আইআরজিসির নতুন এয়ারস্পেস কমান্ডার হলেন মজিদ মোসাভি


আইআরজিসির নতুন এয়ারস্পেস কমান্ডার হলেন মজিদ মোসাভি

ইসরাইলের হামলায় নিহত ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ডে (আইআরজিসি) এয়ারস্পেস কমান্ডারের স্থানে নতুন কমান্ডার নিয়োগ দিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। খবর আল-জাজিরার।

শনিবার জারি করা এক আদেশে খামেনি মেজর জেনারেল মজিদ মোসাভিকে এ পদে নিয়োগ দেন। তিনি নিহত আমির আলী হাজিকাদেহ-এর স্থলাভিষিক্ত হলেন।

কমান্ডার হাজিকাদেহ বৃহস্পতিবার রাতে ইসরাইলের হামলায় নিহত হন। তিনি ছিলেন আইআরজিসি’র অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা, যিনি ইরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি ও ড্রোন প্রযুক্তি বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।

নতুন নিয়োগের মাধ্যমে ইরান বার্তা দিয়েছে যে, শীর্ষ নেতারা শহিদ হলেও, প্রতিরক্ষা কাঠামো অটুট থাকবে এবং প্রতিস্থাপন দ্রুতই সম্পন্ন হবে।

ইসরাইলে শুক্রবারের হামলায় নিহত ১০ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির নাম ও তাদের ভূমিকা তুলে ধরা হলো—

সেনাপ্রধান মোহাম্মদ বাঘেরি

ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অব স্টাফ ও সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনির পরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সামরিক কমান্ডার ছিলেন মেজর জেনারেল মোহাম্মদ বাঘেরি। তিনি ইরানের প্রতিরক্ষা নীতিমালার কেন্দ্রে ছিলেন এবং অভ্যন্তরীণ ও বহিঃশত্রুর মোকাবিলায় মুখ্য ভূমিকা পালন করতেন।

জেনারেল হোসেইন সালামি

ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) প্রধান কমান্ডার। এই বাহিনী ইরানের প্রধান সামরিক শক্তি হিসেবে বিবেচিত এবং দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা থেকে শুরু করে আঞ্চলিক প্রভাব বিস্তারে অত্যন্ত সক্রিয়।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমির আলি হাজিজাদেহ

আইআরজিসির বিমানবাহিনীর কমান্ডার। ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি ও আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থার নেতৃত্বে ছিলেন তিনি।

জেনারেল গোলামালি রাশিদ

সশস্ত্র বাহিনীর উপসর্বাধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন। প্রতিরক্ষা কৌশল ও সামরিক পরিকল্পনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল তাঁর।

ফেরেইদুন আব্বাসি

ইরানের পারমাণবিক শক্তি সংস্থার (এইওআই) সাবেক প্রধান ও পরমাণু পদার্থবিদ্যায় পিএইচডি ডিগ্রিধারী। ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণে তাঁর ভূমিকা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

মোহাম্মদ মেহদি তেহরানচি

ইসলামিক আজাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রেসিডেন্ট। তিনি আগে শাহিদ বেহেশতি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট ছিলেন এবং পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের একজন খ্যাতনামা অধ্যাপক।

আবদুল হামিদ মিনুচেহর

পারমাণবিক প্রকৌশলে পিএইচডি ডিগ্রিধারী, শাহিদ বেহেশতি বিশ্ববিদ্যালয়ের পারমাণবিক প্রকৌশল অনুষদের ডিন ছিলেন। পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর দক্ষতা ও নিরাপত্তা বাড়াতে গবেষণা করতেন।

আহমদ রেজা জুলফাঘারি

শাহিদ বেহেশতি বিশ্ববিদ্যালয়ের পারমাণবিক প্রকৌশলের অধ্যাপক। তার গবেষণা মূলত জ্বালানি চক্র ও বিকিরণ নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রীভূত ছিল।

আমির হোসেইন ফাঘিহি

শাহিদ বেহেশতি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল অনুষদের সদস্য এবং পারমাণবিক শক্তি সংস্থার (এইওআই) সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট ও পারমাণবিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

মোতাল্লেবজাদেহ

একজন পরমাণুবিজ্ঞানী, যিনি তার স্ত্রীসহ হামলায় নিহত হয়েছেন। তিনি একটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর গবেষণা প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।