আ.লীগের ৬ নেতাকে হারিয়ে বিজয়ী হলেন বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা!


প্রথমধাপে ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ৬ নেতাকে হারিয়ে বিজয় ছিনিয়ে নিয়েছেন বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা সুহেল আহমদ চৌধুরী। তিনি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ছিলেন। বুধবার সকাল থেকে উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার মোট ৭৪টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করেছেন ৬ জন আওয়ামী লীগ ও বহিষ্কৃত ৪ জন বিএনপি নেতা। চেয়ারম্যান প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতারা হচ্ছেন- উপজেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট গিয়াস উদ্দিন (আনারস), উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আকদ্দুছ আলী (হেলিকপ্টার), পৌরসভা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক আলতাব হোসেন (টেলিফোন), যুক্তরাজ্য যুবলীগের সহ-সভাপতি শমসাদুর রহমান রাহিন (শালিক পাখি), পৌরসভা আওয়ামী লীগের সদস্য এআর চেরাগ আলী (ঘোড়া) ও যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ আলী এনাম (মোটরসাইকেল) প্রতীকে নির্বাচন করেন। বিএনপি নেতাদের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করেন- উপজেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক গৌছ খান (কই মাছ), যুক্তরাজ্য বিএনপি নেতা সেবুল মিয়া (দোয়াত কলম), জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সুহেল আহমদ চৌধুরী (কাপ-পিরিচ) এবং বিএনপি সমর্থক সফিক উদ্দিন (উট)। দলীয় প্রতীক না থাকায় তারা সবাই স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেন। তার মধ্যে দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করায় গৌছ খান ও সেবুল মিয়াকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। আর পঞ্চম উপজেলা নির্বাচনে দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়ায় বিএনপি থেকে বহিষ্কার করা হয় সুহেল আহমদ চৌধুরীকে কিন্তু এবারের ষষ্ঠ নির্বাচনেও তিনি সেই বহিষ্কার মাথায় নিয়ে স্বতন্ত্র হয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী হন। প্রথমধাপে ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনে সুহেল আহমদ চৌধুরী তার কাপ-পিরিচ প্রতীকে ভোট পেয়েছেন ১৩ হাজার ৩২২টি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট গিয়াস উদ্দিন তার আনারস প্রতীকে মোট ভোট পেয়েছেন ১২ হাজার ৯৬৮ ভোট। মাত্র ৩৫৪টি ভোট বেশি পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন সুহেল আহমদ চৌধুরী। বুধবার রাত ১টায় তাকে বেসরকারিভাবে বিজয়ী ঘোষণা করেন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা স্বর্ণালী চক্রবর্তী। তবে খাজঞ্চি ইউনিয়নের নোয়ারাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে অনিয়মের অভিযোগ এনে লিখিত দিয়েছেন অ্যাডভোকেট গিয়াস উদ্দিন। তবে দ্বন্দ্বের কারণেই আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থীদের এ ভরাডুবি হয়েছে বলে অনেকেই মনে করছেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমদ বলেন, প্রার্থীর পক্ষে কাজ না করার জন্য দলীয় সিদ্ধান্ত থাকায় এককভাবে ভূমিকা রাখা যায়নি। তাই ৬ জন প্রার্থী হওয়ায় নেতাকর্মীরা ছত্রভঙ্গ হওয়ার কারণে এ ভরাডুবি হয়েছে বলে তিনি মনে করেন।