এসএসসি পরীক্ষার্থীর কবজি বিচ্ছিন্ন, জড়িতদের বিচার দাবিতে মানববন্ধন।


গজারিয়া উপজেলার হোসেন্দী ইউনিয়ন পরিষদের সামনে মানববন্ধনে অংশ নেওয়া সাব্বির হোসেনের সহপাঠী ও স্বজনেরা।মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় বাড়ির সীমানা প্রাচীর নিয়ে বিরোধের জেরে সাব্বির হোসেন নামের এক এসএসসি পরীক্ষার্থীর হাত থেকে কবজি বিচ্ছিন্ন করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের লোকজনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিচার দাবিতে মানববন্ধন করেছেন ভুক্তভোগীর সহপাঠী ও স্বজনেরা। গত কাল ১৮/১১/২৪ উপজেলার হোসেন্দী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সামনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য দেন স্থানীয় বিভিন্ন গণমান্য ব্যক্তি ও সাব্বির হোসেনের স্বজনেরা। এ সময় বক্তারা হামলাকারীদের বিচার ও গ্রেপ্তারের দাবি জানান। মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন সাব্বিরের মা শান্তি বেগম, ফুফু মিনয়ারা, সিপা আক্তার, বোন সাজদা আক্তার প্রমুখ।সাব্বির হোসেনের বোন সিপা আক্তার বলেন,সন্ত্রাসী কায়দায় নৃশংসভাবে আমার চোখের সামনে ভাইদের হত্যা করার উদ্দেশ্যে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের অনতিবিলম্বে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।হোসেন্দী ইউনিয়নের লস্করদী গ্রামের শাহজালারের ছেলে সাব্বির। সে হোসেন্দী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে আসন্ন এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেবে।ভুক্তভোগীর পরিবার জানায়, বাড়ির সীমানা প্রাচীর নিয়ে বিরোধের জেরে গত ১৪ নভেম্বর প্রতিপক্ষের লোকজনের হামলায় সাব্বিরের বাম হাতের কবজির বৃদ্ধা আঙুলসহ তালুর অর্ধেক বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এ সময় তাঁর বড় ভাই সাইদার (৩৩) বাধা দিতে এলে হামলাকারীরা তাঁকেও কুপিয়ে জখম করে। এতে সাইদারের শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম হওয়া ৬৩টি সেলাই দিতে হয়েছে। এ ছাড়া এক নারীকে শ্লীলতাহানি করা হয়।জখমের ঘটনায় গত শুক্রবার গজারিয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী সাব্বিরের বাবা শাহজালাল মিয়া। পলাতক থাকায় অভিযোগের বিষয়ে প্রতিপক্ষের লোকজনের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।