দুই গোষ্ঠীর দফায় দফায় সংঘর্ষে আহত ৪০, ২০টি বসতঘরে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ


দুই গোষ্ঠীর দফায় দফায় সংঘর্ষে  আহত ৪০, ২০টি বসতঘরে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের তেরকান্দা গ্রামে দুই গোষ্ঠীর দফায় দফায় সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ৪০জন লোক আহত হয়েছে। ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে ২০টি বসতঘর।সিএনজি চুরির ঘটনায় অপবাদ দেওয়াকে কেন্দ্র করে সোমবার দিবাগত রাত ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত প্রথম দফা ও পরদিন আজ মঙ্গলবার(৮এপ্রিল) সকাল ৫টা থেকে ৯টা পর্যন্ত দ্বিতীয় দফায় সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে।প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, তেরকান্দা গ্রামের খালের দক্ষিণ পাড়ার চান্দের গোষ্ঠীর আক্কাছ মিয়ার লোকের একটি সিএনজি কয়েকদিন আগে চুরি হয়। এতে চান্দের গোষ্ঠীর লোকজন একই এলাকার বারিকের গোষ্ঠীর আমির আলীর লোকজনকে সিএনজি চুরির অপবাদ দিয়ে দায়ী করে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষের লোকজনের মধ্যে সোমবার দিবাগত রাত ৮টার দিকে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। দুই ঘন্টাব্যপি চলমান স্থায়ী সংঘর্ষ রাত ১০টায় পুলিশ নিয়ন্ত্রণ করেন। পরদিন মঙ্গলবার সকাল ৫টার দিকে একই ঘটনার জের ধরে ফের দুইগোষ্ঠীর লোকজনের মধ্যে দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে দ্বিতীয় দফায় সংঘর্ষ শুরু হয়। বেলা বাড়ার সাথে সাথে একই এলাকার আশ-পাশের অন্যান্য গোষ্ঠীর লোকজনও উভয় পক্ষে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ৪০জন লোক আহত হয়। আহতদের সরাইল ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। গুরুতর আহত চান্দের গোষ্ঠীর জসিম (৪৮) নামের একজনকে আশংকাজনক অবস্থায় ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে।এছাড়া দফায় দফায় সংঘর্ষ চলাকালে উভয় পক্ষের ২০টি বসতঘরে ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করেছে দাঙ্গাবাজরা। ৪ ঘন্টা ব্যপি চলমান সংঘর্ষ সকাল ৯টায় পুলিশ নিয়ন্ত্রন করেন। ফায়ার সার্ভিসের লোকজন ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিভায়। সংঘর্ষ এলাকায় পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনী ও র‍্যাব টহল দিতে দেখা যায়।সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) রফিকুল হাসান বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।