কালোটাকা সাদা করার সুযোগ কাদের জন্য, প্রশ্ন রাশেদ প্রধানের
অনলাইন নিউজ ডেক্স

আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটে যে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ রাখা হয়েছে, সেটি কাদের জন্য- এই প্রশ্ন রেখেছেন জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সহ-সভাপতি ও দলীয় মুখপাত্র রাশেদ প্রধান।
তিনি বলেন, বাজেটে কালোটাকা সাদা করার সুযোগকে আমরা ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছি। এ সুযোগ কাদের জন্য? দেশকে লুটপাট করে খাওয়া আওয়ামী লীগ ব্যতীত কার কাছে কালোটাকা আছে?বুধবার (৪ জুন) বিকাল ৩টায় পল্টনস্থ শফিউল আলম প্রধান মিলনায়তনে যুব জাগপার সাংঠনিক সভায় তিনি এসব কথা বলেন।রাশেদ প্রধান বলেন, বৈষম্য দূরীকরণের আন্দোলন থেকেই গণ-অভ্যুত্থান রচিত হয়। আমরা আশা করেছিলাম গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী সরকার কর্মসংস্থান নিয়ে বিশদ পরিকল্পনা প্রকাশ করবে। কিন্তু সেই হাজারো চাকরিপ্রত্যাশী ও ২৭ লাখ শিক্ষিত বেকার যুব সমাজের জন্য আলাদা কোনো ঘোষণা নেই।এ সময় তিনি বলেন, মানুষের আয় ও ব্যয়ের তারতম্য কমানো, বেকারত্ব ও দারিদ্র্য দূরীকরণ নিয়ে বাজেটে জনগণের প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। এবারের বাজেটে বেশকিছু ভালো উদ্যোগ বা প্রত্যাশার কথা বলা হলেও যে কাঠামোতে বাজেট দেওয়া হয়েছে, সেটি গতানুগতিক এবং পুরাতন। এই সরকারের সামনে ভিন্নধর্মী একটা বাজেট উপস্থাপনের সুযোগ ছিল, যা তারা কাজে লাগায় নাই। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান বাড়ানোর বিপরীতে রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি ও সামাজিক বৈষম্য দূর করা এবারের বাজেটের অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ। বরাবরের মতো এবারও ২ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকা ঘাটতি বাজেট। যা ব্যাংক ঋণ ও বৈদেশিক অনুদান থেকে পূরণ করা হবে। অর্থাৎ এবারের বাজেটেও বিদেশ নির্ভরতা কমানো হয়নি।রাশেদ প্রধান আরও বলেন, নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টিতে ১০০ কোটি টাকার তহবিল এবং কিছু নিত্যপণ্যের দাম কমানো ইতিবাচক। জুলাই বিপ্লবে শহীদ ও আহতদের জন্য ৪০৫ কোটি টাকা বরাদ্দকে স্বাগত জানাই। তবে তা সঠিকভাবে ব্যবহার করতে হবে। বিগত ১০ মাসে যোদ্ধাদের সুচিকিৎসা আমরা দেখি নাই।যুব জাগপা সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবলুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. সিরাজুল ইসলামের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন- ঢাকা মহানগর জাগপা আহ্বায়ক শ্যামল চন্দ্র সরকার, শ্রমিক জাগপা সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার হোসেন, যুব জাগপা সাংঠনিক সম্পাদক ওলিউল আনোয়ার, যুবনেতা আশিক মোল্লা, আসাদুজ্জামান নূর, জনি নন্দী প্রমুখ।
