বিভাগীয় প্রধানের ভুলে মাস্টার্স চূড়ান্ত পর্বে সব পরীক্ষার্থী অকৃতকার্য


বিভাগীয় প্রধানের ভুলে মাস্টার্স চূড়ান্ত পর্বে সব পরীক্ষার্থী অকৃতকার্য
কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের রসায়ন বিভাগের মাস্টর্স চূড়ান্ত পর্বের পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী ৯০ পরীক্ষার্থীর সবাই ফেল করেছে বলে কলেজের শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে দেশের সব কলেজের ২০২১-২০২২ শিক্ষা বর্ষের বিভিন্ন বিভাগের মাস্টার্সের চূড়ান্ত পর্বের ফলাফল গত ৪ জুন (বুধবার) প্রকাশিত হয়। তখন কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের রসায়ন বিভাগের পরীক্ষা দেওয়া ৯০ পরীক্ষার্থী জানতে পারেন তারা সবাই ফেল করেছেন।পরীক্ষার্থীরা জানান, ফলাফল প্রকাশের পর আমরা দেখতে পাই শুধুমাত্র কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের রসায়ন বিভাগের পরীক্ষা দেওয়া ৯০ পরীক্ষার্থীর সবাই ফেল করেছেন।অনলাইনে প্রকাশিত ফলাফল শিটে সব পরীক্ষার্থীর নামের পাশে এফ লেখা থাকায় আমরা নিশ্চিত হই যে আমরা সবাই ফেল করেছি। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দেশব্যাপী একযোগে গত ১৭ জানুয়ারি এই পরীক্ষা শুরু হয়। এরপর ১৮, ১৯, ২০ ও ২১ তারিখে তাদের মৌখিক পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়। গত ৪ জুন ফলাফল প্রকাশিত হলে সেখানে কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের রসায়ন বিভাগের পরীক্ষার্থীদের রোল নম্বর না পেয়ে তারা কান্নায় ভেঙে পড়েন।এরপর তারা তাদের বিভাগের শিক্ষকদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে জানতে পারেন তাদের মৌখিক পরীক্ষার ফলাফল কলেজ কর্তৃপক্ষ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে না পাঠানোর কারণে তারা সবাই ফেল করেছেন। তাদের একবছর পর আবার নতুন করে পরীক্ষা দিতে হবে। পরীক্ষার্থীরা জানান, অনাকাঙ্ক্ষিত এই ফলাফল পাওয়ার পর আমরা প্রথমে আমাদের কলেজের বিভাগীয় প্রধান রোকনুজ্জামানের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ‘মৌখিক পরীক্ষার ফলাফল যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠাতে হবে সেটা আমরা ভুলে গিয়েছিলাম। এটা আমাদের ভুল।বিভাগীয় প্রধান রোকনুজ্জামান পরীক্ষার্থীদের কাছে তার নিজের ভুলের জন্যে সব পরীক্ষার্থী ফেল করেছেন বলে যে স্বীকারোক্তিমূলক বক্তব্য পরীক্ষার্থীদের দিয়েছেন তার অডিও রেকর্ড কাছে রয়েছে। শিক্ষার্থীরা বলেন, একজন বিভাগীয় প্রধান কি করে এই ধরনের ভুল করেন? আমরা এর শাস্তি চাই। আমাদের এক বছর লস দিয়ে আমরা আর নতুন করে পরীক্ষা দিতে চাই না। আমরা খুব ভালো পরীক্ষা দিয়েছি, আমাদের রেজাল্ট প্রকাশ করা হোক।কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের রসায়ন বিভাগের প্রধান রোকনুজ্জামানের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।তবে এ বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষ রুহুল আমীন কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘বিষয়টি আমি শুনেছি। খুবই দুঃখজনক। তবে ভুল যারাই করে থাকবে তারা অবশ্যই আইনের আওতায় আসবে। আর আমি চেষ্টা করব এই ভুল সংশোধন করে নতুন করে পরীক্ষা না দিয়ে রেজাল্ট প্রকাশ করা যায় কি না।’