ইসরাইলের ওপর নিষেধাজ্ঞার হুমকি জার্মানির
অনলাইন নিউজ ডেক্স

ইসরাইলের ওপর অনির্দিষ্ট নিষেধাজ্ঞার হুমকি দিয়েছেন জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়োহান ওয়াদেফুল। মঙ্গলবার এক সাক্ষাৎকারে তিনি সতর্ক করে বলেছেন, মানবাধিকার লঙ্ঘন হয় এমন কোনও কাজে ব্যবহারের জন্য বার্লিন এখন থেকে আর অস্ত্র রফতানি করবে না।Advertisementওয়াদেফুল বলেন, গাজায় নিরবচ্ছিন্ন ইসরাইলি বিমান হামলা এবং ত্রাণ অবরোধ সেখানকার মানবিক পরিস্থিতিকে অসহনীয় করে তুলেছে। জার্মানি ঐতিহাসিকভাবে ইসরাইলকে সমর্থন করে আসলেও, এটাকে তেল আবিবের রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করা ঠিক নয়।তিনি আরও বলেন, ইহুদিবিদ্বেষ দমনে এবং ইসরাইল রাষ্ট্রের অস্তিত্ব ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে জার্মানি অঙ্গীকারবদ্ধ। তবে এই সমর্থনকে কাজে লাগিয়ে গাজায় যে সংঘর্ষ বর্তমানে চলছে, সেটা গ্রহণযোগ্য নয়। আমরা আসলে এমন একটা অবস্থায় আছি, খুব ভেবেচিন্তে পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে হবে।একই দিন, ফিনল্যান্ডে এক সম্মেলনে জার্মান চ্যান্সেলর মার্জ বলেন, হামাসকে পরাস্ত করার অজুহাত দিয়ে গাজায় সাম্প্রতিক বিমান হামলা আর মেনে নেওয়া যাচ্ছে না।জার্মান চ্যান্সেলর বলেন, হামাসের সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইতে নেমে ইসরায়েল যা করছে, তাতে সাধারণ মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। এটা কখনোই অভিপ্রেত নয়।ইসরাইল এখন কী পেতে চাইছে, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন মার্জ।হামাসের হামলার প্রতিক্রিয়ায় শুরু হওয়া গাজা যুদ্ধে ওয়াশিংটনের সঙ্গে বার্লিনও ইসরাইলকে সমর্থন দিয়ে আসছিল। তবে, সম্প্রতি তাদের প্রথাগত মিত্ররা সুর বদল করছে। গাজা ইস্যুতে ব্রিটেন, ফ্রান্স, কানাডা এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন তাদের ইসরাইল নীতি পুনর্বিবেচনা করবে বলে সতর্ক করেছে।ইসরাইলের প্রতি জার্মানির ঐতিহাসিক সহানুভূতির পেছনে নাৎসি জমানার ইহুদি গণহত্যার অপরাধবোধের একটা প্রভাব রয়েছে। এই নীতি স্ট্যাটসরেজন নামে পরিচিত। তাই জার্মানির অবস্থান পরিবর্তন বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ, যা দেশের জনমতের পরিবর্তনের প্রতিফলনও বটে।সম্প্রতি পরিচালিত কিছু জরিপে দেখা গেছে, ইসরাইলে অস্ত্র রফতানির বিরুদ্ধে মত দিয়েছেন ৫১ শতাংশ জার্মান। এছাড়া, ইসরাইলের প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে কেবল ৩৬ শতাংশ জার্মানের, যে সংখ্যাটি ২০২১ সালে ছিল ৪৬ শতাংশ।রয়টার্স
