ঘন কুয়াশা থেকে বীজতলা রক্ষা করবেন যেভাবে
অনলাইন নিউজ ডেক্স
বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীতের কারণে বোরো ধানের বীজতলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। চারা বিবর্ণ হয়ে হলুদ ও লালচে রং ধারণ করছে। কৃষকরা ছাই ও ওষুধ ছিটিয়ে, পলিথিন দিয়ে ঢেকে রেখে বীজতলা রক্ষার চেষ্টা করছেন। এ অবস্থায় বোরোর বীজতলা নষ্টের আশঙ্কায় কৃষকরা চিন্তিত হয়ে পড়েছেন।শিবগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানায়, চলতি মৌসুমে ২১ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এর মধ্যে ১ হাজার ৬২ হেক্টর জমিতে ধানের বীজতলা রয়েছে। তবে ঘন কুয়াশার কারণে এ বছর প্রায় পাঁচ হেক্টর জমির বীজতলা নষ্ট হওয়ার উপক্রম দেখা দিয়েছে।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শিবগঞ্জ উপজেলার আমজানি, উথলী, বনতেঘরী, শব্দলদীঘি ও পৌরসভার তেঘরীসহ কয়েকটি এলাকার বেশির ভাগ মাঠের বীজতলাই বিবর্ণ রূপ ধারণ করেছে। কোথাও হলুদ, কোথাও কালচে এবং লাল বর্ণ ধারণ করেছে। চারা এবং বীজতলা রক্ষায় পলিথিন বিছানো রয়েছে।তেঘরী গ্রামের কৃষক লুৎফর রহমান মুকুল, আলমগীর হোসেন, হেলিপ্যাড এলাকার সাইদুর রহমান, রাঙ্গামাটিয়া গ্রামের আসাদ মিয়া, আব্দুল মান্নান, দহিলা গ্রামের সাজু মিয়া বলেন, তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশার কারণে বীজতলায় ধানের বীজ নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ধানের চারাগুলো হলুদ বর্ণ ধারণ করেছে। আমরা বীজতলা রক্ষায় পলিথিন দিয়ে ২৪ ঘণ্টা বীজতলা ডেকে রেখে ধানের চারাগুলোকে রক্ষার চেষ্টা করছি।উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আল মুজাহিদ সরকার বলেন, চলতি বোরো মৌসুমে কৃষকদের বীজতলা রক্ষার জন্য ঘন কুয়াশা থেকে বাঁচাতে বিভিন্ন পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে স্বচ্ছ পলিথিন দিয়ে বীজতলা ঢেকে রাখা ও রাতে বীজতলায় দুই ইঞ্চি পানি রেখে সকালে বের করে দেওয়া। এছাড়াও মাঠকর্মীরা নানাভাবে কৃষকদের সহযোগিতা করছেন।
ডোনেট বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।