প্রকাশিতঃ নভেম্বর ১৭, ২০২৪
৬:৪৮ অপরাহ্ণ

আন্তর্জাতিক

টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে প্রথম ইনিংসেই ডাবল সেঞ্চুরি? এমন কীর্তি ক্রিকেট ইতিহাসে হয়েছে মাত্র তিনবার। আর এখন সে তালিকার শীর্ষে উইয়ান মুল্ডার। দক্ষিণ আফ্রিকার এই অলরাউন্ডার বুলাওয়েতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে অধিনায়কত্বের অভিষেকে অপরাজিত ২৬৪ রানে দিন শেষ করেছেন—যা এ ধরনের ম্যাচে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস।  এর আগে ১৯৬৮ সালে ভারতের বিপক্ষে ক্রাইস্টচার্চে ২৩৯ রান করেছিলেন নিউজিল্যান্ডের গ্রাহাম ডাউলিং। সেটাই এতদিন ছিল অধিনায়কত্বে অভিষেক টেস্টে সর্বোচ্চ ইনিংসের রেকর্ড। আরও আগে ২০০৫ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শিবনারায়ণ চন্দরপল দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে করেছিলেন ২০৩*।  ২৭ বছর বয়সী মুল্ডারের এই অধিনায়কত্ব আসলে অনেকটাই আকস্মিক। নিয়মিত অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা হ্যামস্ট্রিং চোটে জিম্বাবুয়ে সফরে যাননি। সহ-অধিনায়ক এইডেন মার্করাম ও অভিজ্ঞ পেসার কাগিসো রাবাদাকেও বিশ্রামে রাখা হয়। এর ফলে প্রথম টেস্টে নেতৃত্ব পান স্পিনার কেশব মহারাজ। কিন্তু ব্যাটিংয়ের সময় কুঁচকিতে চোট পেয়ে দ্বিতীয় টেস্ট থেকে ছিটকে যান তিনিও। তখনই দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয় মুল্ডারের কাঁধে।  আর সেই সুযোগের সর্বোত্তম ব্যবহারই করেছেন তিনি। ৩৪টি চার ও ৩টি ছক্কার মাধ্যমে দুর্দান্ত ইনিংস গড়ে প্রথম দিন শেষ করেছেন ২৬৪* রানে। দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর দাঁড়ায় ৯০ ওভারে ৪ উইকেটে ৪৬৫।  এটাই প্রথম নয়। সিরিজের প্রথম টেস্টেও দারুণ ব্যাটিং করেছিলেন মুল্ডার, করেছিলেন ১৪৭ রান। ফলে তার ফর্ম বলছে, তিনি শুধু স্ট্যান্ড-ইন অধিনায়ক নন, দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট ভবিষ্যতের অন্যতম বড় ভরসাও বটে।  রেকর্ড বইয়ে নাম উঠলো যাদের  অধিনায়কত্বের অভিষেকে ডাবল সেঞ্চুরি:  উইয়ান মুল্ডার (দ.আফ্রিকা) – ২৬৪* বনাম জিম্বাবুয়ে, বুলাওয়ে ২০২৫ গ্রাহাম ডাউলিং (নিউজিল্যান্ড) – ২৩৯ বনাম ভারত, ১৯৬৮ শিবনারায়ণ চন্দরপল (ওয়েস্ট ইন্ডিজ) – ২০৩* বনাম দ.আফ্রিকা, ২০০৫ এছাড়া, মুল্ডার হলেন দক্ষিণ আফ্রিকার ইতিহাসে অধিনায়কত্বের অভিষেকে সেঞ্চুরি করা দ্বিতীয় ক্রিকেটার—১৯৫৫ সালে জ্যাকি ম্যাকগ্লু প্রথম এই কীর্তি করেছিলেন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে।  বিভিন্ন নিয়মিত তারকার অনুপস্থিতিতে হঠাৎ নেতৃত্ব পাওয়া মুল্ডার ব্যাট হাতে যা করে দেখিয়েছেন, তা শুধু রেকর্ড নয়—একটি বার্তাও। হয়তো ভবিষ্যতের নিয়মিত অধিনায়ক হওয়ার দিকেও তাকিয়ে আছেন তিনি। আর এমন অভিষেকের পর দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট বিশ্বও নিশ্চয় তার নামটি একটু আলাদা করে মনে রাখবে।

টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে প্রথম ইনিংসেই ডাবল সেঞ্চুরি? এমন কীর্তি ক্রিকেট ইতিহাসে হয়েছে মাত্র তিনবার। আর এখন সে তালিকার শীর্ষে উইয়ান মুল্ডার। দক্ষিণ আফ্রিকার এই অলরাউন্ডার বুলাওয়েতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে অধিনায়কত্বের অভিষেকে অপরাজিত ২৬৪ রানে দিন শেষ করেছেন—যা এ ধরনের ম্যাচে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস। এর আগে ১৯৬৮ সালে ভারতের বিপক্ষে ক্রাইস্টচার্চে ২৩৯ রান করেছিলেন নিউজিল্যান্ডের গ্রাহাম ডাউলিং। সেটাই এতদিন ছিল অধিনায়কত্বে অভিষেক টেস্টে সর্বোচ্চ ইনিংসের রেকর্ড। আরও আগে ২০০৫ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শিবনারায়ণ চন্দরপল দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে করেছিলেন ২০৩*। ২৭ বছর বয়সী মুল্ডারের এই অধিনায়কত্ব আসলে অনেকটাই আকস্মিক। নিয়মিত অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা হ্যামস্ট্রিং চোটে জিম্বাবুয়ে সফরে যাননি। সহ-অধিনায়ক এইডেন মার্করাম ও অভিজ্ঞ পেসার কাগিসো রাবাদাকেও বিশ্রামে রাখা হয়। এর ফলে প্রথম টেস্টে নেতৃত্ব পান স্পিনার কেশব মহারাজ। কিন্তু ব্যাটিংয়ের সময় কুঁচকিতে চোট পেয়ে দ্বিতীয় টেস্ট থেকে ছিটকে যান তিনিও। তখনই দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয় মুল্ডারের কাঁধে। আর সেই সুযোগের সর্বোত্তম ব্যবহারই করেছেন তিনি। ৩৪টি চার ও ৩টি ছক্কার মাধ্যমে দুর্দান্ত ইনিংস গড়ে প্রথম দিন শেষ করেছেন ২৬৪* রানে। দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর দাঁড়ায় ৯০ ওভারে ৪ উইকেটে ৪৬৫। এটাই প্রথম নয়। সিরিজের প্রথম টেস্টেও দারুণ ব্যাটিং করেছিলেন মুল্ডার, করেছিলেন ১৪৭ রান। ফলে তার ফর্ম বলছে, তিনি শুধু স্ট্যান্ড-ইন অধিনায়ক নন, দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট ভবিষ্যতের অন্যতম বড় ভরসাও বটে। রেকর্ড বইয়ে নাম উঠলো যাদের অধিনায়কত্বের অভিষেকে ডাবল সেঞ্চুরি: উইয়ান মুল্ডার (দ.আফ্রিকা) – ২৬৪* বনাম জিম্বাবুয়ে, বুলাওয়ে ২০২৫ গ্রাহাম ডাউলিং (নিউজিল্যান্ড) – ২৩৯ বনাম ভারত, ১৯৬৮ শিবনারায়ণ চন্দরপল (ওয়েস্ট ইন্ডিজ) – ২০৩* বনাম দ.আফ্রিকা, ২০০৫ এছাড়া, মুল্ডার হলেন দক্ষিণ আফ্রিকার ইতিহাসে অধিনায়কত্বের অভিষেকে সেঞ্চুরি করা দ্বিতীয় ক্রিকেটার—১৯৫৫ সালে জ্যাকি ম্যাকগ্লু প্রথম এই কীর্তি করেছিলেন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। বিভিন্ন নিয়মিত তারকার অনুপস্থিতিতে হঠাৎ নেতৃত্ব পাওয়া মুল্ডার ব্যাট হাতে যা করে দেখিয়েছেন, তা শুধু রেকর্ড নয়—একটি বার্তাও। হয়তো ভবিষ্যতের নিয়মিত অধিনায়ক হওয়ার দিকেও তাকিয়ে আছেন তিনি। আর এমন অভিষেকের পর দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট বিশ্বও নিশ্চয় তার নামটি একটু আলাদা করে মনে রাখবে।

