পদ্মার পাড়ে বর্ণিল ঘুড়ি উৎসব
অনলাইন নিউজ ডেক্স
ফরিদপুরের ধলার মোড় এলাকার পদ্মার পাড়ে অনুষ্ঠিত হলো বর্ণিল ঘুড়ি উৎসব। ‘চলো হারাই শৈশবে’ এ স্লোগানে শুক্রবার ছুটির দিনে এ ঘুড়ি উৎসবের আয়োজন করা হয়। আকাশে উড়ানো হয় ড্রাগন, হাজারী গোলাপ, পঙ্খিরাজ, চিল, ডিঙি নৌকা, জাতীয় পতাকাসহ নানা রঙের বিভিন্ন প্রকারের অসংখ্য ঘুড়ি।
ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার বিকাল ৪টায় এর উদ্বোধন করেন। তবে ঘুড়ি উৎসবে যোগ দিতে তার আগেই বিভিন্নস্থান হতে জনসমাগম হতে থাকে সব বয়সি মানুষের। উৎসবমুখর পরিবেশে মানুষের ঢলে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে এ উৎসব আয়োজন।
উদ্বোধনী বক্তব্যে জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার বলেন, ঘুড়ি আমাদের হারিয়ে যাওয়া শৈশব, আমাদের বর্তমান যৌবনের স্বপ্ন। ঘুড়ি আকাশে যখন উড়ে বেড়ায় তখন আমরা শুধু তাকিয়ে থাকি না, এর সৌন্দর্য উপভোগ করি।
তিনি আরও বলেন, পদ্মার চর কেন্দ্রিক এই উৎসবকে স্থায়ী রূপ দিতে আমাদের বিশেষ পরিকল্পনা আছে। ঘুড়ি উৎসবের পাশাপাশি আমাদের হারিয়ে যাওয়া গ্রামীণ খেলাধুলা, বৈশাখী মেলাসহ বিনোদনমূলক উৎসব যাতে ফিরিয়ে আনা যায় সে উদ্যোগ নেয়া হবে। এই সৌন্দর্য ফরিদপুরবাসীর মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য সর্বাত্মক উদ্যোগ গ্রহণ করবো।
এ সময় ফরিদপুর পুলিশ সুপার মোর্শেদ আলম, কোতোয়ালি থানার ওসি হাসানুজ্জামান হাসান, ডিক্রিরচর ইউপি চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান মিন্টুসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
পেপারটেক ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেডের সহযোগিতায় ফরিদপুর সিটি অর্গানাইজেশন নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এই ঘুড়ি উৎসবের আয়োজন করে। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের মাঝে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারীদের পুরস্কার দেওয়া হয়। সন্ধ্যায় সেখানে ফানুস উড়ানো হয়। উৎসবকে ঘিরে সেখানে ঘুড়ি বিক্রিরও ব্যবস্থা ছিল।
ডোনেট বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।