দাবদাহের যন্ত্রণায় দেশ


বিগত কয়েকটি বছর বজ্রঝড় বা কালবৈশাখী সংঘটিত হয়েছে আগের তুলনায় কম। এই ঝড় সাধারণত এপ্রিল, মে এবং জুন মাসে হয়। বিশেষ করে এপ্রিল মাসে। কিন্তু ২০১৮ সালের পর থেকে কালবৈশাখী ঝড়ের সংখ্যা এপ্রিল মাসে কম। পাশাপাশি অন্যান্য বছর এপ্রিলে সাধারণত গড়ে ৮ দিন বৃষ্টিপাত হয়, এবার সেটি হয়নি। এছাড়া ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণে দেশের কয়েকটি জেলায় তাপপ্রবাহ বেশি অনুভূত হচ্ছে। মূলত এসব কারণেই সাম্প্রতিক বছরগুলোতে উত্তপ্ত আবহাওয়া এবং তাপপ্রবাহের সৃষ্টি হয়েছে-এমন মন্তব্য করেছেন আবহাওয়াবিদরা। এমন পরিস্থিতিতে দাবদাহের যন্ত্রণায় ভুগছে সারা দেশ। তাদের আরও অভিমত-দেশে দ্রুত নগরায়ণ প্রক্রিয়াও স্থানীয়ভাবে দায়ী। কারণ দ্রুত নগরায়ণ প্রক্রিয়ার জন্য শক্তি খরচ করতে হয়। এটি পরিবেশকে উত্তপ্ত করে। বনায়ন উজাড় হচ্ছে। ক্রমাগতভাবে গাছ কাটা হচ্ছে। গ্রাম বা শহর যেখানেই হোক বন উজাড় হচ্ছে। খাল, নদী, জলাশয় দিনে দিনে কমছে। জলীয়বাষ্প থাকে সাগরে, নদীতে ও পানিতে। গাছপালার শালোক সংশ্লেষণ প্রক্রিয়া ও পানি ওতপ্রোতভাবে জড়িত। ওয়াটার সাইকেলের ক্ষেত্রে গাছপালার ভূমিকা আছে। জলাশয় বাষ্পায়নের হার ত্বরান্বিত করে। তাই বৃষ্টি হওয়ার ক্ষেত্রে গাছপালা, নদী, জলাশয় সাগরের পারস্পরিক নির্ভরতা পর্যায়ক্রমে দিনের পর দিন ব্যাহত হচ্ছে। গ্রামেও জলাশয়নির্ভর বাড়ি নেই। বাড়ছে শুধু কংক্রিট। কংক্রিট নিজেও তাপ শোষক এবং উৎপাদক। বাতাস ক্রমাগতভাবে দূষিত হচ্ছে। বাতাসে নিচের স্তরে দূষণ বাড়ছে। দূষিত কণার বৈশিষ্ট্য হলো এরা তাপকে আটকে রাখে। দেশের সড়কগুলোতে সারারাতে ডিজেলচালিত ট্রাক ও অন্যান্য যানবাহন চলাচল করে। ডিজেলজালিত যানগুলো ক্রমাগত ক্লোরফ্লোরো কার্বন গ্যাস, কার্বন ডাই-অক্সাইড নিঃসরণ করে। ময়লা আবর্জনা ব্যবস্থাপনা অনেকটাই খোলামেলাভাবে হচ্ছে। এর সবকিছুই নষ্ট করছে আমাদের আবহাওয়া ও জলবায়ু। বাড়াচ্ছে তাপমাত্রা। আবহাওয়াবিদদের মতে, ১৯৮১ থেকে ২০২৩-এই ৪২ বছরের তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, উষ্ণতম বছরগুলোতে এপ্রিল মাসে ‘কালবৈশাখী সংঘটিত হয়েছে কম। অন্যদিকে যে বছরগুলোতে এপ্রিল মাসে কালবৈশাখী সংঘটিত হয়েছে বেশি সে বছরগুলোতে তাপমাত্রা ছিল অধিক সহনীয়। এতে আরও দেখা যায়, ৮০ বা ৯০ দশকের বছরগুলোতে সংঘটিত ‘হিটওয়েব’ বা ‘তাপপ্রবাহ এবং এর স্থায়িত্বকাল মিলেনিয়াম পরবর্তী বছরগুলোর তুলনায় কম। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এটি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। আবহাওয়াবিদদের আরও অভিমত-বিশাল এলাকাজুড়ে তাপমাত্রা কমানোর উপকরণ থাকে কালবৈশাখীতে। এই ঝড়ের মেঘমালায় পানির তাপমাত্রা ০ থেকে ৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত হতে পারে। এতে থাকে বরফকণা, মেঘকণা, পানিকণা এবং আইস-ক্রিসটাল। এই কণাগুলো কাছাকাছি এসে শিলাবৃষ্টি হতে পারে বা প্রবল বর্ষণে অত্যন্ত হিম অবস্থায় থাকতে পারে, যাকে