কেরানীগঞ্জ ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা


কেরানীগঞ্জ ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা
ঢাকার কেরানীগঞ্জে ব্যবসায়ী জোবায়ের হোসেনকে (৩৭) প্রকাশ্য দিবালোকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। শনিবার বেলা ১টার দিকে উপজেলার গোলামবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তিনি গোলামবাজার মজিদপাড়ার মৃত মীর হাবিবুর রহমানের ছেলে।দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মিটফোর্ড হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনা তদন্তের জন্য ও আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গোলামবাজারে নিজের ইট-বালুর গদিতে বসা ছিলেন জোবায়ের। স্থানীয় যুবলীগ নেতা সোবহান ঢালীর নেতৃত্বে অর্ধশতাধিক লোক ধারালো অস্ত্র নিয়ে গদিতে হামলা করেন। এ সময় দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেন জোবায়ের। হামলাকারীরা পেছন পেছন দৌড়ে জোবায়েরকে কোপাতে থাকেন। একপর্যায়ে তিনি মরিয়মের চায়ের দোকানে ঢুকে প্রাণ বাঁচানোর আকুতি জানান। হামলাকারীরা সেখান থেকে টেনেহিঁচড়ে দোকানের বাইরে এনে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা নিশ্চিত করেন। এরপর ককটেল ফাটিয়ে পালিয়ে যান।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গোলামবাজার এলাকায় একটি জমি নিয়ে থানা তাঁতী লীগের সাবেক সভাপতি মোল্লা ফারুক ও জনৈক সেন্টুর মধ্যে বিরোধ চলছে। সম্প্রতি ওই জমি সেন্টু দেখভাল করতে জোবায়েরকে দায়িত্ব দেন। বিষয়টি ভালোভাবে নেননি ফারুক। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে হত্যাকাণ্ডটি হতে পারে।জানা গেছে, শেখ হাসিনার সময়ে শুভাঢ্যার ত্রাস হয়ে উঠেন যুবলীগ নেতা সোবহান ঢালী। ওই সময় হত্যাসহ নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়েন। ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর মোল্লা ফারুকের সঙ্গে তিনিও বিএনপিতে যোগ দেয়। সোবহানের নামে একাধিক মামলা রয়েছে।