বিয়েতে ১০০টি বিড়াল উপহার!
অনলাইন নিউজ ডেক্স

বিয়েতে একেবারেই ব্যতিক্রমধর্মী উপহার পেলেন ভিয়েতনামে এক কনে। তাও গুনে গুনে ১০০টি সিভেট বিড়াল। এই বিড়ালগুলোর মোট মূল্য প্রায় ৭০,০০০ মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৭০ লাখ টাকা।এই প্রাণীগুলোর বিশেষ কদর রয়েছে ‘কপি লুওয়াক’ নামের বিশ্বের সবচেয়ে দামি কফি উৎপাদনে তাদের ব্যবহারের জন্য।সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের খবরে বলা হয়েছে, ভিয়েতনামের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল থেকে আসা এই ২২ বছর বয়সি কনে গত মে মাসে হওয়া তার বিয়েতে এ বিশাল উপহার পেয়েছেন। উপহারগুলোর মধ্যে শুধু সিভেট বিড়ালই ছিল না—এর সঙ্গে ছিল ২৫টি সোনার বার, ২০,০০০ ডলার নগদ অর্থ, ৩০ কোটি ভিয়েতনামী ডং মূল্যের কোম্পানির শেয়ার এবং একাধিক দামি সম্পত্তি।বরপক্ষও পাল্টা উপহার হিসেবে কনেপক্ষকে দিয়েছে ১০ তোলা সোনা, ২ কোটি ডং নগদ অর্থ এবং হীরার গয়না।এশিয়ার অনেক সংস্কৃতিতেই বিয়েতে দেনমোহর ও উপহার দেওয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ রীতি। যা পরিবারের আর্থিক সামর্থ্য ও মেয়ের নতুন জীবনের প্রতি তাদের প্রতিশ্রুতিকে প্রকাশ করে।কনের বাবা হং চি তাম জানিয়েছেন, তার সব সন্তানই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করেছে এবং তারা পারিবারিক ব্যবসার দায়িত্ব নিয়েছে।তিনি বলেন, ‘আমার মেয়ে ব্যবসায় প্রশাসন বিষয়ে পড়েছে। সে এ সম্পদগুলো পরিচালনা করার সম্পূর্ণ যোগ্য। সে চাইলে এই সিভেট বিড়ালগুলো পালন করতে পারে। অথবা বিক্রি করতেও পারে। যেভাবেই হোক, এতে তার আর্থিক স্বাধীনতা নিশ্চিত হবে’।সিভেট বিড়াল কেন এত দামি?ভিয়েতনামে সিভেট বিড়াল অত্যন্ত মূল্যবান। একটি সন্তান দেওয়া স্ত্রী সিভেটের দাম প্রায় ৭০০ ডলার পর্যন্ত হয়। আর গর্ভবতী হলে তা ১,০৫০ ডলার পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে।এ প্রাণীগুলো মূলত ‘কপি লুওয়াক’ নামের কফি উৎপাদনে ব্যবহৃত হয়। এই কফি উৎপাদনের বিশেষ পদ্ধতিতে সিভেটরা পাকা কফি চেরি খায়। তারপর তাদের মল থেকে সেই কফির বীজ সংগ্রহ করে ধুয়ে, প্রক্রিয়াজাত করে ও ভেজে কফি তৈরি করা হয়।তাছাড়া সিভেট বিড়ালের মাংস চীন ও ভিয়েতনামে বিলাসবহুল খাবার হিসেবে গণ্য হয়। এমনকি তা ঐতিহ্যবাহী চীনা ওষুধেও ব্যবহৃত হয়ে থাকে, যা তাদের মূল্য আরও বাড়িয়ে দেয়।তবে ওয়ার্ল্ড অ্যানিম্যাল প্রোটেকশন ইন্টারন্যাশনাল জানিয়েছে, সিভেট বিড়াল ব্যবসায় বহু নিষ্ঠুর পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়। বন্য সিভেটদের ফাঁদ বা বাক্সে আটকে ধরা হয়, পরে তাদের খাঁচায় বন্দি করে ফার্মে পাঠানো হয়। সেখানে তারা অমানবিক পরিবেশ, অপ্রতুল খাদ্য এবং চরম মানসিক চাপে থাকে।
