নির্বাচনের আগেই নেতাকর্মীর মুক্তি চায় হেফাজত


নির্বাচনের আগেই নেতাকর্মীর মুক্তি চায় হেফাজত
জাতীয় নির্বাচনের আগেই নেতাকর্মীসহ আলেম-ওলামাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও তাদের মুক্তির দাবি জানিয়েছে হেফাজতে ইসলাম। একইসঙ্গে দাবি আদায়ে আগামী ২৮ অক্টোবর জাতীয় ওলামা মাশায়েখ সম্মেলনের ঘোষণা দিয়েছে সংগঠনটি।হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় কমিটি পুনর্গঠনের পর বৃহস্পতিবার সকালে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি আল-জামিয়াতুল ইসলামিয়া আজিজুল উলুম বাবুনগর মাদ্রাসায় প্রথম আমেলা বৈঠক ও পরিচিতি সভায় এ দাবি জানানো হয়।সভাপতির বক্তব্যে হেফাজত আমির মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী বলেন, ‘সুষ্ঠু ভোটে নির্বাচিত সরকার না থাকায় দেশ আজ মহাসংকটে। তারা জনগণের দাবি-দাওয়া ও প্রতিবাদ তোয়াক্কা করছে না। নির্বাচনের আগেই হেফাজত নেতা মামুনুল হক, মুনির হোসাইন কাসেমী, মাহমুদ গুনবীসহ কারাবন্দিদের মুক্তি দিন। অন্যথায় কঠিন পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে, দায় সরকারকেই নিতে হবে।’তিনি বলেন, ‘২০১৩ সালের ৫ মে রাতে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে বিদ্যুৎ বন্ধ করে হেফাজতের ওপর গণহত্যা চালানো হয়। অথচ এখন সরকার বলছে, ওই রাতে কেউই মারা যায়নি। আমি ও তৎকালীন আমির শাহ আহমদ শফী লাশ দেখে অঝোরে কেঁদেছি। আলেম সমাজের কথা বলার সাংবিধানিক অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। নাগরিক হিসেবে আমরা স্বাধীনভাবে ভোট দেওয়ার অধিকার চাই।’সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন হেফাজতের মহাসচিব সাজেদুর রহমান, সিনিয়র নায়েবে আমির খলিলুর আহমাদ কাসেমী, নায়েবে আমির মাহফুজুল হক, সালাহ উদ্দিন নানুপুরী, জসিম উদ্দিন, আবদুল আউয়াল, আহমদ আব্দুল কাদের, সরোয়ার কামাল আজিজী, জুনায়েদ আল হাবীব, মহিউদ্দিন রাব্বানী, খুরশিদ আলম কাসেমী, আব্দুল কুদ্দুস কাসেমী, হাবীবুর রহমান কাসেমী, মোবারক উল্লাহ, সাখাওয়াত হোসাইন, ফজলুল করিম কাসেমী, আশরাফ আলী নিজামপুরী, আজিজুল হক ইসলামাবাদী, খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবী, হারুন ইজহার প্রমুখ।