বইমেলায় বিনামূল্যে স্যানিটারি ন্যাপকিন বিতরণ অব্যাহত থাকবে


বইমেলায় বিনামূল্যে স্যানিটারি ন্যাপকিন বিতরণ অব্যাহত থাকবে
বইমেলায় বিনামূল্যে স্যানিটারি ন্যাপকিন প্রয়োজনমাফিক বিতরণ করা হবে। মেলায় এর আগেও এরকম বিভিন্ন জরুরি উপকরণ সৌজন্য হিসেবে বিতরণের ব্যবস্থা ছিল।রোববার প্রাণ আরএফএল দুটি বাণিজ্যিকভাবে স্যানিটারি ন্যাপকিন ও ডায়ফার বিক্রি করার অভিযোগে বন্ধ করা হয়। এই বিষয়ে রোববার বাংলা একাডেমির এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্যানিটারি ন্যাপকিনের প্রসার ও ব্যবহার সম্পর্কে বাংলা একাডেমির কোনো প্রকার সংকোচ থাকার প্রশ্নই আসে না। বইমেলার পণ্যায়নের একটা ব্যাপার স্পর্শকাতর ইস্যু হয়ে অন্যভাবে উপস্থাপিত হয়েছে। তার প্রমাণ, একদিকে আমরা অন্য অনেকগুলো পণ্যের ক্ষেত্রেও একই ব্যবস্থা নিয়েছি। অন্যদিকে ইভেন্টকে বলেছি, সৌজন্য হিসেবে তারা যেন স্যানিটারি ন্যাপকিন প্রয়োজনমাফিক বিতরণ করে। পাশাপাশি মেলায় বাণিজ্যিকভাবে নয় ওয়াশরুমের পাশে বিনামূল্যে প্রয়োজনীয় স্যানিটারি ন্যাপকিনের ব্যবস্থা রাখার বিষয়টি আমরা নিশ্চিত করেছি।এতে আরও বলা হয়, বাংলা একাডেমি আয়োজিত অমর একুশে বইমেলায় স্যানিটারি ন্যাপকিন ও ডায়াপার বিক্রি সংক্রান্ত একটা ইস্যু বহুজনের দৃষ্টি-আকর্ষণ করেছে। সামাজিক যোগাযাগমাধ্যমে ও ফোনে বহুজন আমাদের কাছে তাদের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। এ পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি সম্পর্কে বিশদ জানানো জরুরি হয়ে পড়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আমরা দুঃখ প্রকাশ করছি।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলা একাডেমি বইমেলার আয়োজক হলেও মেলার প্রয়োজনীয় কাজগুলো ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠান আয়োজন করে থাকেন। এবার এ দায়িত্ব পেয়েছেন ড্রিমার ডংকি। ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠান স্পন্সরের সহায়তায় কাজটি করে থাকে। তবে তাদের কাজ করতে হয় মেলার নীতিমালা মেনে। এবার স্পন্সর ঠিক করার ক্ষেত্রে সংখ্যা এবং ধরণ বিবেচনায় ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠান বেশ কিছু নীতি লঙ্ঘন করেছে। তার মধ্যে একটি হলো অনুমতি না নিয়েই মেলার যত্রতত্র পণ্য-বিপণনের ব্যবস্থা করা। আমরা প্রথম থেকেই এ ব্যাপারে বাধা দিয়ে আসছি। কিন্তু তারা নানা অজুহাতে নীতিমালা লঙ্ঘন করেছে।স্যানিটারি ন্যাপকিন এবং ডায়াপার বিষয়ে তারা আমাদের জানিয়েছিল, ওয়াশরুমের পাশে রেখে নারী ও শিশুদের প্রয়োজনমতো বিনামূল্যে এসব পণ্য সরবরাহ করবে। কিন্তু মেলা কর্তৃপক্ষ দেখতে পায়, তারা এ দুই পণ্যসহ আরো কিছু পণ্য বিক্রি করছে। ফলে তাদেরকে স্টল বন্ধ করতে বলা হয়। শুধু স্যানিটারি ন্যাপকিন নয়; ডায়াপার, পেস্ট ও ব্রাশসহ আরো কিছু পণ্যের ক্ষেত্রে এ ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলা হয়েছে।কিন্তু ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠান বারবার নিয়ম লঙ্গন করেন। আমরা মাঝখানে তিনদিন নিজেদের উদ্যোগে স্টল দুটি বন্ধ করে রেখেছিলাম। তাদের অনুরোধে শুধু কাগজ, পেন্সিল, কলম জাতীয় শিশুদের কিছু দ্রব্য বইমেলার শিশুকর্নারে বিক্রির অনুমতি দেওয়া হয়।