খাওয়ার মাঝখানে পানি পানে হতে পারে ১০০টিরও বেশি রোগ
অনলাইন নিউজ ডেক্স
আমরা সবাই জানি পানির অপর নাম জীবন। আমাদের সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে হলে প্রতিদিনই পানি পান করতে হয়। চিকিৎসকরাও সুস্থ জীবনযাপনের জন্য প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করতে বলে থাকেন। পানি শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বের করা, শরীরে অক্সিজেনের জোগান দেওয়ার মতো কাজ করে। ফলে নিয়ম করে প্রতিদিন পানি পান করা জরুরি।প্রাচীন চিকিৎসা শাস্ত্রের মতে, ভুল পদ্ধতিতে পানি খেলে উলটো কুপ্রভাব পড়তে পারে শরীরের ওপর। সেক্ষেত্রে হতে পারে খাবার হজমে সমস্যা। পাচনতন্ত্রের ওপর খারাপ প্রভাব পড়ে।প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ককে প্রতিদিন ২-৩ লিটার পানি পান করার পরামর্শ দেওয়া হয়। আয়ুর্বেদেও উল্লেখ করা হয়েছে, কখন পানি পান করা ক্ষতিকর হতে পারে। হ্যাঁ, অনেকেরই খাওয়ার সময় পানি পান করার অভ্যাস আছে। এ অভ্যাস থাকলে পাচনতন্ত্রের ওপর খারাপ প্রভাব পড়ে।এছাড়া পেট সংক্রান্ত অনেক সমস্যাও হতে পারে। এ কারণেই আয়ুর্বেদে খাওয়ার সময় পানি না পানের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।ভারতের লক্ষ্ণৌর আয়ুর্বেদা কলেজ ও হাসপাতালের আয়ুর্বেদাচার্য ডা. সর্বেশ কুমার বলেছেন, আয়ুর্বেদে এমন ১০০টিরও বেশি রোগের উল্লেখ রয়েছে- যা খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পানি পান করলে হতে পারে। এ কারণেই আয়ুর্বেদে খাবার খাওয়ার অন্তত এক ঘণ্টা আগে পানি পান করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। একই সময়ে, খাওয়ার পরে প্রায় এক বা দুই ঘণ্টা জল না খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।বিশেষজ্ঞরা বলছেন, খাওয়ার সময় পানি পান করলে হজম শক্তি দুর্বল হয় এবং স্থূলতা বাড়ে। বলা হয়ে থাকে সুস্থ শরীরের তখন হয় যখন আমাদের পাকস্থলী সুস্থ থাকে। আমাদের পাকস্থলী সুস্থ না থাকলে শরীরের সুস্থ থাকা অসম্ভব। তাই খাওয়ার সময় পানি পান করা উচিত নয়। খাওয়ার সময় আপনি যে পানি পান করেন তা আপনার পাকস্থলীর পৃষ্ঠ দ্বারা শোষিত হয়। হজমের জন্য প্রয়োজনীয় তরল ঘন না হওয়া পর্যন্ত পানি শোষণের এই প্রক্রিয়া চলতে থাকে। প্রয়োজনের চেয়ে বেশি পানি পান করলে এ তরল খাবারের চেয়ে ঘন হয়ে যায়। এমন অবস্থায় খাবার হজমের জন্য গ্যাস্ট্রিক জুস তৈরি হতে থাকে, যার ফলে বদহজম, গ্যাস ও বুকজ্বালা হতে থাকে।
ডোনেট বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।