ইস্তাম্বুলের মেয়রকে কারাগারে পাঠালো তুরস্কের আদালত, বিক্ষোভে উত্তাল দেশ


ইস্তাম্বুলের মেয়রকে কারাগারে পাঠালো তুরস্কের আদালত, বিক্ষোভে উত্তাল দেশ
তুরস্কের আদালত রোববার (২৩ মার্চ) ইস্তাম্বুলের মেয়র ও প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ানের প্রধান রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী একরেম ইমামোগলুকে দুর্নীতির অভিযোগে বিচারাধীন অবস্থায় কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে। এ ঘটনাকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও গণতন্ত্রবিরোধী হিসেবে আখ্যা দিয়ে ইউরোপীয় নেতারা এবং বিরোধী দলগুলো তীব্র সমালোচনা করেছে। একইসঙ্গে, দেশজুড়ে এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় বিক্ষোভের সূত্রপাত ঘটিয়েছে এ রায়।ইমামোগলুর বিরুদ্ধে নেওয়া পদক্ষেপের বিরুদ্ধে মূল বিরোধী দল, ইউরোপীয় নেতৃবৃন্দ এবং কয়েক লাখ প্রতিবাদকারী ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এরদোয়ান সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধিতা আরও শক্তিশালী হচ্ছে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।বিরোধী দল রিপাবলিকান পিপলস পার্টি (CHP) জানিয়েছে, দেশব্যাপী প্রায় ১.৫ কোটি সদস্য ও সমর্থক ভোটকেন্দ্রে এসে ইমামোগলুকে ভবিষ্যৎ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য তাদের প্রার্থী হিসেবে সমর্থন জানিয়েছেন। তাদের মতে, ১.৩ কোটিরও বেশি অ-পার্টি সদস্যের ভোট ইমামোগলুর প্রতি ব্যাপক জনসমর্থনের ইঙ্গিত দেয়, যা দলীয় সীমারেখার বাইরেও বিস্তৃত। CHP-এর চেয়ারম্যান এই ঘটনাকে আগাম নির্বাচনের প্রয়োজনীয়তার ইঙ্গিত হিসেবে দেখছেন।৫৪ বছর বয়সী ইমামোগলু তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগকে \"অবশ্যকল্পিত মিথ্যাচার ও ষড়যন্ত্র\" বলে উড়িয়ে দিয়েছেন এবং রোববার দেশব্যাপী প্রতিবাদ সমাবেশের ডাক দিয়েছেন। তিনি বলেন, \"আমরা সবাই মিলে এই অভ্যুত্থান, গণতন্ত্রের ওপর এই কালো দাগ মুছে ফেলবো।\"রায়ের পর, ফুটেজে দেখা গেছে পুলিশের বহরে করে তাকে সিলিভ্রি কারাগারে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তুরস্কের বৃহত্তম শহর ইস্তাম্বুলের মেয়রের পাশাপাশি আরও দুই জেলা মেয়রকেও বরখাস্ত করেছে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।সরকার অবশ্য দাবি করেছে, এই তদন্ত রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নয় এবং আদালত সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে কাজ করছে।সূত্রঃ রয়টার্স