চাঁদপুর সদরের মৈশাদিতে ফ্যাসিস্টের দোসর ভূমিদস্যু ইসমাইল খানের অন্যায়-অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকাবাসীর মানববন্ধন


চাঁদপুর সদরের মৈশাদিতে ফ্যাসিস্টের দোসর  ভূমিদস্যু ইসমাইল খানের  অন্যায়-অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকাবাসীর মানববন্ধন
চাঁদপুরে ভূমিদস্যু আওয়ামী লীগ দোসর ইসমাইল খানের অত্যাচার থেকে রক্ষা পেতে মানববন্ধন করেছে স্থানীয় ভুক্তভোগী এলাকাবাসী। ১৪ অক্টোবর মঙ্গলবার দুপুরে চাঁদপুর? সদর উপজেলার মৈশাদী ইউনিয়ন ২নং ওয়ার্ডের উত্তর মৈশাদী খন্দকার বাড়ির সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। শিলন্দীয়া এলাকার নিরীহ জণগন\' ব্যানারে আয়োজিত এই মানববন্ধনে ভুক্তভোগী স্থানীয় শতাধিক নারী-পুরুষ অংশগ্রহণ করেন। এসময় তারা প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা করে ভূমিদস্যু ইসমাইল খানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন শ্লোগান দেন। মানববন্ধনে অংশ নেওয়া ভুক্তভোগী জাহাঙ্গীর খান বলেন, ভূমিদস্যু ইসমাইল খান পতিত আওয়ামী লীগের দোসর ছিলো। সে আওয়ামী লীগের তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আসাদুজ্জামান কামাল এর ঘনিষ্ঠ সহযোগী পরিচয় দিয়ে এলাকায় মানুষকে নানাভাবে অত্যাচার জুলুম নির্যাতন করত। আমি কারওয়ান বাজারে ভ্যান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতাম। চাঁদার জন্য আমাকে সন্ত্রাসীদের দিয়ে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করেছে। সেই ক্ষত আমি আজও বয়ে বেড়াচ্ছি। শাহিনা বেগম নামে এক নারী বলেন, আমার ভাই ঢাকায় ভ্যান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতো। ইসমাইল খান আমার ভাইকে ৫ লাখ টাকার চাঁদার জন্য সন্ত্রাসীদের দিয়ে কুপিয়েছে। আমার ভাই বিএনপি রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। এটাই আমার ভাইয়ের অপরাধ। আমি নিজের কানের দুল বিক্রি করে ভাইকে চিকিৎসা করিয়েছে। আমরা খুব অসহায়। আমি প্রশাসনের কাছে তার বিচারের দাবি করছি। অভিযুক্ত ইসমাইল খানের আপন ভাই কাশেম খান বলেন, আমার ভাই সন্ত্রাসী পিচ্চি হানানের ক্যাশিয়ার ছিল। আমি কারওয়ান বাজার ব্যবসা করতাম। সেখান থেকে সে আমাকে জোর জবরদস্তি করে বের করে দিয়েছে। এলাকার এসে আমার জমিজমা দখল করেছে। কিছু বললে সে আমাকে হত্যার হুমকি দিত। সে এলাকার মানুষের উপর অত্যাচার, জুলুম করতো। এলাকার অনেক মানুষের জমিজমা দখল করেছে। আমরা তার দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করছি। স্থানীয় জামায়েত নেতা আবুল কালাম আজাদ বলেন, অভিযুক্ত ইসমাইল খান শীর্ষ সন্ত্রাসী পিচ্চি হান্নানের ক্যাশিয়ার থাকা অবস্থায় ৮০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে। কাওরান বাজার এলাকায় তার আধিপত্য ছিল। তার অত্যাচারে এই এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী এবং মানুষের জমি দখলসহ এমন কোন কাজ নেই করেনি। স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের পতনের পরেও সে অসহায় মানুষের উপর জুলুম করে যাচ্ছে। আজকে তাই এলাকার মানুষ তার বিরুদ্ধে মানববন্ধন করছে। ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মনির হোসেন, বলেন, বিগত ১৭ বছর স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ বিএনপি নেতাকর্মীদের উপর হামলা, মামলা ও জুলুম-নির্যাতন করেছে। আমি নিজেও ৩৪টি মামলার আসামি এবং শরীর অসংখ্য গুলির ক্ষত বয়ে বেড়াচ্ছি। জুলাই অভ্যুত্থানের পর স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের পতন হলেও তাদের দোসরা এখনো বিভিন্ন এলাকায় দাপটের সাথে বসবাস করছে। তেমনই একজন এই আওয়ামী দোসর ইসমাইল খান। সে এখনো এই এলাকার মানুষদের উপর জুলুম নির্যাতন করে যাচ্ছে। আমরা এ বিষয়ে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি এবং অবিলম্বে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। মানববন্ধনে এলাকার মুরব্বি হানিফ খান, বাচ্চু মিজি, বরকত উল্লাহ খন্দকার, শহীদ খন্দকার, তরিক উল্লাহ খন্দকার, আনাস খন্দকার, মোনাম খান, খোকন খান, জসিম খান, হানিফ খান, ইকবাল ডাক্তার ও শাহজাহান ডাক্তারসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার শতাধিক নারী পুরুষ উপস্থিত ছিলেন।