ফুটওভার ব্রিজ থাকলেও চলাচল ব্যস্ত সড়কে
অনলাইন নিউজ ডেক্স
রাজধানীর ব্যস্ত সড়কগুলোর মধ্যে মিরপুর ১০ নম্বর গোলচত্বর অন্যতম। দিনভর এই গোল চত্বরে মানুষের আসা-যাওয়া ও কর্ম ব্যস্ততা থাকে। একের পর এক গাড়ি চলছে, মানুষও হেঁটে রাস্তার এ পার থেকে ওপারে যাচ্ছেন। অনেকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দৌড়ে রাস্তা পারও হচ্ছেন। ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহারে আগ্রহ নেই তাদের। সরেজমিন গত দুদিন মিরপুর ১০ নম্বর গোলচত্বর গিয়ে এমন চিত্রই দেখা গেছে। হাতেগোনা কয়েকজন ছাড়া রাস্তা পার হতে বেশিরভাগ লোকই ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহার করেন না। অনেকে ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পারাপারের সময়ও দুর্ঘটনায় পড়েন। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ জন্য আইনের যথাযথ প্রয়োগ ও মানুষের অসচেতনাতাই দায়ী। সরেজমিন মিরপুর ১০ নম্বর গোলচত্বরে গিয়ে দেখা গেছে, গুটি কয়েকজন ছাড়া রাস্তা পারাপারে বেশিরভাগ লোক ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহার করছেন না। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়ত মানুষ রাস্তা পার হচ্ছেন। ব্রিজের ওপরে উঠে দেখা যায় মাঝামাঝি অংশে চেয়ার-টেবিল বসিয়ে অনেকে ব্যবসা করছেন। এতে চলাচলের রাস্তা সংকুচিত হয়ে যাওয়ায় স্বাচ্ছন্দ্যে হাঁটা যায় না। ওভার ব্রিজের ছাউনি নেই, সিঁড়িগুলো ময়লা আবর্জনায় ভরা। বখাটে ও মাদকসেবীদের আড্ডাও দিতে দেখা গেছে এক পাশে। আবার অনেকে রাতিযাপন করেন। ওভার ব্রিজের পূর্ব ও পশ্চিম পাশের সিঁড়ি ঘেঁষে অস্থায়ী দোকানপাট গড়ে উঠেছে বিধায় ক্রেতাদের ভিড় থাকে। এতে অনেকে ভিড় ঠেলে ব্রিজে উঠতে চায় না। এ ছাড়া ওভার ব্রিজেরে চার পাশের রাস্তা ও ফুটপাত হকারদের দখলে যাওয়ায় ব্রিজে উঠার সিঁড়ি খুঁজে পেতে অনেক সময় বেগ পেতে হয়।
পথচারী মবিন বলেন, ১০ নম্বরের ফুটওভার ব্রিজের সিঁড়িসংলগ্ন ফুটপাত ও রাস্তা দখল করা হয়েছে। ব্রিজে উঠতে গেলে অনেক গাদাগাদি করে ওপরে উঠতে হবে। এর চেয়ে হেঁটেই স্বাচ্ছন্দ্যে রাস্তা পার হওয়া যায়।
মিরপুর গার্লস আইডিয়ালের শিক্ষক পাখি বলেন, ওভার ব্রিজের সিঁড়ি অনেক খাড়া ও উঁচু । বয়স্ক ও শিশুরা উঠলে হাফিয়ে যায়। আবার অনেকে সময় নষ্ট ও কষ্টের কথা চিন্তা করে ব্রিজে উঠতে চায় না। তিনি বলেন, গোলচত্বরে একজনের দেখাদেখি অন্যজনও হেঁটে রাস্তা পার হন। ওভার ব্রিজ ব্যবহারের জন্য আমাদের মনমানসিকতা ও দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টাতে হবে। ওভার ব্রিজ ব্যবহার করছেন না কেন জানতে চাইলে মালা আক্তার নামে গ্রিন ফিল্ড স্কুলের একাদশ শ্রেণির এক শিক্ষার্থী বলেন, আমি রাস্তার ওপারে যাব। ওভার ব্রিজে উঠতে হলে ৫ মিনিট হাঁটতে হবে। এর চেয়ে সহজেই গোলচত্বর পার হতে পারব। সবাই তো নিচ দিয়ে রাস্তা পার হচ্ছেন। কষ্ট করে কেন ব্রিজে উঠব। এই শিক্ষার্থী আরও বলেন ব্রিজে, অনেকে শুয়ে থাকেন অনেকে মাদক সেবন করে। বখাটেদের আড্ডাও থাকে। এ জন্য মেয়েরা কেউ একা থাকলে ব্রিজে উঠতে চায় না।
মিরপুর ১০ নম্বরের ট্রাফিক সার্জেন্ট দেলোয়ার বলেন, ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহারে আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল নই। অভ্যাস না থাকায় অনেকে ৫-১০ মিনিট হেঁটে ওভার ব্রিজে উঠতে চায় না। আমাদের অনেক দিনের অভ্যাসের কারণে এটা হয়ে গেছে। তবে আমাদের এই অভ্যাস পরিবর্তনের জন্য আইন রয়েছে। জরিমানাও রয়েছে। তিনি বলেন, কেউ যদি নিজ থেকে নিজের নিরাপত্তার বিষয়টি না বিবেচনা করেন তাহলে পুলিশ কিছুই করতে পারবে না। আমাদের সবার মনমানসিকতা পরিবর্তন করতে হবে।
ডোনেট বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।