লিগ না হলে আর্থিক সুবিধার প্রস্তাব


লিগ না হলে আর্থিক সুবিধার প্রস্তাব
লিগ আয়োজন করা সম্ভব না হলে ঢাকা প্রথম বিভাগের ১২টি ক্লাবের আর্থিক ক্ষতি পুষিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছিল বলে জানান একটি ক্লাবের সভাপতি। কয়েকটি ক্লাবের কর্মকর্তা নীরবে সে প্রস্তাব মেনে নিলেও বাকিরা লিগে খেলার দাবি তোলেন। ক্রিকেটারদের খেলার মাঠে রাখার পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন তারা। ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্রোপলিশ (সিসিডিএম) কর্মকর্তা ও বিসিবি সহসভাপতি ফারুক আহমেদের প্রতিশ্রুতি ছিল লিগ আয়োজনের। বিসিবির সাবেক এ সভাপতি প্রথম বিভাগের বিদ্রোহী আট ক্লাবকে লিগের খেলায় ফেরাতে চেষ্টা করছেন বলে জানান একজন পরিচালক। বিদ্রোহী তালিকায় থাকা চার থেকে পাঁচটি ক্লাব খেলতে রাজি হতে পারে বলে জানান সিসিডিএমের একজন কর্মকর্তা। যদিও সমমনা ৪৩টি ক্লাবের কর্মকর্তারা বিষয়টি উড়িয়ে দেন। আম্বার স্পোর্টিং ক্লাব প্রতিনিধি জিয়াউর রহমান গতকাল জানান, এ রকম কোনো কিছু হওয়ার সম্ভাবনা দেখেন না তিনি। ঢাকা লিগে খেলার প্রতিশ্রুতি দিয়ে দলবদল করা ১২টি ক্লাবের ১০টি বিসিবির বর্তমান কমিটির কর্মকর্তাদের। এ কারণে লিগে খেলার জন্য ৫ ও ৬ নভেম্বর দলবদলে অংশগ্রহণ করে তারা। বিসিবি থেকে ক্লাবগুলোকে আর্থিক সুবিধা বৃদ্ধির ব্যাপারে নিশ্চিত করা হয়েছিল। একটি ক্লাবের চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমাদের বলা হয়েছিল লিগ না হলে ক্লাবের মাধ্যমে ক্রিকেটারদের আর্থিক সুবিধা দেওয়া হবে। আমরা বলেছিলাম, খেলা না হলে টাকা দিয়ে কী হবে। লিগ না হলে ক্রিকেটই তো শেষ হয়ে যাবে।’ প্রথম বিভাগের ক্রিকেটার ও ক্লাবগুলোকে আর্থিক সুবিধা দেওয়ার ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত হয়েছে কিনা জানতে চাওয়া হলে সিসিডিএম চেয়ারম্যান আদনান রহমান দীপন বলেন, ‘অফিসিয়ালি এ রকম কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। ক্লাবগুলোর সুবিধা বাড়ানো নিয়ে আগেই কথা হয়েছে। সেগুলো কার্যকর করা হবে লিগ মাঠে গড়ালে। আমরা শেষপর্যন্ত চেষ্টা করব লিগ চালাতে। ২৫ নভেম্বর থেকে লিগ আয়োজনের সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করে শনিবার চিঠি ইস্যু করা হবে। তবে ২০ নভেম্বর ক্লাবগুলোর সঙ্গে বিসিবি সভাপতির মিটিং আছে। ওই মিটিংয়ের পরই বাকি সিদ্ধান্ত। আশা করি, ১৭টি দল নিয়ে প্রথম বিভাগ লিগ শুরু করতে পারব।’ সিসিডিএম চেয়ারম্যান দীপন জানান, ২০০ ক্রিকেটার দলবদলে টোকেন তুলেছেন। বিদ্রোহী ক্লাবগুলো খেলতে চাইলে ১০০ ক্রিকেটার নির্দিষ্ট ক্লাবের পক্ষে টোকেন জমা দিলেই হবে। গাজী টায়ার্স ক্রিকেট একাডেমি, আম্বার স্পোর্টিং ক্লাব, পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাব, খেলাঘর সমাজকল্যাণ সমিতিকে টার্গেট করা হয়েছে লিগে খেলতে রাজি করতে। বুধবার ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের (কোয়াব) কর্মকর্তারা বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলের সঙ্গে দেখা করে বিদ্রোহী ৪৩টি ক্লাবের সঙ্গে বৈঠক করার অনুরোধ জানান। কোয়াব সভাপতি মোহাম্মদ মিঠুন বলেন, ‘আমাদের অনুরোধে বুলবুল ভাই ক্লাবের সঙ্গে বসতে রাজি হয়েছেন। ক্রিকেটারদের স্বার্থে উভয় দিক থেকে সমঝোতা ও আন্তরিকতা প্রয়োজন। আমরা আশাবাদী ভালো কিছু হবে।’ দিপন জানান, ৪৩টি না ৭৬টি ক্লাবের কর্মকর্তাদের নিয়ে সভা করবেন বিসিবি সভাপতি, আজ জানা যাবে সে সিদ্ধান্ত।