তোফাজ্জল হত্যা: এখন পর্যন্ত যেসব পদক্ষেপ নিল ঢাবি প্রশাসন


গত ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলে কিছু শিক্ষার্থী তোফাজ্জল হোসেন নামে মানসিক ভারসাম্যহীন এক ব্যক্তিকে চোর সন্দেহে কয়েক দফা নির্যাতন করে। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তোফাজ্জলকে মৃত ঘোষণা করে। এতে সামাজিকমাধ্যমসহ সারা দেশে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় উঠে। সংঘটিত ওই ঘটনাকে ‘দুঃখজনক’ আখ্যা দিয়ে এখন পর্যন্ত বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) প্রক্টরের দফতর থেকে এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব উদ্যোগের কথা জানানো হয়। বিবৃতিতে বলা হয়, ১৯ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট অফিসের সুপারভাইজার মোহাম্মদ আমানুল্লাহ বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় এ ঘটনায় মামলা করেন। অভিযুক্ত ৬ শিক্ষার্থীকে ঘটনা সংঘটিত হওয়ার ৬ ঘণ্টার মধ্যে প্রক্টরিয়াল টিমের সহায়তায় গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে এবং বর্তমানে জেল হাজতে আছে। এতে বলা হয়, ১৯ সেপ্টেম্বর সকালে হল প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে একটি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়। ঘটনার ২০ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয় এবং উক্ত কমিটি ইতোমধ্যে একটি প্রতিবেদন প্রদান করেছেন। তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে হল প্রশাসন অভিযুক্ত ৮ শিক্ষার্থীর আবাসিক সিট বাতিল করেছে। একইসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অভিযুক্ত ৮ শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করেছে। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, কোনো শিক্ষার্থী জড়িত আছে কিনা তা জানার জন্য আরও একটি কেন্দ্রীয় তদন্ত কমিটি গঠন করার উদ্যোগ নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এর পাশাপাশি পুলিশ প্রশাসনও প্রচলিত আইনে তদন্ত কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া জরুরি সিন্ডিকেট সভায় এ রকম ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঠেকানোর জন্য পরবর্তী পদক্ষেপ ও করণীয় সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।