কাটাখালি থানার মোহনপুর হাজামপাড়ার প্রতারক শামিম কসাইয়ের পাল্লায় সব খোয়ালেন সিমা
অনলাইন নিউজ ডেক্স
রাজশাহী পবা উপজেলার হরিয়ান ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের মোহনপুর হাজামপাড়া এলাকার মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে শামিম কসাই (৫০) এর বিরুদ্ধে স্ত্রীকে স্বীকৃতি না দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সরজমিনে তার বাসায় গিয়ে এর সত্যতা মিলেছে। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় শামিম আহমেদ তার বসত ঘরে তালা মেরে পালিয়েছে। ভুক্তভোগী শিমা বেগম (৪৫) বান্দায় চেয়ারে বসে কান্না করছে।
ভুক্তভোগী সীমা বেগম রাজশাহী নগরীর মতিহার থানাধীন মির্জাপুর পশ্চিম পাড়া (পুলিশ ফাঁড়ি) এলাকার মৃত আব্দুল মালেকের মেয়ে।
শামিম শুধু একাই না তার বসত ঘরে শশুর বাড়ির লোকেরা রান্নাঘরেও তালা মেরে রেখেছে বলেন সিমা বেগম।
অভিযোগ সুত্রে যানা যায়, রাজশাহী জেলার পবা উপজেলার হরিয়ান ইউনিয়নের মোহনপুর (হাজামপাড়া) এলাকার আব্দুর রহমানের ছেলে শামীম কসাইয়ের সাথে রাজশাহী নগরীর মতিহার থানাধীন রাসিক ৩০ নং ওয়ার্ডের মির্জাপুর এলাকার সীমা বেগমের সাথে দীর্ঘ এক বছর যাবত প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। সেই সম্পর্ক শেষ পর্যন্ত বিয়েতে গরিয়েছে।
গত তিন মাস আগে পবা উপজেলার হরিয়ান ইউনিয়নের মুসলিম নিকাহ রেজিস্ট্রার (কাজী) আব্দুল খালেক এর মাধ্যমে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।
মাঝখানে পারিবারিক কলহের জেরে গত তিনদিন আগে স্বামীর বাড়ি থেকে ফুফাতো ভাই হিরার বাড়িতে অবস্থান নেন।
এরপর থেকে শামীম যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। গত রবিবার ১৮ তারিখ দিবাগত রাতে রব তুলে সিমাকে তালাক দিয়েছি। তবে কোন প্রমান পত্র দেখা পারেনি শামিম।
স্থানীয়রা বলেন, নানা তালবাহানা করছে শামিম। প্রথমে বলেছে বিয়ে করিনি তাই
ঘরে উঠতে দিবো না, বিধায় ঘরে তালা মেরে রেখেছি। পরবর্তীতে ৯৯৯ থেকে ফোন পেয়ে কাটাখালি থানা পুলিশ শামিমের বাসায় গেলে শামিম বিয়ের কথা স্বিকার করেন এবং সিমাকে তালাক দেওয়া হয়েছে বলে জানান। তবে পোস্ট অফিসের রশিদ দেখাতে ব্যার্থ হয়েছে।
ভুক্তভোগীর অভিযোগ এই প্রতারক শামীম গত এক বছরে ব্যবসায় কাজে লাগানো কথা বলে গরু কেনার নাম করে ৫ (পাঁচ লক্ষ) লক্ষ টাকার মত আত্মসাৎ করেছেন।
তিনি আরো অভিযোগ করে বলেন এই শামীম আরো অন্যান্য নারীদের সাথে নিয়মিত সম্পর্ক রেখে যাচ্ছেন।
ভুক্তভোগী সীমা বেগম আরো বলেন, আমি আমার নিজের দুই সন্তানের হক নষ্ট করে এই শামীমের কাছে চলে এসেছিলাম আমি এখন ছেলেদের বাড়িতে যেতে পারছি না। শ্বশুর বাড়িতেও থাকতে পারছি না তাহলে আমি কোথায় যাবো বলে হাউ মাউ করে কাঁদতে থাকে।
সিমা আরও বলেন, শামিম তার বন্ধুদের মাধ্যমে ৯৯৯ এ ফোন করায় যে, এক বিধবা মহিলা স্বামীর দাবী নিয়ে তার বাসায় অবস্থান করছে। এতে তার মান শন্মান খুন্ন হচ্ছে। পরে পুলিশ এসে দেখেন তারা বৈধ স্বামী/স্ত্রী মিথ্যা তথ্য দিয়ে পুলিশকে ডাকা হয়েছে, কাজেই পুলিশ ফিরে যান।
প্রতারক শামিম কসাই এলাকায় অনেকের কাছে থেকে টাকা হাওলাত নিয়ে দিতে তাল বাহানা করেছে। অনেক কে গোসত খেয়ে টাকা তুলতে হয়েছে।
এব্যাপারে ভুক্তভোগি সিমার মামাত ভাই হিরা জানান, আমার বাসা মির্জাপুর আমি ব্যাবসা করি। শামিম আমার অনেক দিন আগের পরিচিত। ফ্রি গোসত খাওয়ার টোপ আমাকে দিয়েছিলো আমি তা প্রত্যক্ষান করি। আমি বোন কে নিয়ে আজ চারদিন থেকে ঝামেলায় আছি। পরিশেষে আজ কাটাখালি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছি। আমার বোনকে রাতে শামিম ব্যপক মারধর করেছে, গলায় রশি দিয়ে পেচিয়ে হত্যার চেস্টা করে ব্যর্থ হয়েছে। সে বলেছে বোনকে তালাক দিয়েছে আমার কথা হলো তালাকের কাগজ কই? আর তালাক দেওয়া বৌকে মারপিট করার এক্তিয়ার কোথায় পেল? তাহলে বেগানা মহিলার গায়ে হাত তোলার ও হত্যা চেষ্টা বিচার চাই।
ডোনেট বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।