‘মেট্রোরেল নির্মাণে পূর্বাচল সড়কে সামান্য ক্ষতি হবে’


সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী দাবি করেছেন, পিতলগঞ্জ থেকে নতুনবাজার পর্যন্ত মেট্রোরেল (এমআরটি) নির্মাণ কাজের কারণে পূর্বাচলের আট লেনের এক্সপ্রেসওয়ের সামান্য ক্ষতি হবে। সড়ক কাটা পড়বে না। ভাঙতেও হবে না। রোববার রাজধানীর একটি হোটেলে এমআরটি-৫ (দক্ষিণ) প্রকল্পের অংশীজন সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নে এসব কথা বলেন তিনি। গত শুক্রবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, এমআরটি-১ এর পিয়ার (খুঁটি) নির্মাণের কারণে ভাঙা পড়বে ৩০০ ফুট সড়ক নামে পরিচিত নির্মাণাধীন পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ে। আগামী ডিসেম্বরে এই সড়ক উদ্বোধন করা হতে পারে। উদ্বোধনের পরই ভাঙতে হবে হাজার কোটি টাকার সড়ক ১৩ কিলোমিটার দীর্ঘ ৩০০ ফুট সড়কে ১২টি আন্ডারপাস রয়েছে। সেখানে কীভাবে পিয়ার বসবে, কীভাবে মেট্রোরেলের নির্মাণ কাজ করা হবে- প্রশ্নে আমিন উল্লাহ নূরী বলেছেন, ‘রাজউকের সঙ্গে সমন্বয় করা হয়েছে। আন্ডারপাসের মিনিমাম ক্ষতি হবে। তবে শতভাগ অক্ষত রাখা যাবে না। মেট্রোরেল আকাশ দিয়ে যাচ্ছে না। কাজ শুরু হলেই দেখা যাবে, ৩০০ ফুটের কতটা ভাঙা পড়ছে। কয়টা আন্ডারপাস ভাঙা হবে তা নিয়ে বসতে হবে।’ সড়কটির মিডিয়ান বরাবর থাকবে এমআরটি-১ এর পিয়ার। পিয়ারের ভিত্তি তৈরিতে সড়ক খুঁড়ে পাইলিং করতে পারবে। তবে সচিব বলেছেন, ‘তিনশ ফুটের তেমন ক্ষতি হবে না। যে কোনো প্রকল্প বাস্তবায়নে জমি নেওয়া হলে, কারও ভবন বা বাড়ি ভাঙা পড়লে, ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়। কতটুকু ক্ষতি হবে, তা আগেই সমীক্ষা করা হয়।’ রাস্তা না কেটে বা না ভেঙে কীভাবে পিয়ারের ভিত্তি তৈরি করা হবে- প্রশ্নে আমিন উল্লাহ নুরী বলেছেন, ‘৩০০ ফুটের সামান্য ক্ষতি হবে। যে জায়গায় কাজ হবে সেখানে ব্যারিকেড দেওয়া হবে। আইল্যান্ড (রাস্তার মাঝ বরাবর মিডিয়ান) ভাঙা পড়বে। রাস্তার কিছু অংশ ভাঙা পড়বে। এটাকে রাস্তা কাটা বলা যাবে না।’ ২৭ বছরেও বাসযোগ্য হলো না পূর্বাচল প্রকল্প বাস্তবায়নে সমন্বয়ের অভাব নেই বলেও দাবি করেন সচিব। তিনি বলেছেন, ৩০০ ফিট রাস্তার দুই পাশে বাতি লাগিয়েছে রাজউক। বাতি থাকে রাস্তার মাঝে। মেট্রোরেল হবে বলেই রাস্তার মাঝ বরাবর বাতি লাগানো হয়নি। সমন্বয় আছে বলেই এটি করা হয়েছে।’ আরও ৩০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ চায় ডিএমটিসিএল: গাবাতলী থেকে দাশেরকান্দি পর্যন্ত মেট্রোরেল (এমআরটি-৫ সাউথ) নির্মাণে ব্যয় হবে চার দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার। এতে আড়াই বিলিয়ন ডলার ঋণ দিতে আগ্রহী এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। সংস্থাটির কাছে আরও ৩০০ বিলিয়ন ডলার ঋণ চায় মেট্রোরেলের নির্মাণকারী সংস্থাটি ডিএমটিসিএল। এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর ঝিয়াংগু মেইনের কাছে বাড়তি ঋণের অনুরোধ জানান সড়ক পরিবহন সচিব। ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক বলেন, এডিবির ঋণে প্রথম মেট্রোরেল নির্মিত হচ্ছে। ৩০০ মিলিয়ন ডলার বড় অংক নয় এডিবির জন্য। স্টেশন এলাকা ও জমি অধিগ্রহণের কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। দেশের প্রথম পাতাল রেল নির্মাণকাজের উদ্বোধন আজ প্রকল্প পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০৩০ সালের মধ্যে গাবতলী থেকে দাশেরকান্দি পর্যন্ত ১৭ দশমিক ৪০ কিলোমিটার দীর্ঘ এমআরটি লাইন-৫ সাউথ নির্মিত হবে। এর মধ্যে ১২ দশমিক ৮০ কিলোমিটার পথ মাটির নিচে নির্মিত হবে। ১৬টি স্টেশনের ১২টি মাটির নিচে এবং বাকি চারটি এলিভেটেড হবে।