তালেবানের সঙ্গে প্রথম আনুষ্ঠানিক বৈঠকে রাশিয়া, কী আলোচনা হলো?
অনলাইন নিউজ ডেক্স
গত মঙ্গলবার রাশিয়া এবং আফগানিস্তানের তালেবান সরকারের কর্মকর্তারা মস্কোতে প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিকভাবে বৈঠক করেছেন। কয়েক মাস আগে রাশিয়া তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দেওয়ার পর এটিই ছিল রুশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে তাঁদের প্রথম বৈঠক। এই \'মস্কো ফরম্যাট\' বৈঠকের মাধ্যমে আফগানিস্তানের যুদ্ধোত্তর পুনর্গঠনে আন্তর্জাতিক সহায়তা দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ।
বৈঠকের উদ্বোধনী বক্তব্যে লাভরভ পশ্চিমা দেশগুলোর কঠোর সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, আফগানিস্তানের রাষ্ট্রীয় সম্পদ জব্দ করে রাখা এবং দেশটির ব্যাংকিং ব্যবস্থার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপসহ কাবুলের বিরুদ্ধে পশ্চিমাদের \'মুখোমুখি অবস্থানের নীতি\' সঠিক নয়।
লাভরভ পশ্চিমাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “আমরা পশ্চিমা দেশগুলোকে নিজেদের অবস্থান পরিবর্তনের আহ্বান জানাই। একই সঙ্গে আফগানিস্তানের সম্পদ ফিরিয়ে দেওয়া এবং দেশটির পুনর্গঠনের দায়ভার নিতেও আহ্বান জানাচ্ছি।”
রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী তালেবান সরকারের প্রশংসা করে বলেন, তালেবান নিজ দেশে ইসলামিক স্টেটের (আইএস) আঞ্চলিক শাখার বিরুদ্ধে লড়াই করছে এবং মাদক পাচারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে।
তিনি সতর্ক করে বলেন, আফগানিস্তান বা এর প্রতিবেশী দেশে অন্য কোনো দেশের সামরিক ঘাঁটি স্থাপন মারাত্মক পরিণতি ডেকে আনতে পারে। লাভরভ বলেন, “বিদেশি সামরিক হস্তক্ষেপ কতটা ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনে, তা ইতিহাস আমাদের দেখিয়েছে। আমরা সেই ভুলের পুনরাবৃত্তি করতে পারি না।” আফগানিস্তানে নিয়োজিত রাশিয়ার বিশেষ দূত জামির কাবুলভ সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন যে আফগানিস্তানের মাটিতে মস্কোর সামরিক ঘাঁটি স্থাপনের কোনো পরিকল্পনা নেই।
এই বৈঠকে আফগানিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি ছাড়াও ভারত, ইরান, পাকিস্তান এবং সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের পাঁচটি মধ্য-এশীয় প্রজাতন্ত্রের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। উল্লেখ্য, ২০২৫ সালের জুলাইয়ে রাশিয়া প্রথম দেশ হিসেবে আফগানিস্তানের ইসলামিক আমিরাত সরকারকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেয় এবং তালেবানকে সন্ত্রাসী সংগঠনের তালিকা থেকে সরিয়ে তাদের রাষ্ট্রদূতকে গ্রহণ করে।
