ইসরায়িলের বর্বরোচিত হত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞের প্রতিবাদে বেনাপোলে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ মিছিল
বেনাপোল প্রতিনিধি

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে দেশজুড়ে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাধারণ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী। রোববার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সংবাদ সম্মেলন করে এই ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়।সংবাদ সন্মেলনে শিক্ষার্থীরা জানান, সোমবার তাঁরা কোনো ধরনের একাডেমিক কার্যক্রমে অংশ নেবেন না। তাঁদের দাবি, ইসরায়েলের এই গণহত্যা বন্ধের পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে মুসলিম বিশ্বকে জোরালো অবস্থান নিতে হবে।শিক্ষার্থীদের এই দাবী’র প্রতি সমর্থন দিয়ে বেনাপোলে ছাত্র-জনতা তথা সাধারণ মানুষ এক বিক্ষোভ কর্মসূচি’র ডাক দেয়। এ কর্মসূচিকে সফল করতে সোমবার(৭ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে বেনাপোল শহরের কেন্দ্রে অবস্থিত বেনাপোল-যশোর মহাসড়ক সংলগ্ন “নুর শপিং কমপ্লেক্স” এর সম্মুখে সবাইকে একত্র হওয়ার আহবান জানানো হয়।বিক্ষোভ সমাবেশে যুক্ত হতে বেনাপোল সহ এর আশপাশের স্কুল,কলেজের শিক্ষার্থী ও সামাজিক সংগঠন সহ শত শত মানুষ সকাল থেকে আসতে শুরু করে সমাবেশ স্থলে।সমাবেশ স্থলে বক্তারা বলেন, ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের অস্তিত্ব কখনো বিলীন হবে না উল্লেখ করে গাজায় যা হচ্ছে, এটা সম্পূর্ণ যুদ্ধাপরাধ। গাজাকে নিজেদের দখলে নিতে ইসরায়েল এই নৃশংস হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে। কিন্তু এটা স্পষ্ট, ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে সব সময় ফিলিস্তিন, গাজাকে গাজা হিসেবেই মানুষ চিনবে।ওআইসিভুক্ত ৫৭টি মুসলিম রাষ্ট্রকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে ইসরায়েল গোলকধাঁধা তৈরি করে হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে এর বিরুদ্ধে সব মুসলিম দেশকে একত্র হয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।এ সময় কয়েকজন শিক্ষার্থীরা বলেন, ওআইসিভুক্ত দেশগুলোকে রাজনৈতিক ও সামরিক পদক্ষেপ গ্রহণ, বিশ্বব্যাপী ফিলিস্তিনিদের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে যুব আন্দোলন গড়ে তোলা, যুদ্ধাপরাধ প্রতিরোধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে আইনি দায়বদ্ধতা নিশ্চিত এবং যুদ্ধ সমর্থনকারী দেশের সঙ্গে সম্পর্ক পুনর্মূল্যায়নে চাপ তৈরির আহ্বান জানান বক্তারা।বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি বেনাপোল বন্দর প্রদক্ষিন শেষে পুণরায় বেনাপোলে এসে শেষ হয়।এতে নেতৃত্ব দেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বেনাপোল ও শার্শার অন্যতম নেতা শ্রদ্ধেয় শিক্ষক স্যার আব্দুল মান্নান(অবসর প্রাপ্ত)। মিছিলটিতে বাংলাদেশের পতাকা এবং ফিলিস্তিনিদের পতাকা নিয়ে ইসরায়েল বিরোধী বিভিন্ন শ্লোগান তুলে ভর্ৎসনা জানানো হয়।
