নাটোরে সুদের টাকা না দেয়ায় কৃষককে শিকলবন্দী নির্যাতন, মূলহোতা গ্রেফতার
অনলাইন নিউজ ডেক্স
নাটোরের গুরুদাসপুরে সুদের টাকা পরিশোধ করতে না পারায় মোঃ আসাদ আলী (৫৫) নামের এক কৃষককে শিকলবন্দীর করে রাখার ঘটনায় অভিযুক্ত মূলহোতা আব্দুল আজিজ হোসেনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
রোববার(২৪ সেপ্টেম্বর) ভোরে গুরুদাসপুর উপজেলার মশিন্দা ইউনিয়নের বাহাদুরপাড়া গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় ভূক্তভোগীর স্ত্রী মোছাঃ শাহানারা খাতুন (৪১) গুরুদাসপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
গ্রেফতারকৃত অভিযুক্ত আব্দুল আজিজ হোসেন(৪১) গুরুদাসপুর উপজেলার মশিন্দা ইউনিয়নের বাহাদুরপাড়া গ্রামের মোঃ আব্দুল প্রামানিকের ছেলে।
পুলিশ জানান, গুরুদাসপুর উপজেলার মশিন্দা ইউনিয়নের বাহাদুরপাড়া গ্রামের
কৃষক মোঃ আসাদ আলী সুদের টাকা দিতে না পারায় তাকে জোরপূর্বক মারধর করে শিকলবন্দী রাখার সংবাদে তাৎক্ষণিক ভাবে ঘটনার সত্যতা যাচাই ও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গুরুদাসপুর থানা পুলিশকে নির্দেশ প্রদান করেন। পরে অভিযুক্ত আব্দুল আজিজকে গ্রেফতারে গুরুদাসপুর থানার একটি চৌকস দল বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে। এবং তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় তার নিজ বাড়ি থেকে শুক্রবার ভোর ৪টার দিকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে সকালে ভূক্তভোগীর স্ত্রী স্ত্রী
মোছাঃ শাহানারা খাতুন থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
উল্লেখ্য, তিন বছর আগে আব্দুল আজিজের কাছ থেকে ৮০ হাজার টাকা সুদে নিয়েছিলেন। গত দুই বছরে ২০ হাজার টাকা সুদ এবং আসল ৩০ হাজার টাকা পরিশোধ করেন। বাকি ৫০ হাজার টাকা এ বছর দেওয়ার কথা থাকলেও হঠাৎ একটি দুর্ঘটনায় তিনি ক্ষতিগ্রস্থ্য হয়ে পড়েন। একমাত্র তার উপার্জনে চলে সংসার। অভাবগ্রস্ত্র হয়ে যাওয়ায় আব্দুল আজিজের পাওনা বাঁকি টাকাগুলো দিতে বিলম্ব হয়। পরে শনিবার সকালে আব্দুল আজিজ ও তার বাবা আফজাল হোসেন এবং সঙ্গে কয়েক জনকে নিয়ে কৃষকের বাড়িতে যায়। এসময় কৃষক আসাদ আলীকে জোড়পূর্বক হাত-পা বেঁধে তারা তুলে নিয়ে আসে। এরপর আব্দুল আজিজের বাড়ির বারান্দায় মাজায় শিকল পড়িয়ে তালাবদ্ধ করে রাখে। টাকা না দিতে পারলে ছেড়ে দিবেনা বলে। আমার এখন এই মুহুর্তে টাকা দেওয়ার সামথ্য নেই। তারা টাকা না দিতে পারলে হাত পা ভেঙে ফেলবে বলে হুমকিও দেয়।
ডোনেট বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।