গরমে স্বস্তি আনে সুস্বাদু তালের শাঁস
মোঃ সাইফুল ইসলাম, ব্যুরো প্রধান, মাগুরা

গ্রীষ্মের অন্যতম একটি আরামদায়ক ফল হচ্ছে কাঁচা তাল বা তালের শাঁস। আমাদের দেশে গরমে কাঁচা তালের শাঁস খুবই জনপ্রিয় একটি খাবার হিসাবে পরিচিত।মাগুরার শালিখা উপজেলার হাট বাজার ব্যস্ত সড়কের পাশে বিক্রি করতে দেখা গেছে তালের শাঁস। ক্রেতারাও আগ্রহভরে কিনছে তালের শাঁস। আবার অনেকেই বাড়িতে কিনে নিয়ে যাচ্ছেন রসালো এ ফল।তালের শাঁস খেতে অনেকটা নারকেলের মতো। কেবল খেতেই সুস্বাদু নয়, এর রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ ও স্বাস্থ্য উপকারিতা। এর বেশির ভাগ অংশ জলীয় হওয়ায় এটা খেলে দ্রুত শরিরে পানিশূন্যতা দুর হয়।পুষ্টিবিদদের মতে, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ তালশাঁস রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। তালে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস দাঁত ও হাড়ের ক্ষয়রোধ করে ও তন্ত্রের রোগ নিরাময়েও এই ফলের ভূমিকা রয়েছে।উপজেলার আড়পাড়া বাজারের যশোর-মাগুরা বাসস্টান্ড এলাকার তাল বিক্রেতা ছাত্তার কাজী জানান, শিশু-কিশোর, যুবক-যুবতী, বয়বৃদ্ধ, সবার কাছে তালের শাঁস প্রিয়। আবার মৌসুমি ফল বলে শখের বসে অনেকেই এটি কিনে খায়। দামে বেশ সস্তা তাই বাজারে এর কদর বেশি।তালশাঁস ক্রেতা আবির হোসেন বলেন, আমি মাঝে মাঝে তাল শাঁস কিনে খায়। নরম তাল শাঁস ক্ষেতে অনেক ভালো লাগে। তাল শাঁস ক্রেতা ওলিদ হাসান বলেন, ছেলে মেয়েরা তাল শাঁস ক্ষেতে পছন্দ করে তাই তাল শাঁস কিনছি। প্রতি পিচ তালের শাঁস ১০-১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।গাছের মালিকেরা বলছেন প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ নানা কারনে তালগাছের সংখ্যা কমে যাওয়ায় সরবরাহ কমছে। তবে নুতন তাল গাছের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় এ মৌসুমে ফলের উৎপাদন বাড়বে বলে আশা করা যাচ্ছে।শালিখা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ আলমংগীর হোসেন জানান, রাস্তার ধারে জমির আইলে তালগাছ লাগালে ফসলের কোন ক্ষতি হয় না। তালগাছ বজ্রপাতে ক্ষতি এড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এর ফল পুষ্টিগুনসমৃদ্ধ। তালের শাঁস প্রচন্ড দাবদাহে প্রশান্তি এনে দেয়।
