নেতানিয়াহুকে গ্রেফতার করবে আইসিসি?


গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি বাহিনীর বর্বরতায় আন্তর্জাতিক আইন ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনার ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুসহ আরো কয়েকজন মন্ত্রী এবং ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর জেষ্ঠ্য কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির সিদ্ধান্ত নিয়েছে নেদারল্যান্ডসের হেগ শহরে অবস্থিত আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)। খবর টাইমস অব ইসরাইলের শিগগিরই এ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হতে পরে বলে বিশেষ সূত্রে জানা গেছে। সম্ভাব্য এ পদক্ষেপ ঠেকাতে তাই সম্প্রতি নিজ কার্যালয়ে জরুরি বৈঠক ডেকেছিলেন নেতানিয়াহু। ইসরাইলের বর্তমান যুদ্ধকালীন বিশেষ মন্ত্রিসভার বিচার বিষয়কমন্ত্রী ইয়ারিভ লেভিন, স্ট্র্যাটেজিক অ্যাফেয়ার্স বিষয়কমন্ত্রী রন ডারমার, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরাইল কাৎজ এবং সরকারপন্থী বেশ কয়েকজন আইনজীবও আইন বিশেষজ্ঞ উপস্থিতি ছিলেন। মঙ্গলবার রাতে এ বৈঠক হয়েছিল বলে ইসরাইলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরাইলকে নিশ্চিত করেছে রাষ্ট্রটির পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দপ্তর। বুধবার জেরুজালেম সফরে গিয়েছিলেন যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন এবং জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যানালিনা বেয়ারবক। তাদের সঙ্গে বৈঠকের সময়ও আইসিসির সম্ভাব্য গ্রেফতারি পরোনার প্রসঙ্গটি নেতানিয়াহু তুলেছিলেন বলে জানা গেছে। পরোয়ানা ঠেকাতে এ দুই দেশের সরকারের সহযোগিতাও চেয়েছেন তিনি। প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে হামাস এবং আইডিএফের (ইসরাইলি ডিফেন্স ফোর্স) মধ্যে ব্যাপক সংঘাত হয়েছিল। সেই যুদ্ধে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধগুলো নিয়ে ২০১৯ সালে তদন্ত শুরুর ঘোষণা দেয় আইসিসি। পরে করোনা মহামারির কারণে প্রায় দেড় বছর এই কাজ স্থগিত থাকার পর ২০২১ সালের ২৩ মার্চ ফের তদন্ত শুরু করে আইসিসি। সেই তদন্তের অংশ হিসেবে গত ডিসেম্বরে ইসরাইল সফরে এসেছিলেন আইসিসির শীর্ষ প্রসিকিউটর করিম খান। ইসরাইলি প্রশাসন ও সেনাবাহিনীর আপত্তির কারণে গাজা সফরে যেতে পারেননি তিনি। তবে ওই সফর শেষে ফিরে যাওয়ার আগে তিনি বলেছিলেন, গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলা এবং তার জবাবে ইসরাইলি বাহিনীর অভিযান কোনো স্বতঃস্ফূর্ত ঘটনা নয় এবং যেসব সহিংসতা পূর্বে হয়েছে এবং এখনও হচ্ছে, সেসব হামাস এবং আইডিএফের পূর্ব পরিকল্পিত বলে তিনি মনে করছেন। এ সংক্রান্ত কিছু সাক্ষ্যপ্রমাণও তার হাতে রয়েছে বলে উল্লেখ করেছিলেন তিনি। করিম খানের সফরের তিন মাস পর এ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির প্রক্রিয়া আইসিসি শুরু করেছে বলে জানা গেছে, যা নিয়ে উদ্বেগে পড়েছে ইসরাইল সরকার।