বলা হয় সুপার কুল্ড ওয়াটার। এগুলো যখন ওপর থেকে নিচে পড়ে বাতাসের সঙ্গে মিশে তাপমাত্রা ২-৮ ডিগি পর্যন্ত হ্রাস করতে পারে। কালবৈশাখী ঝড়ের সময় প্রচণ্ড বেগে বাতাস থাকে। এতে গরম বাতাস ও ঠান্ডা বাতাস সংমিশ্রিত হয়ে বিশাল একটি অঞ্চলের তাপমাত্রা কমিয়ে ফেলতে পারে। ১৯৮১ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত তাপপ্রবাহের অবস্থার দিকে আলোকপাত করলে দেখা যায়, ১৯৮২ সালের এপ্রিলে কালবৈশাখী সংঘটিত হয়েছে ১২টি। সে বছর একই সময়ে ঢাকায় কোনো তাপপ্রবাহ ছিল না। তবে চার দিনের একটি তাপপ্রবাহ হয় ২২-২৪ মে পর্যন্ত। অন্যদিকে ১৯৯২ সালের এপ্রিলে কালবৈশাখী ঝড় হয় মাত্র ৫টি। সে বছর ঢাকায় ৮-৯ এপ্রিল, ১২-১৪ এপ্রিল এবং ২১-২৫ এপ্রিল তিনটি তাপপ্রবাহ ছিল। ২০০৯ এর এপ্রিলে কালবৈশাখী ঝড় হয় চারটি। সে বছর এপ্রিলে ঢাকায় ১৯-২০ দুদিনের এবং ২২-২৮ সাত দিনের তাপপ্রবাহ বয়ে যায়। একই বছরের মে মাসেও তিন দিনের তাপপ্রবাহ ছিল। অন্যদিকে সাম্প্রতিক বছরগুলোর দিকে তাকালে দেখা যায়, ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে কালবৈশাখী ঝড় হয়ছিল ৭টি। এই মাসে ঢাকায় ১৪-২১ তারিখ পর্যন্ত ছয় দিনের তাপপ্রবাহ ছিল। এ ছাড়া একই বছরে ৮-১২ মে, ২৯-৩১ মে, ১-৭ জুন, ২৪-২৫ জুলাই, ৩০-৩১ জুলাই, ৫-৬ সেপ্টেম্বর, ১৬-১৭ সেপ্টেম্বর তাপপ্রবাহ ছিল। চলতি বছর এপ্রিলে বড় ধরনের বজ ঝড় বা কালবৈশাখী হয়েছে মাত্র ১টি। চট্টগ্রাম ও সিলেটে স্বল্প পরিসরে ছোট ছোট কয়েকটি কালবৈশাখী হয়েছে। ঢাকায় এপ্রিলে বর্তমান সময়ে টানা ২৮ দিনের তাপপ্রবাহ অব্যাহত আছে। উল্লেখ্য, তাপপ্রবাহের ক্ষেত্রে ৩৬ ডিগ্রি সে. ও তার অধিক তাপমাত্রা টানা যতদিন অব্যাহত থাকে সে হিসাবে বিবেচনা করা হয়। বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, তাপপ্রবাহের বৈজ্ঞানিক এবং আবহাওয়ার বৈশিষ্ট্যগত পরিবর্তন দুটো দিক আছে। যে বছরগুলোতে বজ ঝড় বা কালবৈশাখী বেশি হয়েছে সে বছরগুলোর গরমের সময় বিশেষ করে এপ্রিল মাসে তাপমাত্রা অপেক্ষাকৃত কম উষ্ণ ছিল। অন্যদিকে বজ ঝড় কম হলে তাপমাত্রা উত্তপ্ত ছিল। ২০২১-২০২৩ সালে এপ্রিল মাসে কালবৈশাখী ঝড় কমেছে। ক্রমান্বয়ে সেটি ৮, ৯ ও ৭টি। তিনি বলেন, ১৯৮১ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত কালবৈশাখী ঝড়ের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, গড়ে এপ্রিল মাসে ৯টি বজ ঝড় বা কালবৈশাখী হওয়ার কথা। কিন্তু ২০১৮ সালের পরে ২০২০ সাল ছাড়া বাকি বছরগুলোতে বজ ঝড়ের সংখ্যা কম। কালবৈশাখী কম হওয়ার কারণে চলতি বছরে আবহাওয়া ক্রমাগতভাবে উত্তপ্ত হচ্ছে। তিনি বলেন, প্রাকৃতিক অবস্থার পাশাপাশি স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে মানবসৃষ্ট অরাজকতার কারণেও জলবায়ুর বৈশিষ্ট্যগত পরিবর্তন এসেছে। ফলে চরমভাবাপন্ন তাপ্রবাহ, শৈত্যপ্রবাহ, স্বল্প সময়ে ভারি বৃষ্টিপাত, টর্নেডো ক্রমাগত বৃদ্ধি পেয়েছে। এগুলো কোথায় হবে কোন সময়ে হবে তার মধ্যে এক ধরনের অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। আবহাওয়াবিদ মো. তরিফুল নেওয়াজ কবির বলেন, অন্যান্য বছর সাধারণত এপ্রিল মাসে দেশে গড়ে ৮ দিন বৃষ্টি হয়। ওই বৃষ্টির কারণে থেমে থেমে তাপপ্রবাহ হয়। চলতি বছরে এর ব্যতিক্রম দেখা যাচ্ছে। সিলেট অঞ্চল ছাড়া দেশে ওই অর্থে বৃষ্টি হচ্ছে না। পুরো মাসের মধ্যে গত ১৬ ও ১৭ এপ্রিল ঢাকায় অল্প সময়ের জন্য সামান্য বৃষ্টি হয়েছে, যা কিছু সময়ের জন্য তাপমাত্রা কমালেও পরক্ষণে বেড়ে যায়। বৃষ্টি না হওয়ায় দীর্ঘমেয়াদে তাপপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। টানা বৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা কম। আরেক আবহাওয়াবিদ শাহনাজ সুলতানা বলেন, ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণে রাজশাহী, চুয়াডাঙ্গা, পাবনা, যশোরসহ আশপাশ এলাকায় বেশি গরম অনুভূত হচ্ছে। এর কারণ হচ্ছে তাপপ্রবাহ মূলত ভূমধ্যসাগর থেকে উৎপত্তি হচ্ছে। তা পাকিস্তান, ইরান ও ভারতের মধ্য প্রদেশ, বিহার, ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গ হয়ে বাংলাদেশের ওইসব জেলা দিয়ে প্রবেশ করছে। এ কারণে ওই জেলাগুলোতে তাপপ্রবাহ বেশি। তিনি বলেন, এছাড়া বর্তমানে সূর্য লম্বভাবে কিরণ দিচ্ছে। দিনের দৈর্ঘ্যতা বেশি সময় হওয়ায় সূর্যের তাপও বেশি আসছে। ওই তাপ শোষণের মতো গাছপালা কম রয়েছে। এ কারণে গরম অনুভূত বেশি হচ্ছে। বজ্রঝড় কেন কম : কালবৈশাখী বা বজ্রঝড় কম হওয়ার হিসাবে আবহাওয়াবিদরা বলছেন, আবহাওয়া এবং জলবায়ুর স্থানীয় এবং বৈশ্বিক বেশিষ্ট্যগত পরিবর্তন এবং উষ্ণায়নের কারণেই এমনটা হচ্ছে। তার ছোঁয়াও বাংলাদেশের জলবায়ুতে লেগেছে। বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা অনুযায়ী, যে বছরগুলোতে এলনিনো সচল থাকে সে বছর তাপমাত্রা বাড়ে। এল নিনো হচ্ছে-পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরের সমুদ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রা এবং পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরের সমুদ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রার পার্থক্য। যদি এলনিনো ধনাত্বক হয় তার মানে এটি সক্রিয়। এটি ধনাত্বক, ঋণাত্বক এবং নিউট্রাল তিন অবস্থায় থাকে। ২০২৩-এর জুন থেকে চলতি বছরের ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত এলনিনো সক্রিয় অবস্থায় ছিল। এতে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল থেকে বাতাস চীন সাগর হয়ে বঙ্গোসাগরে চলে আসে। এলনিনো সক্রিয় থাকলে বাতাসের গতিবেগ কমে যায়। এতে অপেক্ষাকৃত কম গতিসম্পন্ন বাতাস বঙ্গোপসাগরে আসে। কম গতিসম্পন্ন বঙ্গোপসাগরে এ বাতাসে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে যে জলীয়বাষ্প বাষ্পরিত হয় তাতে বাষ্পায়নের হার কমে যায়। এর ফলে এই অঞ্চলে দক্ষিণ অথবা দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে বাতাস বাংলাদেশে প্রবেশ করে। এই বাতাসেও জলীয়বাষ্প কম। সিলেট ও তার ওপাশে মেঘালয়, নাগাল্যান্ড, ত্রিপুরা, মিজোরাম