আওয়ামী লীগের দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সংঘাত এখন প্রকাশ্যে


বগুড়ার ধুনট উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রচারণায় পাল্টা-পাল্টি হামলার অভিযোগ করেছেন ক্ষমতাসীন দলের দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ওই সব প্রার্থীদের সমর্থকরা একে অপরের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ করেছেন। জানাগেছে, আগামী ৫ জুন বগুড়া জেলার ধুনট উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এই উপজেলার একটি পৌরসভাসহ ১০টি ইউনিয়নে ভোটার রয়েছে ২ লাখ ৫৫ হাজার ৩২৪ জন। এই নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে যাচ্ছেন তারা হলেন, ধুনট উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ধুনট উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুল হাই খোকন, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ধুনট উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি অধ্যাপক টিআইএম নুরুন্নবী তারিক ও সাবেক এমপির পুত্র ধুনট উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী আসিফ ইকবাল সনি। এছাড়া পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে যারা প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন তারা হলেন, ধুনট উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ইকবাল হোসেন রিপন, ধুনট পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক চপল মাহমুদ ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা অমৃত কুমার লিটন সহ আরো কয়েক প্রার্থী। তবে এই নির্বাচনে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান মহসীন আলম অংশ নিচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন তিনি। পাকিস্তানি সাদিক খান টানা তৃতীয়বার লন্ডনের মেয়র নির্বাচিত তাছাড়া মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে যারা প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন তারা হলেন, বর্তমান ভাইস চেয়ারমান ধুনট উপজেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সভাপতি পপি রানী সাহা, সাধারণ সম্পাদক সুলতানা জাহান ও সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান নাজনীল নাহার। এদিকে নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই বাড়ছে সংঘাত। এই নির্বাচনে বিএনপি বা অন্য কোন দল অংশ না নিলেও ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলীগের প্রভাবশালী দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর কর্মী সমর্থকদের সংঘাত এখন প্রকাশ্যে রূপ নিয়েছে। চেয়ারম্যান প্রার্থীরা একে অপরের বিরুদ্ধে পাল্টা-পাল্টি হামলার অভিযোগও করছেন। তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এসব হামলার খবর ছড়িয়ে পড়ায় ভোটাররাও ভীত হয়ে পড়ছেন। এবিষয়ে সাবেক এমপি হাবিবর রহমানের ছেলে ধুনট উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক চেয়ারম্যান প্রার্থী আসিফ ইকবাল সনি এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, সরকার নিরেপেক্ষ সুষ্ঠ নির্বাচনের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে। এজন্য আমরা নির্বাচনে অংশ গ্রহন করেছি। কিন্তু গত ২ এপ্রিল নির্বাচনের প্রচারণা শেষে আমার কর্মীরা যাওয়ার পথে বিশ^হরিগাছা বাজার এলাকায় প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী নূরুন্নবী তারিক উপস্থিত থেকে আমার কর্মীদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় তারা আমার কর্মীদের ৫টি মোটরসাইল ভাংচুর করে এবং পিটিয়ে তাদেরকে আহত করে। এছাড়া গত কয়েক দিনে গোসাইবাড়ি ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শিক্ষক আব্দুস সালাম সহ আরো ৮ জন নেতা কর্মীকে আহত করা হয়। তবে এবিষয়ে ধুনট উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক টিআইএম নূরুন্নবী তারিক বলেন, গোপালনগর এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণায় যাওয়ার সময় ধুনট-মথুরাপুর সড়কের চান্দিয়ার নামক স্থ্ােন সাবেক এমপির ছেলে সনির সমর্থকরা প্রথমে আমার গাড়িতে হামলা চালায়। এসময় দলীয় নেতাকর্মীসহ স্থানীয় লোকজন তাদেরকে প্রতিহত করেছে। এবিষয়ে ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সৈকত হাসান বলেন, নির্বাচন নিয়ে পাল্টা-পাল্টি হামলার কোন অভিযোগ কেউ করেনি। এবিষয়ে অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে এসব বিষয়ে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আশিক খান বলেন, সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত করার লক্ষ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। কোন প্রার্থী যদি নির্বাচনী আচরন বিধি লংঘন করে তাহলে সেই প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।