কেন্দুয়ায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, ১৩ বসতঘর পুড়ে ছাই


নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায় এক ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ১৩টি বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। রবিবার (২ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার মোজাফরপুর ইউনিয়নের চৌকিধরা (নয়াপাড়া) গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। পুড়ে যাওয়া ঘরগুলোর মধ্যে দুটি সেমি পাকা ও এগারোটি টিনশেডের ঘর রয়েছে। এতে নগদ টাকা, আসবাবপত্র ও মালামাল পুড়ে অন্তত ২০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্তদের সাথে কথা বলে জানা গেছে। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এবং স্থানীয় লোকজন ছুটে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। সংবাদ পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাবেরী জালাল ও স্থানীয় মোজাফরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জাকির আলম ভূঞা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় তারা অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর খোঁজ-খবর নেন। ক্ষতিগ্রস্তদের বরাতে জানা গেছে, রবিবার দুপুর একটার দিকে ওই গ্রামের রুবেল মিয়ার বসতঘরের বিদ্যুতের শর্ট সার্কিট থেকে প্রথমে এ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত ঘটে। পরে দ্রুত পার্শ্ববর্তী বাড়িঘরে আগুন ছড়িয়ে পড়লে নিমিষেই ১৩টি বসতঘর ভস্মিভূত হয়। ক্ষতিগ্রস্তরা হলেন, রুবেল মিয়া, তোতা মিয়া, জবরিল মিয়া, সাইকুল ইসলাম, মোহাম্মদ মিয়া, বজলুর রহমান, মানিক মিয়া, জজ মিয়া, মোস্তাকিম মিয়া, শরীফ মিয়া, হক মিয়া, খায়রুল ইসলাম ও রহিমা আক্তার। কেন্দুয়া ফায়ার স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত ইনচার্জ বিপুল কুমার ঘোষ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, স্থানীয়দের সহাতায় আগুন নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। মূলত বিদ্যুতের শর্ট সার্কিট থেকেই এ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত রহিমা আক্তার বলেন, সহায় সম্পদ বলতে বাড়িটা ছাড়া আমাদের তেমন কিছুই নাই। অনেক কষ্ট করে জীবন চালাই। কিন্তু সর্বনাশা আগুনে আমাদের বসবাসের একমাত্র ঘরটাসহ ঘরে থাকা নগদ ২০ হাজার টাকা ও সব মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। নতুন করে ঘর তৈরি করার সামর্থ আমাদের নাই। তাই এখন থেকে খোলা আকাশের নিচেই থাকতে হবে। স্থানীয় মোজাফরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জাকির আলম ভূঞা বলেন, আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুনে ক্ষতিগ্রস্তদের খোঁজ নিয়েছি। সবকটি পরিবারই দরিদ্র। আমরা আমাদের সাধ্যমতো তাদের সহযোগিতা করব। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর জন্য উপজেলা প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেন তিনি। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাবেরী জালাল বলেন, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর জন্য আপাতত শুকনো খাবার ও কিছু কম্বল দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসক মহোদয়ের সাথে কথা বলে পরবর্তীতে তাদের জন্য ঢেউটিন ও নগদ টাকার ব্যবস্থা করা হবে।