বাগেরহাট সদর উপজেলায় আন্তঃধর্মীয় সংলাপ অনুষ্ঠিত


বাগেরহাট সদর উপজেলায় আন্তঃধর্মীয় সংলাপ অনুষ্ঠিত
“সংঘাত নয়, শান্তি ও সম্প্রীতির বাংলাদেশ গড়ি” প্রতিপাদ্যের আলোকে বাগেরহাট সদর উপজেলাতে ২১ অক্টোবর ২০২৪ তারিখে সোমবার সকাল ১১টায় বাগেরহাট প্রেসক্লাব হলরুমে দি হাঙ্গার প্রজেক্টের এমআইপিএস প্রকল্পের বাগেরহাট সদর উপজেলার পিস ফ্যাসিলিটেটর গ্রুপ (পিএফজি) এর উদ্যোগে আন্তঃধর্মীয় সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। প্রথমে জাতীয় সঙ্গীত , পবিত্র কোরান থেকে তেলাওয়াত, পবিত্র গীতা হতে পাঠ এবং পবিত্র বাইবেল থেকে পাঠের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। এমআইপিএস প্রকল্পের এরিয়া কোঅর্ডিনেটর এস. এম রাজু জবেদ এর সঞ্চালনায় এবং পিএফজির কো-অর্ডিনেটর ও সুজন বাগেরহাট জেলার সাধারণ সম্পাদক এস.কে.এ হাসিব, এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এস এম মিজানুর রহমান, সহকারী পরিচালক যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর, বাগেরহাট। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মোস্তফা গিয়াস উদ্দিন, সহকারি পরিচালক জেলা সমাজসেবা, বাগেরহাট, সাহেলা পারভীন, প্রোগ্রাম অফিসার, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর, বাগেরহাট, মোঃ সাইদুর রহমান, পুলিশ পরিদর্শক (অফিসার ইনচার্জ), বাগেরহাট সদর মডেল থানা এবং মোঃ সোহরাব হোসেন, উপজেলা যুবউন্নয়ন কর্মকর্তা। শুভেচ্ছা বক্তব্য, সংলাপের সার সংক্ষেপ ও করনীয় নির্ধারণ নিয়ে আলোচরা করেন হি হাঙ্গার প্রজেক্ট, এর খুলনা অঞ্চলের রিজওনাল কো-অর্ডিনেটর মাসুদুর রহমান। উক্ত সংলাপে ঘোষণাপত্র পাঠ করেন পিএফজি এ‍্যম্বাসেডর ও জেলা জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভাপতি সাহিদা আক্তার। এছাড়া্ও উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শেখ আবুল কালাম বুলু, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও পিএফজি এ‍্যম্বাসেডর মোহব্বত হোসেন, বাগেরহাট জেলার মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক নারগীস আক্তার ইভা, পিএফজি ও সুজন সদস্য সাংবাদিক সেখ সাকির হোসেন, বাগেরহাট জেলা এবং মো: ইয়ামিন আলী, পিএফজি সদস্য ও জেলা প্রতিনিধি যমুনা টেলিভিশন, বাগেরহাট। সংলাপে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে বিভিন্ন ধর্ম,বর্ণ ও গোত্রের মানুষের বসবাস। ধর্মীয় সম্প্রীতির দেশ বাংলাদেশ। ধর্মীয় সম্প্রীতির কোন বিকল্প নাই। ধর্ম কখোনই অশান্তি তৈরী করে না। আমাদের সংবিধানে সকল ধর্ম ও বর্ণের মানুষের সমান অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে। সকল ধর্মের নাগরিক সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির মধ্যে দিয়ে এ দেশে বাস করে। ধর্মীয় সহিংসতা যে কোন দেশের উন্নয়নে বাঁধার প্রধান কারণ। দেশকে কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছেতে জাতি, ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে নিয়ে একযোগে কাজ করতে হবে। পরিশেষে উপজেলার আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি রক্ষার্থে সর্বসম্মতিক্রমে ১১ টি ঘোষণা সম্বলিত ঘোষণাপত্রে উপস্থিত অংশগ্রহণকারীগণ স্বাক্ষর করেন ।