আহ্সান গঞ্জ স্টেশনে ঢাকাগামী সকল আন্ত:নগর ট্রেনের স্টপেজ না থাকায় যাত্রীদের দুর্ভগ


আহ্সান গঞ্জ স্টেশনে ঢাকাগামী সকল আন্ত:নগর ট্রেনের স্টপেজ না থাকায় যাত্রীদের দুর্ভগ
উত্তরের গ্রামীণ জনপদ নওগাঁ র আত্রাই উপজেলায় বৃটিশ আমল থেকে রেল ব্যবস্থা চালু থাকলে ও আধুনিক রেল ব্যবস্থাপনার কোন ছোঁয়া এখনো পড়েনি উপজেলার আহসানগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনে।ঢাকাগামী যে সকল আন্তঃনগর ট্রেন এই স্টেশনের উপর দিয়ে যায় তার বেশির ভাগ ট্রেনে র নেই স্টপেজ এই স্টেশনে। বর্তমান স্টেশনের জরাজীর্ণ অবস্থা। নেই ভালো বসার জায়গা। স্টেশনের ছাউনি ঝাঁঝরা একটু বৃষ্টি হলে যাত্রীদের যেতে হয় নিরাপদ স্থানে। এ স্টেশন থেকে যাত্রীরা চিলাহাটি, লালমনিরহাট,রংপুর, রাজশাহী, খুলনা ও ঢাকায় যাওয়া আসা করেন।বাংলাদেশের ব্যস্ততম রেলওয়ে স্টেশনের মধ্যে আহসানগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন একটি। বৃটিশ আমলের স্টেশন হলে ও এতে আজও কোন আধুনিকতার ছোঁয়া স্পর্শ করেনি। আহসানগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনে ঢাকাগামী সব আন্ত:নগর ট্রেনের স্টপেজ না থাকায় যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সান্তাহার ও নাটোরের মধ্যবর্তী এ স্টেশন থেকে বিপুল সংখ্যক যাত্রী প্রতিনিয়ত রাজধানী ঢাকায় যাতায়াত করলেও পর্যাপ্ত সংখ্যক আন্ত:নগর ট্রেনের স্টপেজ না থাকায় তাদের এ দুর্ভোগ পোহাতে হয়। জানা যায়, নওগাঁ জেলার মধ্যে একমাত্র মানসম্পন্ন রেলওয়ে স্টেশন আহসানগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন। এ স্টেশনের উপর দিয়ে প্রতিদিন ৯ জোড়া ঢাকাগামী আন্ত:নগর ট্রেন চলাচল করে। এর মধ্যে নীলসাগর এক্সপ্রেস ও দ্রুতযান এক্সপ্রেস ট্রেনের স্টপেজ এখানে রয়েছে। যার আসন সংখ্যা সীমিত হওয়ায় অনেক যাত্রীই টিকিট প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হন। আত্রাই স্টেশন থেকে প্রতিদিন শতশত যাত্রী রাজধানী ঢাকায় যাতায়াত করে থাকেন। বিশেষ করে এ স্টেশন থেকে রাজশাহীর বাগমারা, নাটোরের সিংড়া ও নওগাঁর আত্রাই এবং রাণীনগর উপজেলার বিপুল সংখ্যক লোক রাজধানী ঢাকার সাথে যোগাযোগের ক্ষেত্রে এ স্টেশন ব্যবহার করে থাকেন। ঢাকাগামী পর্যাপ্ত পরিমাণ আন্ত:নগর ট্রেনের স্টপেজ না থাকায় এসব যাত্রীদের চরম দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে। বিশেষ করে আত্রাই থেকে সড়ক পথে ঢাকার সাথে যোগাযোগের তেমন কোন ব্যবস্থা না থাকায় এ অঞ্চলের মানুষ ট্রেন নির্ভরশীল হয়ে পড়েছেন। আর পর্যাপ্ত সংখ্যক ট্রেনের স্টপেজ না থাকায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এলাকার বিপুল সংখ্যক জনসাধারণকে। এ জনদুর্ভোগ লাঘবে আত্রাইয়ের আহসানগঞ্জ স্টেশনে কমপক্ষে ঢাকাগামী আন্ত:নগর চিলাহাটি এক্সপ্রেস, পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ও লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রা বিরতি কার্যকর করার দাবি এলাকার সচেতন মহলের। ঢাকাগামী নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রী মামুনুর রশীদ বলেন,আহসানগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনের বর্তমান জরাজীর্ণ অবস্থা।ঢাকা যাবার জন্য অবস্থান করছি।এখানে নেই কোন ভালো বসার জায়গা। প্রথম শ্রেণির বিশ্রামাগার থাকলে ও নানা সমস্যায় জর্জরিত। দীর্ঘ সময় ধরে যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে আমাদের জানিনা কোন দিন এই সমস্যার সমাধান হবে কি না। আত্রাই উপজেলার দমদমা গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমরা ঢাকায় কর্মরত। বিভিন্ন সময় বাড়িতে যাবার প্রয়োজন হলে আত্রাই স্টেশনে আন্ত:নগর ট্রেনের স্টপেজ না থাকায় চরম বিড়ম্বনার শিকার হতে হয়। বিশেষ করে যখন ফ্যামেলি নিয়ে যাওয়া আসা করতে হয় তখন এ দুর্ভোগ আরও চরম আকার ধারণ করে। ঈদ মৌসুমের কথা না-ই বললাম।আত্রাইয়ে যদি আর ২/৩টি ঢাকাগামী আন্ত:নগর ট্রেনের যাত্রা বিরতি দেয় তাহলে আমরা আত্রাই বাসীসহ পার্শবর্তী রাজশাহীর বাগমারা, নাটোরের সিংড়া ও নওগাঁর আত্রাই এবং রাণীনগর উপজেলার বিপুল সংখ্যক লোক ব্যাপক উপকৃত হবো। বর্তমানে আহসানগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন অবহেলিত, কারণ এর অবকাঠামোগত উন্নয়নের অভাব রয়েছে এবং আধুনিক সুযোগ-সুবিধা নেই। এই স্টেশন থেকে ঢাকাগামী পর্যাপ্ত আন্তঃনগর ট্রেনের স্টপেজ না থাকায় যাত্রীদের ভোগান্তি পোহাতে হয়। ব্রিটিশ আমলের এই স্টেশনটির দ্রুত আধুনিকীকরণ এবং সংস্কারের দাবি স্থানীয়দের। আহসানগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুব্রত কুমার বলেন,ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে এই স্টেশন সম্পর্কে লিখিত ভাবে সংস্কারের জন্য আবেদন দেওয়া রয়েছে। বাস্তবায়ন হলে দ্রুত রেলওয়ে স্টেশন সংস্কার হবে।আহসানগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনে আরও কয়েকটি ঢাকাগামী আন্ত:নগর ট্রেনের যাত্রা বিরতি কার্যকর হলে রেলের রাজস্ব অনেক বৃদ্ধি পাবে। কেননা এখানে যাত্রীর অনেক চাহিদা আছে।