নওগাঁর নিয়ামতপুরে চলছে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের উৎসব।


ধানের জেলা হিসেবে খ্যাত নওগাঁর নিয়ামতপুরে শুরু হয়েছে চলতি মৌসুমের বোরো ধান কাটা ও মাড়াইয়ের উৎসব। তীব্র গরম উপেক্ষা করে কৃষকেরা মাঠে নেমে পড়েছেন। ভোর থেকে রাত অবধি ধান কাটায় ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। শেষ পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ভালো বাম্পার ফলন হওয়ায় হাসি ফুটেছে কৃষকদের মাঝে। উপজেলা কৃষি অফিস বলছে, এবার উপজেলায় বোরো ধান আবাদের যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল তা ছাড়িয়ে গেছে। ফলনও বেশ ভালোই হচ্ছে। নিয়ামতপুর উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত বছর উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে ২২ হাজার ৬৮৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধান রোপণ করা হয়েছিল। চলতি মৌসুমে ২২ হাজার ৫৮৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধান রোপণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ২৩ হাজার ৩৬০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান রোপণ হয়েছে। এরমধ্যে হাইব্রিড জাতের সুরভি ১, উইন ৩০২, ৩০৫; বিজলী, ব্যবিলন এবং উফশী জাতের জিরাশাইল, কাটারিভোগ, ব্রি ধান, বঙ্গবন্ধু ধান ১০০, বিনা ধানসহ অন্যান্য জাতের ধানের চারা রোপণ করা হয়েছে। উপজেলার বরেন্দ্র বাজার মাঠে কথা হয় ঝাড়ুয়াপাড়া গ্রামের জামিনুর রহমানের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘এবার আমি ২০ বিঘা জমিতে বোরো ধান লাগিয়েছি। মঙ্গলবার থেকে ধান কাটা শুরু করবো। আশা করছি বিঘা প্রতি ২৫ মণ করে ধান হবে। গঙ্গোর মাঠে কথা হয় কৃষক ফরিদুল শাহ’র সঙ্গে। তিনি বলেন, এবার তিনি ৩০ বিঘা জমিতে বোরো ধান আবাদ করছেন। আশা করছেন বিঘাপ্রতি ২৫ মণের বেশি ধান হবে। তিনি আরও জানান, এবার সার ও কীটনাশক বেশি দিতে হয়েছে। তাই খরচ বেশি হয়ে গেছে। বাজারে নতুন ধানের দাম কেমন হবে সেটা নিয়ে ভাবতে হচ্ছে। দাম আশানুরূপ না হলে ক্ষতি হয়ে যাবে। ভাবিচা গ্রামের কৃষক উদয়ন চন্দ্র বলেন, আমি আড়াই বিঘার জমির ধান কাটা ও মাড়াই করেছি। বিঘা প্রতি ২৫ মণ করে ধান পেয়েছি। ধানের ফলন ভালোই হয়েছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. কামরুল হাসান বলেন, ইতোমধ্যে উপজেলায় বোরো ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ শুরু হয়ে গেছে। নমুনা শস্য কর্তন করে বিঘা প্রতি গড় ফলন ২২ মণ করে পাওয়া গেছে। এখন পর্যন্ত প্রায় ৫ ভাগ ধান কাটা হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূল থাকায় এবার ফলন ভালো হয়েছে।