ডিমের দাম বেড়েছে ডজনপ্রতি ২৫ টাকা


সম্প্রতি দেশে দাবদাহের কারণে খামারে মুরগি মারা যাওয়ায় ডিম উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। এতে বাজারে সরবরাহ কমেছে এমন অজুহাতে সাতদিনের ব্যবধানে প্রতি ডজন ডিমের দাম ২০ থেকে ২৫ টাকা বাড়ানোর অভিযোগ উঠেছে। পাশাপাশি বাড়ানো হয়েছে ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম। ফলে বাজারে বাড়তি দাম হওয়ায় গরিবের আমিষে টান পড়েছে। বুধবার রাজধানীর খুচরা বাজার ঘুরে ক্রেতা ও বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য জানা গেছে। খুচরা বাজারে ফার্মের বাদামি ডিম প্রতি ডজন ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে, যা সাত দিন আগেও ১২০-১২৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। আর ফার্মের সাদা ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৩৫-১৪০ টাকা, যা সাতদিন আগে ১১০-১২০ টাকা ছিল। বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশন সূত্র জানায়, রাজধানীর তেজগাঁও ডিম আড়ত মালিকরা দাম নির্ধারণ করেন। হুট করে তারা দাম কমিয়ে দিয়ে খামারিদের থেকে ডিম নিয়ে হিমাগারে সংরক্ষণ করেন। এরপর সরবরাহ সংকটের অজুহাত দেখিয়ে দাম বাড়িয়ে মুনাফা করেন। আড়তে প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০ লাখ ডিম বিক্রি হলেও তারা সারা দেশে চার কোটি ডিমের বাজার নিয়ন্ত্রণ করেন। প্রতিদিন তারা সারা দেশের আরও বিক্রেতা ও খামারিদের বাজারদর জানিয়ে দেন। ২ মে তেজগাঁও আড়ত থেকে ডিমের দাম প্রতি ১০০টিতে ১০ টাকা বাড়িয়ে বিক্রি করা হয়েছে। ৩ মে দাম বাড়িয়েছে ৩০ টাকা। ৪ মে ১০০টিতে ডিমের দাম ৫০ টাকা ও ৫ মে ৬০ টাকা বাড়িয়ে মোবাইল ফোনে বার্তা দিয়েছেন আড়তের ব্যবসায়ীরা। বর্তমানে ডিমের বাজারে তারাই সবচেয়ে বড় সিন্ডিকেট। তেজগাঁও ডিম আড়তদারদের মতো বাংলাদেশ এগ প্রডিউসারস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি তাহের আহমেদ সিদ্দিকীও জানান, সম্প্রতি তীব্র গরমে খামারে মুরগি মারা গেছে। ব্যাহত হয়েছে ডিম উৎপাদন। এতে রাজধানীসহ সারা দেশে ডিমের সরবরাহ কমেছে। যে কারণে দাম বেড়েছে। খামারিরা উৎপাদনে ফিরতে পারলে ডিমের দাম আবার কমে আসবে। তবে বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশন সূত্র জানায়, রোজা ও ঈদের কারণে হোটেল রেস্তোরাঁ বন্ধ ছিল। এছাড়া খোলা থাকলেও সেখানে ডিমের চাহিদা কম ছিল। পাশাপাশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় ডিমের কোনো চাহিদা ছিল না। তাই তারা তখন ডিম বিক্রি করে লাভ করতে পারেননি। যে কারণে এখন ডিমের চাহিদা বাড়ায় ও সম্প্রতি দাবদাহের অজুহাত কাজে লাগিয়ে ডিমের দাম বাড়িয়ে বাজার অস্থির করেছে। তাই তদারকি জোরদার করে মূল্য কমাতে হবে। এদিকে বুধবার রাজধানীর খুচরা বাজারে প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে ২০০-২১০ টাকা, যা সাত দিন আগেও ১৮০-২০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। পাশাপাশি প্রতিকেজি সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকায়, যা সাতদিন আগেও ৩৫০ টাকা ছিল।