এত সহজে কালিমা লাগানো যাবে না: ঋতুপর্ণা
অনলাইন নিউজ ডেক্স
কলকাতার আলোচিত আরজি কর কাণ্ডের পর শ্যামবাজারের প্রতিবাদী অবস্থানে গিয়ে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান শুনতে হয়েছিল টালিগঞ্জের জনপ্রিয় অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকে। এই ঘটনায় পর থেকেই বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে তিনি। এবার দুর্গাপূজার কার্নিভ্যালে নৃত্য পরিবেশন করে কটাক্ষের মুখে পড়তে হয়েছে এই অভিনেত্রীকে। তবে ট্রলকারীদের উদ্দেশ্যে এবার মুখ খুললেন ঋতুপর্ণা।ভাতরীয় সংবাদমাধ্য আনন্দবাজারকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ঋতুপর্ণা বলেন, ‘আমি একজন শিল্পী শিল্পসত্তা নিয়েই আমার জীবন। আমার বিবেক-বোধ কারও কাছে জমা রাখিনি। অনেক বছরের পরিশ্রম আর অধ্যবসায়ের ফলে আমার আজকে এই অবস্থান। আজও একইভাবে পরিশ্রম করি। আমার সম্বন্ধে অনেক কথা শুনি। কিন্তু নিজের লক্ষ্যে স্থির থাকি। আমি অত্যন্ত পীড়িত এবং বিধ্বস্ত তিলোত্তমার ঘটনা নিয়ে।কটাক্ষের বিষয়ে অভিনেত্রী বলেন, অনেক অনুষ্ঠান, অনেক পূজার উদ্বোধন বাতিল করেছি। পুরস্কার নিতেও যেতে পারিনি। কিন্তু দু’একটা কাজের দিকে আমার নাচের দল তাকিয়ে থাকে। তাদেরও সংসার খরচ বহন করতে হয়।তিনি বলেছেন, তিলোত্তমা কাণ্ডে বিচার চাই প্রতিনিয়ত। আমাকে কটাক্ষ করে, ছোট করে কিছু পাওয়া যাবে না। আমি নিজের বিবেকের কাছে পরিষ্কার। একদম পরিষ্কার আকাশের মতো। কালিমা লাগানো যাবে না এত সহজে।ঋতুপর্ণা বলেন, আমাকে কোনো তকমা দেওয়া যাবে না। প্রধানমন্ত্রীকে সম্মান করি। মুখ্যমন্ত্রীকে সম্মান করি। সাবেক মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর শেষ যাত্রাতেও গিয়েছিলাম। সিবিআই, সরকার এবং সুপ্রিম কোর্টের কাছে আশা প্রার্থী যে তিলোত্তমা এবং ডাক্তাররা বিচার পাক।অভিনেত্রীর ভাষ্য, মাননীয়ার কাছেও প্রার্থনা জানাই। তবে আমাদের সবাইকে কর্ম করতে হবে। কর্ম আমাদের ধর্ম। কর্মের মধ্যেই প্রতিবাদ থাকবে। থাকবে সুবিচারের প্রতীক্ষা। তিলোত্তমার পরিবারকে আমার প্রণাম। ডাক্তারদের প্রতি সহমর্মিতা রইল। সুস্থ হয়ে উঠুক সবাই এই কামনা করি।
ডোনেট বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।