চাঁপাইনবাবগঞ্জে ইজারা অনুমোদন থাকার পরেও মাছ ধরতে বাঁধা পুলিশের


চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার মোনাকষা ইউনিয়নের কুমিরাদহ বিলের বৈধ ইজারা ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ শিবগঞ্জ সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের মামলা নং ২০৯/২০২৩ অঃ প্রঃ, গত ইং ২৫.০১.২০২৪ তারিখের আদেশের অনুবলে মাছ ধরা ও চাষের আদেশ থাকা সত্ত্বেও মাছ ধরতে পারছেনা অত্র বিলের ইজারাদার, আলফাজ উদ্দিন, (০৯ ফেব্রুয়ারী) সকালে, প্রতিদিনের মতো কুমিরাদহ বিলে মাছ ধরতে যান আলফাজ উদ্দিন ও তার জেলেরা, মাছ ধরার সময় শিবগঞ্জ থানার এসআই ইন্দ্রজিত বিলে উপস্থিত হয়ে মাছ ধরতে নিষেধ করে, মাছ ধরার জাল জব্দ করে শিবগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ । আলফাজ উদ্দিন বলেন, কোর্টের কোনো আদেশ না থাকা সত্ত্বেও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ থানার এসআই, ইন্দ্রজিৎ, কুমিরাদহ বিলের ইজারা গ্রহীতাকে বিল থেকে চলে যেতে বলে, অন্যথায় তাদেরকে ধরে নিয়ে মিথ্যা মামলায় জড়িত করে দেবেন বলে জানান ইজারাদার আলফাজ উদ্দিন, ইজারা গ্রহীতা তার ডকুমেন্টস সহ আদালতে মামলা দায়ের করে, আদালতের মাধ্যমে প্রথমে স্ট্যাটাসকো আদেশ পান আলফাজ উদ্দিন, এবং পরে মাছ চাষের অনুমতি দেয় আদালত। ইজারা গ্রহিতা আলফাজ উদ্দিন আরো বলেন আমি আদালতকে বুঝাইতে সক্ষম হয় আমি দখলে আছি এবং নিরাপদে মাছ চাষ করছি, তখন আদালত আমাকে বলে যদি কোন সমস্যা হয় জানাবেন তখন ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তিনি আরো বলেন আমি এসআই ইন্দ্রজিতকে বলি আদালত যদি আপনাকে উচ্ছেদের আদেশ দেয় , তাহলে পুলিশ উচ্ছেদ করতে পারে, অন্যথায় আপনি উচ্ছেদ করতে পারেন না, তখন এসআই ইন্দ্রজিত বলেন আমার কথা না শুনলে আপনাদের মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে দিব বলে হুমকি দেয়। কুমিরাদহ বিলের ইজারাদার আলফাজ উদ্দিন বলেন মোনাকষা গ্রামের পাঁচ শতাধিক জেলে পরিবার নিয়ে মাছ চাষ করে আসছি। আমাদের আয়ের একমাত্র উৎস মাছ চাষ। তারা এ কাজেই অভ্যস্ত। মাছ ধরতে গেলে বারবার পুলিশের বাধা বিপত্তিতে পড়ে মানবতার জীবন যাপন করছে জেলেরা। শিবগঞ্জ থানার এসআই ইন্দ্রজিত বলেন, ২০৯/২৩ তাদের স্ট্যাটাসকো আদেশ দিয়েছেন তা আদালত ভ্যাকেট করেছেন, তার প্রেক্ষিতে আমরা মাছ ধরতে নিষেধ করেছি। এবিষয়ে শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি সাজ্জাদ হোসেন বলেন, সম্পত্তি স্ট্যাটাসকো আদেশের প্রেক্ষিতে আদালতের আরো একটি আদেশ হওয়ায় কুমিরাদহ বিলে মাছ ধরতে নিষেধ করা হয়েছে, পরবর্তী আদেশ না আশা পর্যন্ত মাছ ধরা বন্ধ থাকবে।