চাকরির প্রলোভনে তিন বাংলাদেশি নারীকে ভারতে পাচার, অতঃপর দেহ ব্যবসা


চাকরির প্রলোভনে তিন বাংলাদেশি নারীকে ভারতে পাচার, অতঃপর দেহ ব্যবসা
হাসপাতালে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে তিন বাংলাদেশি নারীকে ভারতের মুম্বাইয়ে দেহ ব্যবসা করানোর অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার সঙ্গে জড়িত আরও তিন ব্যক্তিকে ধরতে অভিযান চালানো হচ্ছে। খবর ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের।বাংলাদেশি নারীদের উদ্ধার করে একটি আশ্রয় কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে।পুলিশ জানিয়েছে, নির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল শনিবার একটি বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। ওই সময় তিন নারীকে উদ্ধার করা হয়। তাদের ভাষ্য থেকে জানা যায়, তাদের কাজের লোভ দেখিয়ে মুম্বাইয়ে আনা হয়েছে। কিন্তু কাজ দেওয়ার বদলে তাদের দিয়ে করানো হচ্ছিল দেহ ব্যবসা।নারীরা জানিয়েছেন, গত মাসে অবৈধভাবে সীমান্ত পেরিয়ে তারা ভারতে প্রবেশ করেন। এরপর তাদের মুম্বাই নিয়ে আসা হয়। সীমান্তে কড়াকাড়ি থাকা সত্ত্বেও কয়েকজন সরকারি কর্মকর্তাকে ঘুস দিয়ে এ নারীদের সহজে পাচার করে ওই পাচারকারীরা।জোরপূর্বক দেহ ব্যবসা করানোর দায়ে পুলিশ মানসার আহমেদ শেখ নামে এক মুম্বাইয়ের বাসিন্দার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। অপরদিকে মেহেদী হাসান, সঞ্জিব ওরফে বচ্চন এবং আকাশ ওরফে শাহীন নামে আরও তিনজনকে খুঁজছে তারা।এক পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এ ব্যক্তিরা এক বাংলাদেশি নারীকে আধার কার্ড পেতে সহায়তা করেছেন। এখন পুলিশ তদন্ত করছে তারা আগে আরও কোনো বাংলাদেশি নারীকে পাচার করে দেহ ব্যবসা করতে বাধ্য করেছে কি না।