বনানীর সেই বাস দুর্ঘটনায় লাশ হলেন ব্যাংক কর্মকর্তা


রাজধানীর বনানীতে বাস-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে নিহত ব্যক্তির নাম মোস্তফা কামাল (৪৫)। তিনি মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের হাসনাবাদ ব্রাঞ্চের অপারেশনস ম্যানেজার ছিলেন। শনিবার বিকালে মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক ও ইস্টার্ন ব্যাংকের মধ্যকার ফুটবল খেলা দেখতে বাংলাদেশ আর্মি স্টেডিয়ামে যাওয়ার পথে বাসের নিচে চাপা পরে গুরুতর আহত হন তিনি। ওই দিন রাতে রাজধানীর শ্যামলীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মারা যান মোস্তফা কামাল। মোস্তফা কামাল পরিবার নিয়ে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে শের শাহ সুরী রোডের একটি বাসায় থাকতেন। তিনি ঠাকুরগাঁও সদরের পূর্ব পাড়া বেগুন বাড়ির রিয়াদুল ইসলামের ছেলে। এক ছেলে ও এক মেয়ের জনক তিনি। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ডিএমপির বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী সাহান হক বলেন, নিহত ব্যাংক কর্মকর্তার পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে পরবর্তী করনীয় নির্ধারণ করা হবে। নিহতের ভাই ফাহিম রুবেল রোববার সন্ধ্যায় জানান, খেলা দেখতে স্টেডিয়ামে যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন মোস্তফা কামাল। পথচারীরা উদ্ধার করে তাকে প্রথমে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নেন। কিন্তু অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়ার কথা জানান চিকিৎসকেরা। পরে তাকে (ফাহিম রুবেল) এক পথচারী বিষয়টি জানান। সেই পথচারী অ্যাম্বুলেন্সে করে রাজধানীর বিজয় স্বরণী এলাকায় আহত মোস্তফা কামালকে বুঝিয়ে দেন ভাই ফাহিমের কাছে। তাকে দ্রুত সময়ে ঢামেক হাসপাতালে নিলেও জরুরি আইসিইউ সাপোর্ট না থাকায় সেখান থেকে শ্যামলীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানেই রাত ১০টার দিকে মৃত্যু হয় মোস্তফা কামালের। পরে গ্রামের বাড়িতে তার দাফন সম্পন্ন হয়। পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, শনিবার বিকাল চারটার দিকে বনানী থানাধীন নৌবাহিনী সদর দপ্তরের সামনে মোস্তফা মোটরসাইকেল নিয়ে ইউটার্ন করার সময় শেরপুর থেকে ঢাকাগামী জেকে পরিবহণের সামনে ধাক্কা লাগে। এ সময় তিনি ছিটকে সাইডে পড়ে যান এবং মোটরসাইকেলটি বাসের নিচে চলে যাওয়ায় রাস্তায় ঘর্ষণে বাসটিতে (ঢাকা মেট্রো- ব-১৫-১৪৪১) আগুন ধরে যায়। এতে বাসটি ও মোটরসাইকেলটি আগুনে পুড়ে যায়। ফায়ার সার্ভিসের ২টি ইউনিটের চেষ্টায় ৪টা ২০ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আহত মোটরসাইকেল চালককে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়। পরে তার মৃত্যু হয়। বনানী থানা পুলিশ রেকারের সাহায্যে বাস ও মোটরসাইকেলটি বনানী পুলিশ ফাঁড়ির সামনে রাখে।