শ্রীনগরে  প্রতিপক্ষের হামলায় বৃদ্ধা নারীসহ আহত-৭।


মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে জমিজমা নিয়ে মামলা মোকদ্দমার জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় বৃদ্ধা নারীসহ ৭ জন আহত হয়েছে।গত কাল রোববার (১৪ এপ্রিল ) মাগরিবের নামাজের পর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার কোলাপাড়া ইউনিয়নের উত্তর কোলাপাড়া গ্রামে এই হামলার ঘটনা ঘটে। জরুরী সেবা নাম্বার ৯৯৯ এ সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন এবং স্থানীয়রা আহত বৃদ্ধা রাবেয়া খাতুনসহ (৯০), হায়াত আলী, সুজন, জিন্নত আলী,জালাল,রাজিয়া ও জবেদা বেগমদের উদ্ধার করেন চিকিৎসার জন্য দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করেন। এব্যাপারে রেহেনা পারভীন বাদী হয়ে দুলালগংদের বিরুদ্ধে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। জবেদা বেগম এর অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, কোলাপাড়া মৌজার আরএস দাগের সাড়ে ১১ শতাংশ জমি ভুয়া ওয়ারিশ সনদ দেখিয়ে একই এলাকার জালাল উদ্দিনের ছেলে দুলাল(৪০)গং ভুয়া দলিল সৃজন করে জোড় পুর্বক দখলের পায়তারা করে আসছিল। পরে জবেদা বেগম বাদী হয়ে ভুয়া দলিল সৃজনকারী দুলালগংয়ের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ জুডিশিয়াল আদালত মুন্সীগঞ্জ একটি মামলা দায়ের করেন। ঘটনার দিন রোববার মাগবিরের নামাজের পর দুলালগং ঐ জমির ঝামেলা মীমাংসার কথা বলে জবেদা বেগমকে একই গ্রামের আনেছ এর বাড়ীতে ডেকে নিয়ে যায় এবং উভয় পক্ষের মধ্যে তর্কবিতর্কের একপর্যায়ে দুলালগংসহ তার ভাই মনির হোসেন,দেলোয়ার হোসেন, মৃত রমিজ উদ্দিনের ছেলে নুর হোসেন,নুর ইসলাম,নুর আলম,নুর মোহাম্মদ,ওসমানের ছেলে ইউসুফ আলী,ইউনুছ আলী,ইউনুছের ছেলে আকাশ,রিপন, রশিদের ছেলে মনির, ফরুক,ওমর আলীর ছেলে আনেছ ও মান্নানগং লাঠিশোঠা,লোহার রড, ইট পাটকেল,দা হাতে নিয়ে জবেদা বেগমসহ বৃদ্ধা রাবেয়া খাতুন,হায়াত আলী,সুজন,জিন্নত আলী, জালাল, রাজিয়াদের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে তাদেরকে বেধড়ক পিটিয়ে গুরুত্বর আহত করে এবং তাদের বাড়িঘরে ইটপাটকেল ছুড়ে মেরে ক্ষতি সাধন করে। আহতরা সহযোগীতা চেয়ে জরুরী সেবা নাম্বার ৯৯৯ এ ফোন দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।এব্যাপারে স্থানীয় ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম বলেন, আমার ওয়ার্ডের দুলালগং আমার কাছ থেকে কৌশলে একটি ওয়ারিশ সনদ নিয়ে জবেদা বেগমের সাড়ে ১১ শতাংশ জমি দলিল করে নেয়। পরে জবেদা বেগম দুলাল গংদের বিরুদ্ধে জুডিশিয়াল আদালতে একটি মামলা করেন।শ্রীনগর থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক(এসআই) নজরুল ইসলাম বলেন, ৯৯৯ এ ফোন পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনি।