আতাতুর্কের মৃত্যুবার্ষিকীতে যে বার্তা দিলেন এরদোগান
অনলাইন নিউজ ডেক্স
আধুনিক তুরস্কের প্রতিষ্ঠাতা মুস্তাফা কামাল আতাতুর্কের মৃত্যুবার্ষিকীতে তাকে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন দেশটির জনগণ ও প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান।
এ উপলক্ষ্যে রোববার (১০ নভেম্বর) তুর্কি প্রেসিডেন্ট তার ভাষণে কামাল আতাতুর্কের ঐক্য ও স্বনির্ভরতার বার্তাকে পুনরায় সামনে আনেন এবং দেশের অভ্যন্তরে বিদেশি চক্রান্তকে প্রতিহত করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
আতাতুর্কের নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত এই প্রজাতন্ত্রের মূল্যবোধকে বজায় রাখার ওপর জোর দিয়ে এরদোগান বলেন, আতাতুর্কের উত্তরাধিকারকে বাঁচিয়ে রাখার মাধ্যমে তুরস্ককে আরও উন্নত করা সম্ভব হবে।
এদিন আতাতুর্কের সমাধিস্থল আনিতকবিরে সকাল থেকেই বড় আয়োজনের মাধ্যমে স্মরণ অনুষ্ঠান শুরু হয়। তুর্কি জনগণ গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে এই স্মরণীয় মুহূর্তটিকে চিহ্নিত করতে এক মিনিটের নীরবতা পালন করেন। এদিন তুরস্কের বিভিন্ন শহরে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা কবিতা ও সংগীত পরিবেশন করে।
ইস্তাম্বুলে প্রচণ্ড ঠাণ্ডা ও বৃষ্টির মধ্যে ডলমাবাহচে প্রাসাদে আতাতুর্কের শেষমুহূর্তগুলো কাটানো কক্ষেও লোকজন শ্রদ্ধা জানাতে ভিড় করেন এদিন।
এরদোগান তার বক্তৃতায় বলেন, এই জাতির ঐক্য এবং সংহতি ক্ষুণ্ণ করার যেকোনো প্রচেষ্টা আতাতুর্কের উত্তরাধিকারকে অবমাননা করার সমান।
সেই সঙ্গে তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলোর মাধ্যমে বিদেশি শক্তি তুরস্কে অনৈক্য সৃষ্টি করতে চায়। তবে আমরা তাদের সেই দুঃস্বপ্ন ভেঙে গুড়িয়ে দেব’।
মুস্তাফা কামাল আতাতুর্কের জীবন ও সংগ্রামের ইতিহাসে তুরস্কের স্বাধীনতা যুদ্ধের গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে। বিশ্বযুদ্ধের পর যখন উসমানীয় (অটোম্যান) সাম্রাজ্য পতনের মুখোমুখি, তখন কামাল আতাতুর্ক সাহসিকতার সঙ্গে নেতৃত্ব দেন এবং ১৯২৩ সালে তুরস্ক প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন।
তার বিভিন্ন সংস্কারমূলক পদক্ষেপ ও সামাজিক পরিবর্তন তুরস্ককে আধুনিকায়নের পথে নিয়ে যায় এবং তাকে দেশটির নায়ক হিসেবে সর্বত্র শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার আসনে অধিষ্ঠিত করে। সূত্র: ডেইলি সাবাহ
ডোনেট বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।