শেখ হাসিনা ‘হায়েনার’ মতো নির্যাতন চালিয়েছে: গোলাম পরওয়ার


জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, শেখ হাসিনা কিভাবে হায়েনার মতো মানুষের উপর নির্যাতন, নিষ্পেষণ ও শোষণ চালিয়েছিলেন তা এ দেশের মানুষ দেখেছে। আশা করি এ থেকে জাতি শিক্ষা নিবে। গুম, খুন, অপহরণ, আয়নাঘরের মাধ্যমে মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছিল হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে। সেই গণঅভিশাপে এবং আন্দোলনের মুখে তিনি দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন। জুলাইয়ের এ রক্ত ঝরা ইতিহাস জাতির জন্য যুগযুগ ধরে মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে। বুধবার সকাল ৯টায় ঝালকাঠি জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহিদ পরিবারের মাঝে নগদ অর্থপ্রদান ও ছাত্র-জনতা ঐক্য সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, দেশের ক্লান্তি লগ্নে ছাত্ররাই তাজা রক্ত দিয়ে দ্বিতীয়বারে দেশ স্বাধীন করেছে। আমরা ওই সব শহিদ পরিবারের পাশে আছি। যারা সন্তান হারিয়েছে, স্বামী হারিয়েছে, ভাই হারিয়েছে তারা যেন হাহাকার না করে। কারণ মৃত্যু অনিবার্য সেটা মানতে হবে। বুকের কষ্টকে পাথরচাপা দিয়ে আল্লাহর কাছে দোয়া করতে হবে। যাতে শহিদদের আল্লাহ জান্নাতের উচ্চমাকাম দান করেন। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট মুয়াযযম হোসেন হেলাল, পিরোজপুর সাইদী ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শামীম সাঈদি। জেলা জামায়াতের আমির অ্যাডভোকেট হাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন- শহিদ নাইমের পিতা মো. কামরুল ইসলাম, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট শাহাদাত হোসেন, ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সাবেক নেতা ও বরিশাল বিএম কলেজের সাবেক এজিএস শেখ নেয়ামুল করীম, কাঁঠালিয়া উপজেলা আমীর মাস্টার মজিবুর রহমান, সদর উপজেলা আমির মাওলানা মনিরুজ্জামান তালুকদার, পৌর সেক্রেটারি শাহাবুদ্দিন খলিফা, কাঁঠালিয়া উপজেলা সেক্রেটারি মাওলানা নজরুল ইসলাম। আলোচনা শেষে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ঝালকাঠির ৮ জন শহিদ পরিবারের মাঝে ১১ লাখ টাকার আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়।