আমানতের অর্থে ঋণের জামানত রাখা যাবে
অনলাইন নিউজ ডেক্স

বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর অফশোর ব্যাংকিং ইউনিটে (বিদেশ থেকে বা প্রবাসীদের কাছ থেকে বৈদেশিক মুদ্রায় আমানত নিয়ে বৈদেশিক মুদ্রায় ঋণ বিতরণ) প্রবাসীদের রাখা আমানতের অর্থ তাদের সম্মতিতে ঋণ গ্রহীতার জামানত হিসাবে জমা রাখা যাবে।তবে প্রবাসীদের সম্মতি ছাড়া ওই অর্থ কোনো ঋণের জামানত হিসাবে রাখা যাবে না। ঋণ গ্রহীতা কোনো কারণে ঋণ পরিশোধ না করলে এবং ওই ঋণখেলাপি হলে আমানতকারীকে নোটিশ দিয়ে ব্যাংক বন্ধকী আমানত ঋণের বিপরীতে নগদায়ন করতে পারবে। ঋণের বিপরীতে জামানত রাখার পদ্ধতি সহজ করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এই পদক্ষেপ নিয়েছে।এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে একটি সার্কুলার জারি করে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে। এই নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর হবে এবং বিষয়টি সংশ্লিষ্ট গ্রাহকদেরকে জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।সূত্র জানায়, অফশোর ব্যাংকিং ইউনিটগুলো প্রবাসীদের কাছে বৈদেশিক মুদ্রায় আমানত নিতে পারে। এছাড়াও তারা বিদেশি ব্যক্তি বা কোম্পানি থেকেও আমানত নিতে পারে। সেগুলোও ঋণের বিপরীতে জামানত হিসাবে গ্রহণ করা যাবে। দেশের ভেতরে অফশোর ব্যাংকিং ইউনিট থেকে সাধারণত ইপিজেড, ইজেড, বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল বা শতভাগ বিদেশি কোম্পানিতে ঋণ দিতে পারে।সার্কুলারে বলা হয়, প্রবাসীরা তাদের আমানত কোনো আত্মীয়স্বজন বা ব্যবসায়ীকে জামানত হিসাবে দিতে পারে। বা অন্য কাউকেও দিতে পারে। তবে এক্ষেত্রে লিখিত অনুমোদন লাগবে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের অফশোর ব্যাংকিং খাতের আমানতকারী ও ঋণ গ্রহীতার মধ্যেকার সম্পর্ক কী তাও সুনির্দিষ্ট করতে হবে। তাদের মধ্যে বিনিয়োগকারী, শেয়ারহোল্ডারের সম্পর্ক আছে কিনা সেটিও সুনির্দিষ্ট হতে হবে। অফশোর ব্যাংকিং থেকে স্বল্পকালীন ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে এই ধরনের প্রবাসীদের আমানত ব্যাংক জামানত হিসাবে ব্যবহার করতে পারবে।এক্ষেত্রে জামানতের বিপরীতে কোনো ফি বা চার্জ আরোপ করা যাবে না। বিনিময় হারের ঝুঁকি মোকাবিলার জন্য ঋণ গ্রহীতার নামে ঋণের অর্থ মঞ্জুর করার সময় জামানত হিসাবে রাখা আমানতের পরিমাণ বিবেচনায় নিতে হবে। গ্রাহকের হিসাবের স্থিতির জন্য জামানতের অর্থ ব্যবহার করা যাবে না।
