ইমরান সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ, আহত ও গ্রেফতার অনেকে


পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে ডজনখানেক লোক আহত হয়েছে। শনিবার রাওয়ালপিন্ডিতে ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) কর্মীরা এবং তার সমর্থকরা শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ করতে গেলে পুলিশ বলপ্রয়োগ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে।পিটিআই-এর ইসলামাবাদ শাখার সভাপতি আমির গণমাধ্যমকে জানান, ‘আমরা শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ করছিলাম। তারপরেও পুলিশ আমাদের কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করার জন্য বলপ্রয়োগ করেছে।স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, পুলিশের টিয়ার গ্যাসে বেশ কয়েকজন কর্মী আহত হন এবং অনেককে গ্রেফতার করা হয়।বিক্ষোভকারীরা এ সময় তিন রঙের টুপি পরে এবং দলীয় পতাকা উড়িয়ে ‘ইমরান খান দীর্ঘজীবী হোক’, ‘ইমরান খানকে মুক্তি দাও’ এবং ‘কারচুপির নির্বাচন মানি না মানব না’ বলে স্লোগান দিচ্ছিলেন।সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, বাধা দেওয়ায় বিক্ষোভকারীরা পুলিশের দিকে পাথর নিক্ষেপ করছে এবং পুলিশ পালটা টিয়ার গ্যাস ছুঁড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করছে।পিটিআই অভিযোগ করে বলেছে, ২৮ সেপ্টেম্বর লিয়াকত বাগে সমাবেশ করার অনুমতি নিয়ে সরকারের তালবাহানা এবং দেরিতে অনুমতি দেওয়ার কারণে তারা শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ করার ঘোষণা দেয়।কিন্তু খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর আগমনের আগেই উত্তেজিত বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ শুরু হয়। মুখ্যমন্ত্রী একটি মিছিলের নেতৃত্ব দিয়ে আসছিলেন এবং বিক্ষোভে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন।পিটিআই আরও অভিযোগ করে জানায়, ‘পিটিআইয়ের অন্তর্বর্তীকালীন চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার গওহার খান এবং সেক্রেটারি জেনারেল ব্যারিস্টার সালমান আকরাম রাজার গাড়ি ইসলামাবাদ পুলিশ থামিয়ে দেয়। যা সেনা সমর্থিত বর্তমান ফ্যাসিস্ট সরকারের কাপুরুষোচিত আচরণ’।অন্যদিকে পাঞ্জাব প্রাদেশিক সরকারের মুখপাত্র আযমা বোখারি পিটিআইকে দোষারোপ করে বলেন, ‘তারা শহরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার জন্যই এ বিক্ষোভ করছে’।ইমরান খান বর্তমানে রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে বন্দি এবং তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি থেকে সন্ত্রাসবাদ পর্যন্ত একাধিক মামলায় জামিনের আবেদন চলছে। যদিও তিনি এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।আদালত ইতোমধ্যেই তার তিনটি মামলার মধ্যে দুটিতে শাস্তি বাতিল করেছে এবং তৃতীয়টি স্থগিত করেছে।উল্লেখ্য, ২০২২ সালের এপ্রিল মাসে অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে ইমরান খানকে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছিল। সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি