ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে বেকারত্বের অবসান ঘটিয়েছেন আশরাফ হোসেন রাতুল


ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে বেকারত্বের অবসান ঘটিয়েছেন নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার আশরাফ হোসেন রাতুল। প্রযুক্তির হাত ধরে মানুষ যেভাবে অনলাইনের উপর নির্ভরশীল হচ্ছে, তাতে নিশ্চিতভাবে বলা যায় ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের যে গুরুত্ব দিন দিন বেড়ে চলেছে তাতে আশরাফ হোসেন রাতুলের মত হাজারো বেকার যুবক বেকারত্বের অবসান ঘটিয়ে সাফল্য অর্জন করতে পারবে। আশরাফ হোসেন রাতুল জানান, তিনি ক্যরিয়ার হিসেবে ডিজিটাল মার্কেটিংকে বেছে নিয়েছেন। কারণ এ ক্যারিয়ার একজন মানুষকে একদিকে যেমন প্রযুক্তিপ্রেমী করে তুলছে, অন্যদিকে জীবনকে করে তুলছে স্বাচ্ছন্দ্যময় ও সাফল্য। ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ করে মাসে করছেন লাখ টাকা ঘরে বসেই আয় করছেন বৈদেশিক মুদ্রা। আশরাফ হোসেন রাতুল ২০২০ সালে একটি কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টারে মাইক্রোসফট অফিস অ্যাপ্লিকেশনে কোর্স সম্পূর্ণ করেন। তারপর ২০২১ সালে সেই প্রতিষ্ঠানে “ডিজিটাল মার্কেটিং এবং ফিল্যান্সিং” শেখেন। কোর্স শেষে কাজ শুরু করেন আন্তর্জাতিক মার্কেটপ্লেস ফাইভার এবং আপওয়ার্কে। প্রথমে ৫০ ডলারের একটি অর্ডারের মাধ্যমে তার আয় শুরু। বর্তমানে প্রতি মাসে গড়ে ৬০০-৮০০ মার্কিন ডলার আয় করছেন তিনি। প্রায় ২৮টি দেশের ক্লায়েন্টের সঙ্গে কাজ করছেন। ছোটবেলা থেকেই আইটি সেক্টরে তার ব্যাপক আগ্রহ। আর সেই আগ্রহ থেকেই পড়াশোনার পাশাপাশি ঘরে বসেই অনলাইনে কাজ করছেন তিনি। তিনি সফলও হয়েছেন। আশরাফ হোসেন রাতুল বলেন, “ইউটিউবে ভিডিও দেখে দেখে এবং স্থানীয় একটি প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় এসব কাজ শিখেছি।” তিনি আরও বলেন, “যারা সঠিক প্রশিক্ষণের অভাবে এসব কাজ শুরু করতে পারছেন না, তারা ইউটিউব ও গুগলের সাহায্য নিয়ে নিজেকে দক্ষ করে গড়ে তুলতে পারেন। তবে এই সেক্টরে কাজ করার জন্য অবশ্যই ধৈর্য এবং অধ্যবসায় থাকা জরুরি।” তরুণ এই উদ্যোক্তা ও ডিজিটাল বিপণনকারী আশরাফ হোসেন রাতুল নিজের নামেই একটি ফেসবুক পেজ দিয়ে কাজ শুরু করেছিলেন। দেখতে দেখতে দীর্ঘ পথচলায় এখন তিনি বাংলাদেশের সাইবার সিকিউরিটি এবং ডিজিটাল মার্কেটার হিসেবে পরিচিত। বর্তমান যুগের ডিজিটাল মার্কেটিংকে বিশাল একটি সম্ভাবনার ক্ষেত্র বলে মনে করেন আশরাফ হোসেন রাতুল। তিনি বলেন, ‘দিন দিন এর গুরুত্ব বাড়ছে। কেউ ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে কাজ শুরু করতে চাইলে প্রথমে তার দক্ষতা বাড়াতে হবে। কারণ সঠিক জ্ঞান নিয়েই কেবল সফলতার দিকে এগিয়ে যাওয়া যায়। তিনি আরো বলেন, এরপর অনুসন্ধান করতে হবে প্রতিনিয়ত চোখ-কান খোলা রেখে। পাশাপাশি জানতে হবে বিভিন্ন টুলসের ব্যবহার। কী ধরনের কনটেন্ট পছন্দ করছে মানুষ, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। মানুষের পছন্দের উপর নির্ভর করে কনটেন্ট তৈরি করতে হবে।