ইসরাইলের সামরিক সদর দপ্তরে হিজবুল্লাহর ড্রোন হামলা


লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ প্রথমবারের মতো ইসরাইলের রাজধানী তেলআবিবে অবস্থিত সামরিক সদর দপ্তর হাকিরিয়া ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে। হিজবুল্লাহ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তাদের যোদ্ধারা ‘একটি স্কোয়াড্রন ড্রোন দ্বারা আক্রমণ করেছে’, যা ইসরাইলের প্রধান সামরিক সদর দপ্তর হাকিরিয়া ঘাঁটিতে আঘাত হেনেছে। বিবৃতিতে হিজবুল্লাহ আরও জানায়, হাকিরিয়া ঘাঁটিটি ইসরাইলের যুদ্ধ মন্ত্রণালয়, সাধারণ স্টাফ, যুদ্ধ পরিচালনা কক্ষ এবং বিমান বাহিনীর সামরিক নিয়ন্ত্রণ ও তদারকি কর্তৃপক্ষের সদর দপ্তর হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এছাড়াও হিজবুল্লাহর ড্রোনগুলো ইসরাইলের আমোস ঘাঁটিটিও লক্ষ্যবস্তু করেছে। এটি ইসরাইলের উত্তরাঞ্চলীয় দখলকৃত এলাকায় প্রধান লজিস্টিক সমর্থন এবং পরিবহন কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। ইসরাইলি সামরিক বাহিনী হিজবুল্লাহর এই আক্রমণ সম্পর্কে কোনো মন্তব্য না করলেও দাবি করেছে যে, তারা লেবানন থেকে ছোড়া দুটি ড্রোন এবং ৪০টি রকেট আটকে ফেলতে সক্ষম হয়েছে। হিজবুল্লাহর এই হামলা ইসরাইল কর্তৃক লেবাননের দক্ষিণ প্রান্তে বৈরুতের উপকণ্ঠে আক্রমণের কয়েক ঘণ্টা পর ঘটেছে। বৈরুতে ইসরাইলের ওই আক্রমণে অন্তত ২৮ জন নিহত এবং বহু লোক আহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন লেবাননের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা। এদিকে ইসরাইলি বাহিনী জানিয়েছে, তাদের কয়েকজন সেনা সদস্যও দক্ষিণ লেবাননে নিহত হয়েছে। হিব্রু সংবাদমাধ্যমগুলোতে বলা হয়েছে, নিহত সেনা সদস্যের সংখ্যা ৮ জন। হিজবুল্লাহ গত এক মাস ধরে লেবাননের উত্তরে দখলকৃত ইসরাইলি অঞ্চলে রকেট ও ড্রোন আক্রমণ চালাচ্ছে। যা মূলত ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাসের প্রতি সমর্থন হিসেবে পরিচালিত হচ্ছে। গত অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরাইলি হামলায় লেবাননে অন্তত ৩,৩৬০ জন নিহত হয়েছে। যার মধ্যে অধিকাংশই সেপ্টেম্বরের শেষে শুরু হওয়া ইসরাইলের স্থল আক্রমণে নিহত হয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুযায়ী, নিহতদের মধ্যে ২১৬ জন শিশু এবং ৩০৮ জন চিকিৎসাকর্মীও রয়েছেন। এই হামলা এবং পালটা আক্রমণ দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি করেছে এবং উভয় পক্ষই হামলার পরিমাণ বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। সূত্র: মেহের নিউজ এজেন্সি