অর্থনৈতিক সংকটে ভারতকে যে আহ্বান জানাল মালদ্বীপ


ভারত-মালদ্বীপ সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছে বেশ কিছু দিন ধরেই। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে অপমানজনক মন্তব্য করেছিলেন মালদ্বীপের তিন মন্ত্রী। এর পর থেকেই দুই দেশের রাজনৈতিক সম্পর্কের ফাটল আরও গভীর হতে থাকে। যার জেরে দেশ থেকে ভারতীয় সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জু। অন্যদিকে, মালদ্বীপ বয়কটের ডাক দেয় ভারত সরকার। ফলে আর মালদ্বীপ ঘুরতে যান না ভারতীয়রা। সম্প্রতি মালদ্বীপ বেড়াতে যাওয়া ভারতীয় পর্যটকের সংখ্যা প্রায় অর্ধেক হয়ে গেছে। ফলে অর্থনৈতিক সংকটে পড়েছে মালদ্বীপ। এ সংকট নিরসনে নিজ দেশ এবং ভারতের মধ্যে ঐতিহাসিক সম্পর্কের ওপর জোর দিয়েছেন মালদ্বীপের পর্যটনমন্ত্রী ইব্রাহিম ফয়সাল। সোমবার ভারতীয় পর্যটকদের মালদ্বীপ ঘুরতে যাওয়ার অনুরোধ জানালেন তিনি। মঙ্গলবার এনডিটিভির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে। ফয়সাল বলেছেন, আমাদের একটা ইতিহাস আছে। আমাদের নবনির্বাচিত সরকারও ভারতের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করতে চায়। আমরা সবসময় শান্তি এবং বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে বিশ্বাস করি। আমাদের জনগণ এবং সরকার ভারতীয়দের আগমনকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানাবে। পর্যটনমন্ত্রী হিসাবে আমি ভারতীয়দের মালদ্বীপের পর্যটনের অংশ হতে অনুরোধ করছি। কারণ, আমাদের অর্থনীতি পর্যটনের ওপর নির্ভরশীল। সোমবার মালদ্বীপের একটি রিপোর্ট জানিয়েছে, সে দেশে ভারতীয় পর্যটক ৪২ শতাংশ কমেছে। ২০২৩ সালে প্রথম চার মাসে মালদ্বীপে বেড়াতে গিয়েছিলেন ৭৩ হাজার ৭৮৫ জন ভারতীয়। চলতি বছরের চার মাসে তা কমে গিয়ে ৪২ হাজার ৬৩৮ জনে দাড়িয়েছে। অর্থাৱ ৩১ হাজার ১৪৭ জন পর্যটক কমেছে চলতি বছরে। শুধু তাই নয়, ওই পর্বে গত বছর দেশভিত্তিক পর্যটকের পরিসংখ্যানে ভারত ছিল দ্বিতীয় স্থানে। চলতি বছরে ষষ্ঠ স্থানে নেমে গেছে মালদ্বীপে ভারতীয় পর্যটকদের সংখ্যা। ভারতীয় পর্যটকদের সংখ্যা কমতেই বড়সড় ধাক্কা খেয়েছে মালদ্বীপের পর্যটন শিল্প। মালদ্বীপের অর্থনীতির অন্যতম প্রধান স্তম্ভ হলো সেদেশের পর্যটন। এজন্য প্রভাব পড়েছে দ্বীপরাষ্ট্রের অর্থনীতিতেও। এর আগে ভারতের বিরুদ্ধে মালদ্বীপের বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার অভিযোগ এনেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট মুইজ্জু। গত বছরের সেপ্টেম্বরে ইন্ডিয়া আউট প্রচারণার মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন তিনি। ক্ষমতায় এসে মুইজ্জু মালদ্বীপকে ভারত কর্তৃক উপহার দেওয়া তিনটি বিমান চলাচল প্ল্যাটফর্ম পরিচালনাকারী ৮৮ জন ভারতীয় সামরিক কর্মীকে প্রত্যাহার করতে বাধ্য করেছিল।