ঘাটাইলে সড়ক ও জনপথের জায়গা দখল করে দোকান নির্মাণ
অনলাইন নিউজ ডেক্স
টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলায় আনেহলা ইউনিয়নে মাকেশ্বর ঘাটাইল টু ভুয়াপুর রাস্তার দুই পাশে সড়ক ও জনপথের জায়গা দখল করে দোকান ঘর নির্মানের অভিযোগ উঠেছে।। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী জমির মালিকরা একত্রিত হয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি অভিযোগ করেছেন।লিখিত অভিযোগ ও সরেজমিনে গিয়ে জানা যায় আনেহলা ইউপির মাকেশ্বর বাজারের কয়েক কোটি টাকা মূল্যের সরকারি খাস জমি অবৈধভাবে দখল করে মার্কেট নির্মাণ করেছেন ভূমিদস্যু একটি চক্র। ঘাটাইল টু ভুয়াপুর আঞ্চলিক সড়কের ১০৭ নং জে,এল ও ৭১ নম্বর দাগের খাস খতিয়ান ভুক্ত দুই পাশে প্রায় ৭০টি ঘর নির্মাণ করে ভাড়া দিয়েছেন তারা। এরমধ্য আব্দুস সালাম, ফনি শাহ, বাইস কাইলের হায়দর খান, গৌরাঙ্গির খোরশেদ, মাকেশ্বরের আনোয়ার, বাইসকাইলের লাল মিয়া ডাক্তার, স্থানীয় ছালামের ছেলে মাসুম, মনোয়ারা, শিমলার দুদু মিয়া, স্থানীয় সবুজ মিয়া, মিজানুর, সাহেব আলী, কালাম মিয়াসহ আরো অনেক প্রভাবশালী ব্যক্তি।স্থানীয় জুলহাস উদ্দিন নামে এক ব্যক্তি একাই ১০টি ঘর তৈরি করে দোকান ভাড়া দিয়ে মোটা অংকের টাকা মাসিক ভাড়া উত্তোলন করছেন। তিনি সরকারের কোন নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে আওয়ামী লীগের বাহামভুক্ত লোকজনের ছত্রছায়ায় ঘরগুলো নির্মাণ করে পজিশন ভাড়া দিয়েছেন। এভাবে অনেকেই আরো ৭০টির মত ঘর নির্মাণ করে ভাড়া দিয়েছেন।এলাকার আজহারুল ইসলাম জানান, আগে রাস্তার দুই পাশেই খালি জায়গা ছিল। আট-দশ বছর আগে এলাকার লোকজন মিলে ঘর উঠিয়ে ব্যবসা করছে। এই জায়গা সরকারের খাস খতিয়ানের আওতাভুক্ত। সরকার যদি চায় তাহলে যেকোন সময় মার্কেট ও দোকানঘর ভেঙে দিতে পারে। এতে কারও আপত্তি থাকার কথা না।আব্দুস সালাম নামে এক ব্যক্তি বলেন, জায়গাটি মুলত বিমল নামে এক হিন্দু ব্যক্তির অধিনে ছিল। আওয়ামী লীগের লোকজন মিলে তাকে এখান থেকে সরিয়ে দিয়ে জায়গাগুলো দখল করেছে। সরকার ইচ্ছে করলে যেকোন সময় এই খাস জমি উদ্ধার করতে পারে।অবৈধভাবে সরকারি জমি দখল করা জুলহাস উদ্দিন ঘর উঠানোর বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, সরকারি জায়গায় ঘর উঠানোর কোনো নিয়ম নেই। সরকার যদি ঘর ভেঙে দেওয়ার জন্য নোটিশ দেয় অথবা ব্যবস্থা গ্রহণ করে তাহলে কোনো আপত্তি নেই। তিনি আরো বলেন, এখানে যতগুলো ঘর আছে সবগুলো সরকারি খাস জমির ওপর।মো. শুভ খান বলেন, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় প্রভাবশালীদেও ছত্রছায়ায় ক্ষমতার অপব্যবহার করে রাতারাতি ঘরগুলো উঠিয়ে ফেলেছেন। আমরা সরকারি এই জায়গা উচ্ছেদ চাই।উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমীন ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। সহকারী কমিশনার (ভূমি) কিশোর কুমার দাসকে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সরকারি জায়গায় কেউ অবৈধ স্থাপনা বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করলে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভ’মি) কিশোর কুমার দাস জানান আমরা সড়ক ও জনপথ কে চিঠি দিয়েছি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য।
মধুপুর সড়ক ও জনপথ উপ সহকারী প্রকৌশলী মোঃ রফিকুল হক মুঠোফোনে জানান মাকেশ্বর রাস্তা নেই আমরা ওখনে ব্যবস্থা নিতে পারবো না ।কেননা জায়গাটা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের ।যদি জায়গাটা কখনো একোয়ার নেই তখন দেখা যাবে।
ডোনেট বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।