয়া যায়। মৃত ব্যাক্তির নাম-মোঃ মশিয়ার রহমান(৫৫),পিতা:-বুধো মোড়ল,গ্রাম:-হরিশচন্দ্রপুর,ইউনিয়ন:- গোগা,উপজেলা:-শার্শা,যশোর।
পিতার মৃত্যুর কারণ জানিয়ে ছেলে হাছানুজ্জামান বলেন,”গত রবিবার(১০ মার্চ) মৃত ব্যাক্তি মশিয়ার রহমান তার নিজ বাসায় দুপুরের খাবার খাচ্ছিলেন,এমন সময় পড়শি ১। হাবিবুর রহমান পিতা:-মোঃ রহিম বকস ২। মোঃ রহিম বকস পিতাঃ- মৃত জেহের গাইন ৩। মোঃ জামাল হোসেন পিং মৃতঃ- জেহের গাইন সহ বেশ কয়েকজন তাকে(মশিয়ার) বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যায়।
সন্ধ্যা ঘনিয়ে গেলেও বাবা বাড়িতে ফিরে না আসায় পরিবারের লোকজন পার্শ্ববর্তী এলাকায় খুঁজতে থাকে। কোন গতি না পেয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার(১২ মার্চ) শার্শা থানায় একটি অভিযোগ নামা দাখিল করা হয়”। শার্শা থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মোঃ মনিরুজ্জামান অভিযোগ আমলে নেন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে পরিবারের সদস্যদেরকে আশ্বস্থ করেন”।
এইভাবে দুইদিন গত হওয়ার পর আজ বুধবার(১৩ মার্চ) বেলা ১১ টার দিকে উপরে উল্লিখিত স্থান ইছামতি নদী হতে মৃত মশিয়ার রহমান এর গলিত লাশ উদ্ধার করে ২১,বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ(বিজিবি)’র অগ্রভূলোট ক্যাম্প ও শার্শা থানা পুলিশ সদস্যরা। এ সময় মৃত ব্যাক্তির দেহে অভিনব কায়দায় রাখা ০৫(পাঁচ) কেজি ২০০ গ্রাম স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়।
লাশ এবং স্বর্ণ উদ্ধারের বিষয়ে শার্শা থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মোঃ মনিরুজ্জামান বলেন, মৃত ব্যাক্তি মশিয়ার রহমানের পরিবারের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার (১২মার্চ) একটি জেনারেল ডাইরি(জিডি) গ্রহণ করি। সেই মোতাবেক শার্শা থানা পুলিশ ঐ এলাকায় তদন্ত অব্যাহত রাখে। বুধবার(১৩ মার্চ) সকালে সংবাদ পেয়ে ইছামতি নদী হতে ঐ ব্যাক্তির ভাষমাণ গলিত লাশ উদ্ধার করা হয়।
লাশ এবং স্বর্ণ উদ্ধারের বিষয়ে ২১,ব্যাটেলিয়নের কমান্ডিং অফিসার(সিও) মোঃ খুরশিদ আলম অগ্রভূলোট বিজিবি’র ক্যাম্পে এক সংবাদ ব্রিফিং এ বলেন-” মৃত মশিয়ার রহমান এর পরিবারের পক্ষ থেকে নিখোঁজ সংবাদ পেয়ে ২১,বিজিবি’র অগ্রভুলোট ক্যাম্পের নিয়মিত টহল হিসেবে অত্র এলাকার সীমান্ত জুড়ে তল্লাশী অভিযান জোরদার করা হয়। যার ফলশ্রুতিতে ৬০ নং পিলার বরাবর ইছামতি নদী হতে ভাষমাণ গলিত লাশ এবং স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়”।
ডোনেট বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।