আরও খবর

চাপে ফেলতে চাইছেন ট্রাম্প, মাথা নোয়াবে না ইরান


চাপে ফেলতে চাইছেন ট্রাম্প, মাথা নোয়াবে না ইরান
হোয়াইট হাউসের মসনদে বসতে আরও দুই মাস বাকি। তবে এরই মধ্যে নিজের মন্ত্রিসভা গোছানো শুরু করেছেন নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মন্ত্রিসভায় ইসরায়েলপন্থিদের আধিক্য দেখে হতাশও হচ্ছেন অনেকে। সামনে দিনগুলোতে ইরানের ভাগ্যে কী ঘটবে, তা নিয়েও শুরু হয়েছে নানা জল্পনা। অবশ্য ইরান নিয়ে ট্রাম্পের পরিকল্পনার কিছু কিছু সামনে আসতে শুরু করেছে।ট্রাম্প আগেরবার প্রেসিডেন্ট থাকাকালে ইরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক তলানি গিয়ে ঠেকে। ইরানের সঙ্গে ছয় জাতির করা একটি পরমাণু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে একতরফা বের করে আনেন ট্রাম্প। এছাড়া ক্ষমতার পুরোটা সময়, নানা নিষেধাজ্ঞা দিয়ে, ইরানকে হয়রান করে রেখেছিলেন তিনি। এমনকি ট্রাম্পের নির্দেশেই ইরানের গুরুত্বপূর্ণ একজন সামরিক কমান্ডার কাশেম সোলাইমানিকে হত্যা করা হয়।এখন ইরানকে দুর্বল করতে আবারও সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগের নীতি বেছে নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন। উদ্দেশ্য হচ্ছে ইরানের অর্থনীতির কোমর ভেঙে দেওয়া হবে। তাতে করে, নিজের প্রক্সিদের আর যেমন সাহায্য করতে পারবে না ইরান, আবার পরমাণু কর্মসূচিও এগিয়ে নিতে পারবে। দ্য ফাইনান্সিয়াল টাইমসের বরাতে এমন খবর প্রকাশ করেছে জেরুজালেম পোস্ট।ট্রাম্পের অন্তর্বর্তী টিমের সূত্রের বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরানের আরও কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপের পরিকল্পনা রয়েছে নতুন প্রশাসনের। বিশেষ করে, দেশটির তেল রপ্তানি খাতকেই টার্গেট করবে ট্রাম্প। এতে করে ইরানের তেল রপ্তানি নাটকীয়ভাবে কমে যেতে পারে। বর্তমানে প্রতিদিন ১৫ লাখ ব্যারেল তেল রপ্তানি করে ইরান, যা চার বছর আগেও ছিল মাত্র ৪ লাখ ব্যারেল।বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এতে খুব বিপদে পড়বে ইরানের অথর্নীতি। জ্বালানি পরামর্শক এবং মার্কিন প্রেসিডেন্টদের সাবেক একজন উপদেষ্টা বব ম্যাকনেলির ভাষায়, এমন নিষেধাজ্ঞায় ইরানের অর্থনীতি ট্রাম্পের প্রথম দফার শাসনামলের চেয়ে খারাপ অবস্থায় গিয়ে পড়বে। মূলত পরমাণু কর্মসূচি ইস্যুতে ইরানকে আলোচনার টেবিলে আনতেই এমন কৌশল বেছে নিতে চাইছে ট্রাম্প প্রশাসন।তবে এমন কৌশল কতখানি কাজে দেবে, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। চাপে পড়ে যুক্তরাষ্ট্রের শর্ত ইরান না-ও মানতে পারে। ইরানি কর্মকর্তারা এরইমধ্যে চাপে পড়ে আলোচনায় বসার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন। গেল সপ্তাহে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগের এই নীতি ট্রাম্পের আগের দফায় ব্যর্থ হয়েছিল। এবারও তাই হবে।ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী অবশ্য যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনার সম্ভাবনা নাকচ করে দেননি। কিন্তু আলোচনা হতে হবে ন্যায্যতার ভিত্তিতে। ট্রাম্প ক্ষমতার চেয়ারে বসেই চীন ও ইরানের ওপর চাপ প্রয়োগ করবেন বলে মনে করা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবে মাইক ওয়াল্টজকে বেছে নেওয়াই তার ইঙ্গিত। সেক্ষেত্রে ইরান-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক আরও খারাপ হতে পারে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।