চুয়াডাঙ্গায় তেলবাহী ট্রাক-অটোরিকশার সংঘর্ষে নিহত ৩, আহত ৫
অনলাইন নিউজ ডেক্স

চুয়াডাঙ্গায় তেলবাহী ট্রাক ও অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে নারীসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। এতে নারী ও শিশুসহ আরও পাঁচজন আহত হয়েছেন। সদর উপজেলার জাফরপুর বিজিবি ক্যাম্প ও বন বিভাগ অফিসের কাছে শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।নিহতরা হলেন- সদর উপজেলার নেহালপুর ইউনিয়নের হিজলগাড়ী গ্রামের আসকার আলীর মেয়ে মাছুরা খাতুন (৫৯) ও অটোরিকশার চালক আরিফুল ইসলাম (৩৫)। তিনি দামুড়হুদার জয়রামপুর গ্রামের নূর মোহাম্মদের ছেলে। নিহত এক ব্যক্তির পরিচয় পাওয়া যায়নি। তবে তাঁর আনুমানিক বয়স ৫৫ বছর।দুর্ঘটনায় আহতরা হলেন- অটোরিকশার যাত্রী সরোজগঞ্জ সিপি ফ্যাক্টরিতে কর্মরত দেলোয়ার হোসেন সাইম (২৮), দামুড়হুদার দুধপাতিলা গ্রামের জিল্লুর রহমানের ছেলে আল আমিন (২২), চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার পদ্মবিলা ইউনিয়নের হায়দারপুর গ্রামের মৃত সোনা মিয়ার ছেলে ফাহাদ আহম্মেদ (২২), তাঁর স্ত্রী রিয়া খাতুন (২০) ও তাদের শিশু সন্তান ইয়াসিন (১)।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, চুয়াডাঙ্গা থেকে একটি তেলবাহী ট্রাক ঝিনাইদহের দিকে যাচ্ছিল। বন বিভাগের সামনে পৌঁছালে চুয়াডাঙ্গামুখী একটি অটোরিকশার সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান একজন। দুর্ঘটনায় আহত হন অটোরিকশার চালক, নারী ও শিশুসহ আরও পাঁচজন। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে নেওয়ার পর আরও দুইজনের মৃত্যু হয়।চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত চিকিৎসক আল ইমরান জুয়েল বলেন, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা-রাত ৮টা পর্যন্ত একই দুর্ঘটনায় আহত পাঁচজনকে জরুরি বিভাগে আনা হয়। তাদের তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দিয়ে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। তাদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নেওয়ার জন্য বলা হয়। তবে রাজশাহী নেওয়ার আগেই পুরুষ সার্জারি বিভাগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ৯টার দিকে আরিফুল ইসলাম নামের একজনের মৃত্যু হয়। জরুরি বিভাগে চিকিৎসা চলাকালেও আরেকজন মারা যান।এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালেদুর রহমান বলেন, ‘নিহত দুইজনের পরিচয় পাওয়া গেলেও অন্য একজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি। তেলবাহী ট্রাক ও ইজিবাইক জব্দ করা হয়েছে। ট্রাকের চালককে পাওয়া যায়নি। তাকে খুঁজতে অনুসন্ধান চলছে।’