এই অঞ্চলগুলো পাহাড়ি অঞ্চল। এই বাতাস বাংলাদেশের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে সিলেটে এসে বাধাপ্রাপ্ত হয়। বাতাস ওপরে উঠে যায়। ওপরের বাতাস ঠান্ডা হওয়ার কারণে হিমাঙ্ক বরাবর এই বাতাস উঠে ঘনীভূত হয়ে মেঘমালা তৈরি হয়। যেহেতু বাতাসে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ কম সেহেতু মেঘমালার পরিমাণও কম হয়। শক্তিশালী ঝড়বৃষ্টি তাই হচ্ছে না। সে কারণেই বর্তমানে শুধু সিলেট ও তার আশপাশে বৃষ্টি হচ্ছে। সিলেটে যে বৃষ্টিপাত ও ঝড় হচ্ছে তা মূলত শৈলোৎক্ষেপ বৃষ্টিপাত বা অরোগ্রাফিক রেইন। বর্তমানে এই বৃষ্টির প্রবণতাও কমে গেছে। দ্বিতীয়ত, দেশে কালবৈশাখী হয় ওয়েস্টালি ডিস্টার্ববেঞ্চ বা পশ্চিমা লঘুচাপের প্রভাবে। পশ্চিমা লঘুচাপ তৈরি হলে সেটি বরাবর আরব সাগর থেকে বাতাস গুজরাট দিল্লি হয়ে হিমালয়ে যাওয়ার সুযোগ তৈরি হয়। বঙ্গোপসাগর থেকেও সিলেট হয়ে বাতাসটি হিমালয়ে যেতে পারে। পশ্চিমা লঘুচাপের সঙ্গে পূবালী বাতাসের সংমিশ্রণে বাতাসের জলীয়বাষ্পের আধিক্য বেড়ে যায় এবং ওপরের দিকে উঠে সারি সারি মেঘমালা তৈরি করে বাংলাদেশে বজ ঝড় সংঘটিত করে। এই বজ ঝড় স্থানীয়ভাবে বাংলাদেশে অথবা দেশের বাইরে উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ বা পশ্চিমবঙ্গে তৈরি হতে পারে। তবে সাধারণত ওইসব অঞ্চলে তৈরি হলেও এর পরিপক্বতা আসে বাংলাদেশে। প্রচণ্ড ঝড়ো বাতাস শিলাবৃষ্টিও সংঘটিত হয়। শৈলোৎক্ষেপ বৃষ্টিপাত এবং পশ্চিমা লঘুচাপের ফলে কালবৈশাখীর প্রবণতা ২০১৮ সালের পর থেকে কম। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, বজ ঝড় কম হলে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়। আকাশ মেঘমুক্ত থাকে এবং সূর্যের কিরণ বেশি সময় ধরে ভূপৃষ্ঠকে উত্তপ্ত করে। তাই এসব কারণে দেশে তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে বেড়েই চলেছে। হিটওয়েভ বয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশের তাপমাত্রা বাংলাদেশের থেকে ২-৪ ডিগ্রি বেশি। এপ্রিল মে মাসে উত্তর বা উত্তর-পশ্চিম থেকে বাতাস সাতক্ষীরা, চুয়াডাঙ্গা, দিনাজপুর, রাজশাহী, যশোর, কুষ্টিয়া এই পথ হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। সে কারণে এই লু হাওয়া এসে দেশের বাতাসের সঙ্গে মিশে পশ্চিমাঞ্চলকে আরও উত্তপ্ত করে। দেশে আবহাওয়ার বৈশিষ্ট্যগত পরিবর্তনে মানবসৃষ্ট পরিবেশের বিপর্যয় সাধন অন্যতম কারণ। আমেরিকা, যুক্তরাজ্যসহ পশ্চিমা দেশগুলো পৃথিবীতে যে গ্রিনহাউজ গ্যাস নিঃসৃত করছে তাতে বাংলাদেশের মতো দেশগুলোর পরিবেশ, প্রকৃতি আর আবহাওয়া হুমকির মুখে। নোআ এর তথ্যমতে, ১৮৫০ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ১৭৩ বছরে ২০২৩ ছিল উষ্ণতম বছর। ১৯৮৯ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত পৃথিবীতে কম্বাইন্ড ইমপেক্ট অব গ্রিন হাউজ গ্যাসেস ক্লোরফ্লোরো কার্বন, হাইড্রোফ্লোরো কার্বন, হাইড্রো ক্লোরোফ্লোরো কার্বন, মিথেন প্রভৃতি ৪৯ ভাগ বৃদ্ধি পেয়েছে।