গজারিয়ার বালুয়াকান্দি পরিষদ কার্যালয়ে আসেন না ইউপি চেয়ারম্যান, ব্যাহত হচ্ছে সেবা।


চেয়ার আছে চেয়ারম্যান নাই অফিসে পরিষদের বারান্দায় ঘুরাফেরা করছেন গুটিকয়েক মেম্বার, গ্রামপুলিশ ও জনগণ। সুনসান নীরবতা। অলস সময় কাটাচ্ছেন সচিবও।মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার বালুয়াকান্দি ইউনিয়ন পরিষদে  বৃহস্পতিবার(৫ সেপ্টেম্বর) এমন দৃশ্য দেখা যায়। অথচ সপ্তাহখানেক আগেও ওই পরিষদ চত্বরে থাকতো উপচে পড়া ভিড়। আর কাজে ব্যতিব্যস্ত সংশ্লিষ্টরা।পরিষদে সেবা নিতে আসা অনেকই জানান,ব্যবসায়িক ট্রেড লাইসেন্সে, জন্ম নিবন্ধন, চারিত্রিক সনদপত্র, ভূমিহীন সনদপত্র, ওয়ারিশান সনদপত্র, অবিবাহিত সনদপত্র, প্রত্যয়নপত্র, অসচ্ছল প্রত্যয়নপত্র, নাগরিক সনদপত্র, উত্তরাধিকার সনদপত্র এসব সেবা থেকে বঞ্চিত ইউনিয়নবাসী।অনেকেই পরিষদে ঘুরছেন তার স্বাক্ষর এর জন্য কিন্তু চেয়ারম্যান না থাকায় প্রতিদিনই ফিরে যাচ্ছেন।পরিষদের সচিব মো. ফিরোজ আহমেদ বলেন, চলতি সপ্তাহে গত রবিবার থেকে ইউনিয়ন পরিষদে আসেন না চেয়ারম্যান এতে মুখ থুবড়ে পড়েছে পরিষদের কার্যক্রম। অনেকেই এসে ফিরে যাচ্ছেন। এতে অনেকটা ভোগান্তি চরমে ভোগান্তিতে পড়ছে সাধারণ মানুষ।জানাযায়,গত ৪ আগস্ট মুন্সীগঞ্জে সদর থানা এলাকায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলন চলাকালীন সময় ডিপজল সর্দার ( ২২) নামে এক মিশুক চালক নিহত হয়। নিহত ডিপজলের নানি মোসামৎ শেফালী বেগম গত ৩০ আগস্ট সদর থানায় সবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ,সড়ক ও সেতু মন্ত্রী ওবাযদুল কাদের সহ ৩শত ১৫ জনের নামে হত্যা মামলা দায়ের করেন। এমামলার ১১৬ নাম্বার আসামি বালুয়াকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুজ্জামান জুয়েল সরকার। মামলার পর থেকে আত্মগোপনে রয়েছেন তিনি।মুঠোফোনে বালুয়াকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুজ্জামান জুয়েল সরকারের সঙ্গে বার বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে কথা বলার সম্ভব হয়নি। চেয়ারম্যান পরিষদের না আশায় ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক কার্যক্রম। চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ জনগণ।গজারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কোহিনূর আক্তার বলেন, চেয়ারম্যান অফিসে উপস্থিত নেই বিষয়টি আমাকে জানানো হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে ওই ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সচিব ও ইউপি সদস্যগণের সাথে কথা বলছি। বিস্তারিত পরে জানাবো।